Hello,
Everyone,
Happy New Year 2025
নতুন বছরের নতুন দিনের শুরুতে সকলকে অনেক অনেক ভালোবসি ও শুভেচ্ছা রইল । ২০২৪ সালে ফেলে আসা দিনগুলোতে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি কিংবা অনেক কিছু হারিয়েছি ।এমন অনেক স্মৃতি আমাদের জীবনের পাতায় জমা পড়েছে ।
মানসিক ভাবে তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে এবং অনেকটা ভেঙে পড়েছি। জানিনা ২০২৫ সালে আমাদের জন্য কি কি অপেক্ষা করছে। তারপরও নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন নিয়ে ২০২৫ সাল শুরু করতে যাচ্ছি আমরা সকলে ।
২০২৪ সালে কি হারিয়েছি বা কি পেয়েছি, সে সকল ভুলে গিয়ে সফল হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে জীবনটাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিতে হবে ।২০২৪ সালে আমাদের যেমন অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছিল এবং মানুষের তৈরি অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলাম তা আপনারা সকলেই জানেন ।
বাংলাদেশের জন্য ২০২৪ সালটা ততটা ভালো কাটেনি ।অনেক মায়ের বুক খালি হয়ে গেছে ,অনেক ভাই তার বোনকে হারিয়েছে, বোন তার ভাইকে হারিয়েছে, অনেক ছোট ছোট বাচ্চা তার বাবাকে হারিয়েছে।
আজকের সকাল
আপনারা সকলেই জানেন আমি ডিসেম্বর মাষের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছি ।এই দিনগুলো সুন্দর কাটছে । সকালবেলা অনেক শীত পড়ছিল তাই ঘুম থেকে উঠতে অলসতা লাগে। আমার কোন কাজ নেই তাই দেড়ি করে উঠা হচ্ছে । ফ্রেশ হয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য সাথে কিছু কাটালাম । সকালে একত্রে নাস্তা করে নিলাম । মিষ্টি রোদে সকলে একত্রে বসে নাস্তা খাওয়া সেই পরিবেশ আমরা শহরে পাইনা।
আজকের দুপুর
দুপুর ১২টা বেজেছে তারপরও কুয়াশা চাদর ঢেকে আছে প্রকৃতিকে ।আজকে দুপুরের খাবার খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া হয়েছিল। বিজয় গুপ্তের প্রতিষ্ঠিত গৈলা মনষা মায়ের মন্দিরে, মায়ের দর্শন নিতে যাব । বাচ্চারা স্নান করে খেয়েদেয়ে তৈরি হয়ে নিল ।যতই তাড়াহুড়া করি না কেন কিন্তু তৈরি হতে হতে সেই বিকাল হয়ে গেল ।বিকেল চারটা বেজে গেল।
আজকের বিকেল
মেয়েরা সাজুগুজু করলে তো একটু সময় বেশিই লাগে ।শীতের দিন মনে হচ্ছে অনেক ছোট । কোথা থেকে যে দিন শেষ হয়ে রাত হয়ে যায় তাই বোঝা যায় না ।ওদের বাড়ি থেকে মন্দির বেশি একটা দূরে নয় তাই কোন সমস্যা হয়নি ।দিদি আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল ।
আমার পূর্বের পোস্টগুলোতে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে, মন্দিরে গেলে আমার মন ভালো হয়ে যায় এবং মন্দিরে গেলে আত্মার শান্তি পাওয়া যায় । বাচ্চারা অনেক ছবি তুলে নিলো । ওরা সুযোগ পেলে সারাক্ষণ ছবি তুলবে ।
মাঝে মাঝে ওদের মনে হয় ”সেলফি স্টিক”। এখানকার মন্দির অনেক জাগ্রত মন্দির। অনেক দূর দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ আসে মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে। এখানে সব থেকে একটি ভালো বিষয় হলো, এখানে হিন্দু ,মুসলিম, বৌদ্ধ ,খ্রিস্টান কোন ভেদাভেদ নেই। এখানে সকল ধর্মের লোক আসেন।
আজকের রাত
মন্দিরে আশার কিছুক্ষণ পরে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ঠাকুর দাদা মায়ের পূজায় বসে ছিলেন। আমরা পূজা শেষে দাদার বাসায় গিয়েছিলাম ।তিনি হলেন আমার পিসি শাশুড়ির বড় ছেলে। তাদের সাথে অনেক বছর পরে দেখা হলো।
ভাবছি, যখন এত কাছে আসলাম ,দাদার সাথে দেখা করে যাই । দাদার অনেক বয়স হয়ে গেছে। তবে বার্ধক্যের কারণে অনেক সমস্যায় ভুগছেন। সকলের সাথে অনেকদিন পরে দেখা হয়ে ভালই লাগলো ।আমাদের থাকার জন্য বলেছিলেন কিন্তু আমরা ৩১ তারিখ বাসায় চলে আসবে বিধে আমরা কিছুক্ষন পরে বাসায় চলে আসি ।
এভাবেই কেটে গেল আমার ৩০-১২-২০১৪ সালের এই দিনটি ।সকলে সুস্থ থাকুন ,ভালো থাকুন এবং নতুন বছর আপনার সফলতা নিয়ে আসুক।আজ বিদায় নিচ্ছি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবকিছু ভুলে গিয়ে নতুন করে সবকিছু শুরু করার মাধ্যমেই, আমাদের নতুন বছর শুরু হয়।আপনাকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আপনার প্রিয় মানুষের সাথে কেটে যাক আপনার এই বছর এটাই কামনা করি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে।
মেয়েদের যেমন সাজুগুজু করতে সময় লাগে। প্রতিটা কাজ করতেই মেয়েরা একটু সময় ব্যয় করে, এটা অনেকেই ধৈর্য ধরে আবার অনেকেই ধরে না। যার কারণে অনেকের মধ্যেই একটু সমস্যা হয়ে থাকে। আসলে আপনাদের যেমন মন্দিরে গেলে মন শান্ত হয়ে যায় আত্মার শান্তি পায়। আমাদের আবার মসজিদ কিংবা নিজেদের ধর্মীয় জায়গাগুলোতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে।
@muktaseo আপনাকে অনুরোধ করব পোস্ট লেখার পর, পোস্ট ভালোভাবে পড়ে দেখবেন। আপনি ২০২৪ সালের জায়গায় ২০১৪ সাল লিখে ফেলেছেন, বিষয়টা একটু ভালোভাবে দেখে তারপরে পোস্ট এডিট করে দেবেন। আশা করি আপনার জন্য ভালো হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি আপনার নির্দেশনা অনুসরণ করেছি আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit