Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আরেকটি সুন্দর দিন কাটানোর সুযোগ পেলাম ।বর্তমান সময় এক-একটি দিন পার করা যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছে ।শারীরিক অসুস্থতা তার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি সবকিছু মিলিয়ে যেন একটি দিন পার করা মানে একটি বছর পার করা ।
এখনকার দিনের ২৪ টা ঘন্টা পার করতে হয় এই ভেবেযে , সামনের দিন গুলো আমরা কিভাবে পার করব ? সেই চিন্তা করে। আমাদের সন্তানদের কিভাবে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, কিভাবে আমরা সুস্থ থাকবো ।আত্মীয়-স্বজনদের কথা তো ছেড়েই দিলাম ।
এখন আর আমরা ততটা আত্মীয় স্বজনদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করতে পারিনা ।মন চাইলেও ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যাই । আগের দিনে যখন মোবাইলের কলরেট অনেক বেশি ছিল তখনও দিনে একবার হোক বা সপ্তাহে দুইবার হোক, আত্মীয় পরিজনের সাথে কথা হতো ।কিন্তু এখন কল রেট কম , ইন্টারনেট ব্যবস্থায় অনেক সুযোগ এসেছে , আমরা অনলাইনে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ,ইমুতে ভিডিও কলে দেখতে পারি ও কথা বলতেও পারি।
এত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমরা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ততটা কথা বলতে পারি না। সবাই যেন রেল গাড়ির মতো চলছে তো চলছে । মাঝে মাঝে ভাবি আমরা কি একা হয়ে যাচ্ছি ।তাইতো ছুটি পেলেই আমরা মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করি। সেখানে গেলে আমার মনটা ভালো থাকে এবং শরীরটা অনেক হালকা হয়ে যায়।
আজকে ছুটির দিন ছিল, আর্মি বাবু বাসায় ছিলেন তাই গত রাতে বলা হয়েছিল, আমরা আজকে মন্দিরে যাব ।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সংসারের কিছু কাজ করে নিলাম ।ওদেরকে নাস্তা দিলাম এবং আমি স্নান করে গোপাল ঠাকুরের পূজা করে নিলাম। যেহেতু দুপুরে বাসায় থাকবনা তাই সবকিছু গুছিয়ে নিলাম।
আমরা ১১টার সময় মন্দিরে গেলাম । স্বাগুপ্তা সৎসঙ্গ মন্দিরের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। এই এলাকায় বহুতল ভবন এখানো ততটা উঠেনি। তবে প্রকল্পের চলছে, অনেক বড় বড় বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে । সৎসঙ্গের অনেক গুরু ভাইদের সাথে দেখা হল , সময়টা ভালোই কেটে যাচ্ছে।
মামনি একটি অনুকুল ঠাকুরের গান করল। আজকের এই প্রার্থনায় যুক্ত হয়েছে এক নব ডাক্তার দম্পতি। ওদের কিছুদিন হলো বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। ওরাও দীক্ষা নিয়েছে তাই আজ ওদের বৌভাত উপলক্ষে এখানে এসেছে সকলের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য ।
ঋত্বিক দাদারা অনেক সুন্দর সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন । সকল ধর্মের সঠিক পথ নির্দেশক থাকেন, তারা আমাদেরকে যে পথ নির্দেশনা দিয়ে থাকেন আমরা তা সঠিকভাবে পালন করি না। সে যে ধর্মই হোকনা কেন, আমরা যদি সেই পথ সঠিকভাবে পালন করতে পারতাম তবে এই হানা-হানি হত না ।
ধর্ম নিয়ে এত ভেদাভেদ হতো না ।কারণ যাহা পানি তাহাই জল ।কেউ লাউ সবজিকে ”লাউ” বলে থাকেন আবার কেউ ”কদু” বলে থাকেন কিন্তু সবজিটা কিন্তু একই লাউ। তেমনি আমি মনে করি, বিভিন্ন ধর্ম হলো একটি গাছের শাখা প্রশাখার মত ,তার শিকড় একটাই ।তেমনি আমরা যেকোনো ধর্মের হই না কেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা একজনই।
এখানে যে দাদা ভাইয়েরা এসেছিলেন তাদের আগে দেখিনি। আজ প্রথম তাদের সাথে আমার পরিচয় কিন্তু কথা বলে মনে হচ্ছে তারা যেন কত কাছের মানুষ । নিজের মনকে ফ্রেশ রাখতে হবে , সকলের সাথে মানিয়ে চলার মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে তবেই তো পারব আমরা মানুষের বন্ধু হতে ।
প্রার্থনা শেষে আমরা দুপুরে প্রসাদ গ্রহণ করলাম ,গল্প করতে করতে কোথা থেকে যে বিকেল হয়ে গেল তাই বুঝতে পারলাম না। আমি এন্টিভাইটিক ওষুধ খাচ্ছিলাম ,প্রসাদ গ্রহণের পরে আমার শরীর খুবই খারাপ লাগছিল , দিদি ভাইয়েরা পান খাচ্ছিল, আমাকে বলল একটি পান খাবেন? আমি ওদের সাথে সাথে মিষ্টি জর্দা দিয়ে একটি পান খেলাম ।এভাবেই কেটে গেল আজকের সকাল, দুপুর ও সারা দিন। রাতের সেই একই রুটিন তাই রাতের গল্প আজকে আর শেয়ার করলাম না ।এখানে বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন ।শুভরাত্রি
ভবিষ্যত আমরা জানি না তবে ভবিষ্যত সাজানোর জন্য চেষ্টা করতে পারি শুধুমাত্র। পরবর্তী তে কি হবে, কি করলে আমাদের সকলের জন্য ভালো হবে এই চিন্তা মাথার মধ্যে ঘিরে থাকে তবে বাস্তবে এগুলোর কোনো মূল্য নেই কারন আমরা ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে পারি না। তবে চেষ্টা করলেই কি চিন্তা দূর করা যায়?
মন্দির এমন একটা পবিত্র স্থান যেখানে গেলে আমাদের মন পবিত্র হয় এবং মনের সকল মলিনতা দূর হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit