Hello,
Everyone,
এই সুন্দর দিনে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ভালোবাসা। আজ অনেক দিনে পরে দিনের সুরটা ভালই লাগছে। আজ ততটা কুয়াশা ছিলনা কিন্তু ঠান্ডা বাতাস বইছে। আমরা সকলেই জানি, শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে ঠান্ডা বেশি পড়ে থাকে।
আপনারা সকলেই জানেন বেশ কিছুদিন হলো আমি গ্রামের বাড়িতে এসেছি। গ্রামের পরিবেশটা আমরা সকলেই পছন্দ করি । তাই তো যখনই সময় পাই গ্রামে ছুটে আসি। আমরা কখনোকি ভেবে দেখেছি, গ্রামের মানুষ কতটা কষ্ট করে ।তাদের সবকিছু হাতের কাছে গোছানো থাকে না।
সবকিছু গুছিয়ে নিতে হয়। এই ধরুন, যখন ধান চাষ করা হয় তখন ধান চাষ করার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে হয়, বীজ বপন করতে হয়। আবার সেই বীজ তুলে সারিবদ্ধ ভাবে আবার রোপন করতে হয়। তারপর সেই ক্ষেতের পরিচর্যা করতে হয়, তারপরে ধান আসে ।সে ধান কাটতে হয় এবং আবার ধান মারাই করতে হয়।
ধান সেদ্ধ করে আবার শুকিয়ে ভাঙ্গিয়ে চাল তৈরি করে। আমরা খুব সহজেই সেই চাল কিনতে পারি। গ্রামে গৃহিনীরা অনেকই পরিশ্রমী । রান্না করার জন্য কাঠের ঘড় থেকে লাকড়ি আনতে হয়, পুকুর থেকে পানি আনতে হয়, শিল পাটায় মসলা বেটে রান্না করেন। তারা অনেক কাজ করে থাকেন।
আমরা সবকিছু হাতের কাছে পাই তাই আমরা গ্রামের এই কষ্টোটা অনুভব করতে পারি না। কিছুদিন থেকে এখানে থাকায় এই কথাটা অনুভব করতে পেরেছি, তারা কতটা পরিশ্রমকরতে পারে। গতকাল দিনটি কিভাবে কাটিয়েছিলাম সেই দিনলিপি আজ আপনাদের সাথে উপস্থাপন করছি।
সকাল |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সূর্য দেবতাকে প্রণাম করার পরে যখন চোখ খুলে এই ফুলের বাগান দেখতে পাই তখন সত্যি মনটা জুড়িয়ে যায়। এখানেও অনেক কিছুই চাষ করা হয়। গ্রামের সৌন্দর্য বলে শেষ করা যায় না।
দুপুর |
---|
আজ আমরা বার্থী শ্রী শ্রী কালী মায়ের মন্দিরে মায়ের দর্শন পেতে যাব। সকাল সকাল উঠে ফ্রেশ হই। ছোটোর কাজে সাহায্য করি । আমরা দুজনে যাব তাই বাচ্চাদের জন্য কিছু রান্না তরে রেখে যেতে হবে ।
ছোট ঠাকুর পূজো দিয়ে সরাসরি রান্নাঘরে চলে গেল এবং বাচ্চাদের জন্য রান্না করে রেখে গেল। ও অনেক কাজ করে ।ও এত ঝটপট কিভাবে কাজ করতে পারে আমি তা বুঝতে পারি না।
আমার তো কাঠের চুলা জ্বালাতে অনেক সময় লেগেযায়। আমি মাঝে মাঝে অল্প কিছু রান্না করি তাতেই কালি মেখে একাকার হয়ে যাই। কিন্তু ও যে কিভাবে সবকিছু খুব ঝটপট করে ফেলে তা আমি বুঝতে পারি না।
আমাকে সেরকম রান্না করতে হয় না। আমরা ১১ টার সময় বাসা থেকে বের হয়েছি। মন্দিরে পৌঁছাতে আমাদের এক ঘন্টা সময় লেগেছিল ।অনেকদিন পর মায়ের মন্দিরে আসলাম।শুনেছি, এই মন্দির অনেক জাগ্রত। অনেক স্বর্ণ অলংকারে দিয়ে মাকে সাজানো হয়।
তার ভক্ত ও সন্তানেরা তাদের মনো বাসনা পূর্ণ হলে মাকে বিভিন্ন স্বর্ণ অলংকার উপহার দেয়। এখানে হিন্দু-মুসলিম কোন ভেদাভেদ নেই। অন্যান্য ধর্মের লোকজন তাদের মনের বসিনা নিয়ে আসেন পূর্ন হবে সেই আশায়।
শুধু লোকমুখেই নয় এই বছরখানেক আগের কথা,এখানে কিছু চোর এসেছিল মায়ের অলংকার চুরি করার জন্য । চোরগুলো মায়ের অন্যান্য অলঙ্কার খুলে নিলো ,যখন মায়ের স্বর্নের চোখ খুলতে গিয়েছিল তখন আশ্চর্য কিছু দেখে চোরগুলো সমস্ত অলংকার মায়ের চরণের কাছে রেখে পালিয়ে যায়। এটা একদম বাস্তব সত্যি ঘটনা।
এখানে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ভক্তবৃন্দ আসেন। নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা কর্মী রাখা হয়েছে। প্রধান সড়কের পাশে হওয়াতে এখানে আসা-যাওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমার পূজোর ডালা কিনে নিলাম ।আমরা অনেক সময় ছিলাম, পূজো দেখলাম, অঞ্জলি নিলাম এবং পুজোর শেষে প্রসাদ পেলাম ।
রাত |
---|
অনেকদিন পরে ছোট তার মামা বাড়িতে গেল ।আমিও তার সঙ্গে মামা বাড়িতে গেলাম। তারা আমাদের অনেক আদর যত্ন করলো ।ছোট বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকে যে ততটা বেড়ানোর সময় পায় না ।
সংসারের কাজের পাশাপাশি গরুর থাকে, হাঁস-মুরগি থাকে, ছাগল থাকে এবং পানের বরে যে কর্মচারী কাজ করেন তাদের খাওয়া দেবার জন্য রান্না করতে হয়। আমরা অন্যান্য মন্দিরে গিয়েছিলাম । বাসায় আসতে আমাদের রাত হয়ে গেল ।অনেকদিন পর এভাবে ঘুরতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগলো ।সুন্দর একটি দিন উপভোগ করলাম যা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন এবং আত্মীয়- প্রিয়জনদের সাথে সুন্দর একটা সম্পর্ক গঠন করুন।
প্রতিটা জিনিসের জন্যই অবশ্যই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়, প্রস্তুতি যদি আপনার কোন জিনিসের মধ্যে কমতি হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনার সেই জিনিস সঠিকভাবে সাজানো-গোছানো হয়ে ওঠেনা এটা একেবারেই বাস্তব যেমন আপনি ধান চাষের কথা বলেছেন ধান উত্তোলনের কথা বলেছেন বিষয়গুলো বাস্তবতার সাথে অনেকটাই মিলে যায়।
গ্রামের যারা মহিলা রয়েছে তাদের অনেক পরিমাণে কাজ থাকে রান্নাবান্নার পাশাপাশি তারা হাঁস মুরগি পালন করা তাদের দেখাশোনা করা আপনি আবার পান এর কথা বলেছেন যেটা উনারা করে থাকেন ওখানে কাজ করা কর্মীদেরকে খাবার-দাবার দেওয়া সবকিছু মিলিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ততার মাঝেও আপনারা খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত পার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit