জন্মাষ্টমী পারন |
---|
Heloo,
Everyone,
আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আমরা বাঙালিরা বারো মাসে তেরো পার্বণ পালন করে থাকি ।তার ভিতরে জন্মাষ্টমী একটি অন্যতম উৎসব ।তবে এই জন্মাষ্টমী শুধু বাঙ্গালীদের নয়, জন্মাষ্টমী উৎসব বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয় ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রূপে আবির্ভূত হওয়ার কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি :
অত্যাচারীর হাত থেকে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্যই শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। রাজা কংসের অত্যাচার এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তার বাবা ধার্মিক রাজা উগ্রসেনকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।দিন দিন তার অত্যাচার বৃদ্ধি পেতে থাকে । তিনি দৈববাণী শুনেছিলেন যে ”তার বোন দেবকীর গর্ভের অষ্টম সন্তান তার মৃত্যুর কারণ হবে “। কংসের ভগ্নী দেবকীর সাথে বাসুদেবের বিবাহ সম্পন্ন হয় কিন্তু মৃত্যু ভয়ে কংস তার বোনকে হত্যা করতে এসেছিল ।
বাসুদেব কংসের কাছে অনুরোধ করে তার প্রাণ ভিক্ষা চায় এবং তিনি কংসকে এই বলে রাজি করেন ,”তার প্রতিটি সন্তান যখনই এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবে তখনই তার হাতে তুলে দেওয়া হবে”। তবে তার আর মৃত্যুর ভয় থাকবে না ।এভাবেই এক এক করে ছয়টি সন্তান কংসের হাতে তুলে দেয়া হলো। প্রতিটি সন্তান কংস হত্যা করে ।
অষ্টম সন্তান জন্ম নেবার পূর্বে অত্যাচারী কংস রাজা অনেক ভীত ছিলেন এবং তিনি আরো কারাগারে রক্ষীদের সংখ্যা বাড়িয়েছিলেন ।ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে ঝড় বৃষ্টির দিনে বিদ্যুৎ উচ্ছ্বলিত মধ্য রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেবকীর গর্ভে আবির্ভূত হন ।দৈব বাণী শুনে বাসুদেব শিশু কৃষ্ণকে নিয়ে গোকুলে যশোদার গৃহে যান এবং যশোদের কন্যা সন্তানকে নিয়ে আসে ।কন্যা সন্তানের স্থানে শ্রীকৃষ্ণকে রেখে আসেন।
কন্যা সন্তানটিকে দেবকীর পাশে রেখে দেয়। তখন সমস্ত রাজ্যের মানুষ ছিল গভীর ঘুমে অচেতন । সকালবেলা কংস রাজা দেবকীর অষ্টম সন্তানের জন্ম হওয়ার সংবাদ শোনে কারাগারে এসে তার সন্তানকে জোর করে নিয়ে যায় এবং পূর্বের মতোই পাথরে আঁছাড় মারার চেষ্টা করে ।তখন কন্যা সন্তানটি শূন্যে উঠে গিয়েই যোগমায়া মূর্তি ধারণ করেন।
“তোমাকে বধিবে যে গোকূলে বাড়িছে সে”। এই বলে শূন্যে মিলিয়ে যান।এরপরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণে লীলা চলতে থাকে এবং এক সময়ে এসে শ্রীকৃষ্ণের হাতে কংসের মৃত্যু হয়।
আরো বিস্তারিত জানতে হলে এই লিঙ্কে ঘুরে আসুন
আমি অষ্টমী তিথিতে উপবাস থেকে জন্মাষ্টমী পালন করি এবং নবমীতে সকালবেলা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সামনে অন্ন ভোগ দিয়ে ব্রত পারন করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি স্নান করে ঠাকুর ঘরে আসি এবং ভোর কীর্তনী গেয়ে গোপাল সোনাকে ঘুম থেকে তুলি এবং স্নান করিয়ে আসন সাজই।সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরে যাই। আমার সাধ্যমত কিছু রান্না করি। সেখানে ভুনা খিচুরী ছিল, পটল ভাজি, আলু ভাজি, কাকরোল ভাজি, বরবটি ভাজি, বেগুন ভাজি এবং পরমান্ন (পায়েস) ছিল। সাথে কিছু ফলপ্রসাদ দিয়েছি ।
নির্জলা উপবাস থেকে আমি এই সবকিছু আয়োজন করি এবং ভগবানের কাছে ভোগ নিবেদন করি। আমাদের ধর্মে আছে ”ভোগ দর্শন করলে পূর্ণ হয়”। আমরা প্রতিবছর এই দিনে এই উৎসবটি পালন করে থাকে।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি বারবার পৃথিবীতে আবির্ভূত হবেন , দুর্বলকে সহযোগিতা করবেন, পাপের বিনাশ করবেন এবং সকলকে ভাল রাখবে।
ঠাকুরের কাজ করলে আমার মনে হয় শরীরের অনেকটা অসুখ ভালো হয়ে যায়, মনটা ভালো থাকে। যেমন রোজা থাকলে শরীরর ভালো থাকে এবং মনে পবিত্রতা আসে। তাই আমি আজও বলতে চাই আমাদের সকল ধর্মের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই। সকলে সত্যের পথে থাকি। পাপকে ঘৃণা করি কিন্তু পাপীকে নয় ।আমরা মানুষ মানুষের বন্ধু ,কখনো শত্রু নই তাই যার যার ধর্ম সে পালন করি এবং অন্যের ধর্ম পালন করতে কোন রকম বাধা না দেই। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। শুভরাত্রি ।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |
আজকের আপনাকে এই দিনটা অনেক ব্যস্ততার মধ্য কেটেছে কেননা উৎসবের আয়োজন করতে হলে অবশ্যই অনেক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।
আপনার আজকের দিন লিপির মধ্য দিয়ে জন্ম অষ্টমীর উৎসবের বিষয়টা খুব ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলছেন।
আমার মনের ভিতরে সাধারণ একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাস করবো কিনা একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভিতরে আছি। কি মনে করেন এভাবে আজ আর জিজ্ঞাসা করলাম না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জন্মাষ্টমী সম্পর্কে আপনি অনেক কিছুই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমেই জন্মাষ্টমী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। জন্মাষ্টমীর দিন গোপালকে অনেক রকম ভোগ বিতরণ করেছেন। জন্মাষ্টমীর দিনে এই সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit