Made by Canva |
Source |
যেহেতু আমরা মানুষগুলো ভিন্ন তাই আমাদের ডায়েরি লেখাটাও হয় ভিন্ন আমাদের পুরনো স্মৃতি আমরা কখনো প্রকাশ করতে পারি আবার কখনো প্রকাশ করতে পারি না ।এ্যাডমিন ম্যাম কে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য ।যা আমরা সবাই নিজের জীবন থেকে সেই ফেলে আসা স্মৃতির পাতা থেকে সেই কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারি ।ম্যামের প্রতিবারের প্রতিযোগিতার বিষয়টা আমাদের জীবনের সাথে মিলে যায় ।এখানে আমাদের জীবনের কাহিনী গুলো তুলে ধরতে পারি ।
আমার সেই ফেলে আসা স্মৃতির পাতা থেকে কিছু কথা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করছি এবং সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি। সাথে আমার বন্ধুদের @remlaps,@ hoesaid,@ carlaisl কে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি
1. একটি ডায়েরি গেমের মাধ্যমে একটি স্মরণীয় দিন ভাগ করুন। |
---|
আমার স্মরণীয় অনেকগুলো দিন আছে । তার ভিতর থেকে আমার ছোট্ট একটি স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি । দিনটি ভালো ১৮ -0১- ২০১৬ইং । প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানকে সুন্দরভাবে লালন-পালন করে বড় করে তোলেন । আমাদের সন্তানদের উচিত বাবা-মার ছোট ছোট আশা পূরণ করা এবং তাদেরকে একটু সুখে রাখা ।
আমি বাবার ছোট্ট একটি স্বপ্ণ পূরণ করতে পেরেছিলাম । সেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগার একটি দিন ছিল ।আর্মি বাবুর পোস্টিং খুলনা আসার পরে আমার বাবা বলেছিল সে তার প্রিয় নেতা ”বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ” এর বাড়িতে দেখতে যাবে । তার অনেক দিনের শখ ছিল সে গোপালগঞ্জ যাবে ।সেই কলেজ জীবনে একবার এসেছিলেন ।আর আসা হয়নি ।
আমাদের পোস্টিং হয়ে খুলনা আসার কিছুদিন পরে বাবা-মা আসলেন । তার সেই স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করলাম আমি । আর্মি বাবু (আমার স্বামী) ১৭ জানুয়ারি জানুয়ারি রাতে বললেন যে ,বাপি কালকে আমরা গোপালগঞ্জ যাচ্ছি ।আপনি যেতে পারবেন ।বাবা অসুস্থ ছিলেন ।তাও খুশি হয়ে বললেন আমি যেতে পারবো । তার প্রিয় নেতার বাড়ি যাবে ,এই ভেবে তার অসুখ মনে হয় সেরে গেলো ।বাবার খুশি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো এবং সে আনন্দটা আমার জীবনে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
2. কেন সেই দিনটি এখনও আপনার জন্য স্মরণীয় তার কারণ উল্লেখ করুন। |
---|
বাবা-মা আমাদের জন্য অনেক কিছু করেন । তাদের সর্বস্ব আমাদের জন্য দিয়ে দেয় । সন্তান হিসেবে বাবা-মাকে ছোট্ট ছোট্ট খুশি দিয়ে আনন্দ দিতে পারলে এটাই আমি মনে করি সন্তানদের সার্থকতা ।আমার বাবার বেশি কিছু চাহিদা ছিল না । বাবা হলেন আমাদের অভিভাবক , তেমনি আমাদের বন্ধু ।তা আমি মনে করি অনেক কিছু দামি জিনিস না দিয়েও তাদের ইচ্ছাটা যদি আমরা পূরণ করতে পারি তাতেই তারা অনেক খুশি হয় এবং আমাদের কাছ থেকে এর বেশি কিছু চায় না তারা ।
অর্থ সম্পদ আমাদের জীবনের প্রয়োজন কিন্তু অর্থ সম্পদ দিয়ে অনেক সময় সুখ কেনা যায় না ।তাই বাবা-মার ইচ্ছেটাকে পূরণ করতে পারলেই আমি মনে করি সেটাই আমাদের সন্তানদের বড় পাওয়া ।তাই ছোট ছোট ইচ্ছা পূরণ গুলো যখন করতে পারি তখন আমার খুবই ভালো লাগে । বাবার অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম । যা আমার স্মৃতিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।
3. কারণ বর্ণনা করার সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দিন ভাগ করুন। |
---|
আগের দিন রাত্রে আমরা সবকিছু গুছিয়ে রেখেছিলাম যাবার জন্য । মা বাবা অনেক খুশি ছিলেন আমরাও খুশি ছিলাম ।তখন শীতের দিন ছিল তাই মা-বাবাকে বললাম শীতের পোশাক নিতে । তাদের প্রয়োজনে ওষুধপত্র আমি গুছিয়ে নিলাম ।যেহেতু তারা দুইজনেই ডায়াবেটিসের রোগী ।রাতে ঘুম হচ্ছে না, কখন রাত শেষ হবে, কখন সকালে হবে আমরা কখন গোপালগঞ্জ যাব? এই ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম ।
সকাল বেলা |
---|
সেদিন আমি খুব সকালে উঠলাম । ঘুম থেকে উঠে ঘর গুছিয়ে নিলাম ,ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা বানিয়ে দিলাম। মা -বাবা ইনসুলিন নেওয়ার পরে তাদেরকে সকালের নাস্তা দিলাম ।বাবা মা মেয়ে আমার স্বামী সবাই একসাথে নাস্তা করে নিলাম । বাবা মাকে তার ওষুধ দিলাম।
আমি স্নান করে ঠাকুর পূজা দিয়ে নিলাম এবং সবাইকে রেডি হতে বললাম ।সবাই রেডি হল। আমরা বাসা থেকে দশটার সময় যাত্রা শুরু করলাম । আমরা দেড় ঘন্টা ভিতরে গোপালগঞ্জ চলে আশি । মাঝপথে তার এক বন্ধু ফোনে আমাদেরকে নিমন্ত্রণ করল দুপুরের খাবার তার বাসায় খেতে ।
দুপুর বেলা |
---|
আমরা প্রথমে তার বন্ধুর বাসায় গেলাম এবং গিয়ে ফ্রেশ হলাম । ভাবি আমাদেরকে নাস্তা দিলেন ও অনেক গল্প করলাম ।দুপুরের খাবারের অনেক কিছু আয়োজন করেছিল ।খাবার টেবিলে সবাই খাবার খাচ্ছিলাম কিন্তু বাবা বারবার বলছে কখন যাব ? কখন যাব?। তখন ভাইয়া বললেন , আমার বাসা থেকে কাছে আমি আপনাদেরকে নিয়ে যাবো । বাবা এতটাই উৎসাহিত ছিল যে ,তার এখানে খাবার দাবার ও ভালো লাগছে না সে কখন তার নেতা বাড়ি যাবে ?
বিকেল বেলা |
---|
বিকেল তিনটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বাবা বলতেছে আর এখানে রেস্ট নেওয়া দরকার নেই চলো । ভাইয়া আমাদের সঙ্গে গেলেন এবং সে সবকিছু ঘুরে ঘুরে আমাদেরকে দেখাচ্ছেন । আমার বাবা প্রবেশ পথে এসে আবেগে চোখে জল এসে গেল । বাবা অনেক খুশি হলেন ।এত দিন পরে তার স্বপ্ন সত্যি হলো।
সে আজ অনেক খুশি ছিল , বাড়িতে ঘুরে দেখছিলেন আর আমাদেরকে নেতার সম্বন্ধে বলতে ছিলেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবা দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন । জাতির পিতার সেই কথা , প্রতিটি ভাষণ আমাদের জনসাধরনকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য । যার জন্য আমাদের দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে ।
আমার স্বামী এর আগেও এখানে ডিউটির জন্য ৩-৪ বার এসেছিলেন কিন্তু আমি এই প্রথম আসি ।বাবা-মা বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছেন আর আমাদের সাথে তার সেই দিনগুলো সম্পর্কে বলছেন ।১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সেই কালো রাতের যা ঘটেছিল ,বলতে বলতে বাবার চোখে জল এসেগেলো ।
সন্ধ্যা বেলা |
---|
দেখতে দেখতে যে সন্ধ্যা হয়ে গেল । আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে ছিলাম ।বাবাকে বললাম বাবা তোমার আশা পূর্ণ হল । বাবা হাসি দিয়ে বললেন , জাতির পিতার বাড়িতে এসে অনেক খুশি ।
অনেক দিনের স্বপ্ন আছে সত্যি হলো ।আমরা কিছু হালকা নাস্তা করে আবার খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম । এক ঘন্টা 35 মিনিটের ভিতরে আমরা খুলনা পৌছে গেলাম ।এভাবে কেটে গেল আমাদের সারা দিন ।
সে দিনটি আমার সারা জীবন মনে থাকবে ।আমি হয়তো অনেক কিছু দিতে পারিছি না কিন্তু ছোট ছোট স্বপ্নগুলো যদি পূরণ করতে পারি তবে বাবা-মা অনেক খুশি হন । আমি আশা করি ,আমাদের শৈশবে যেমন বাবা - মা আমাদেরকে লালন পালন করে বড় করেন তেমনি বাবা-মার বৃদ্ধ সময় যদি আমরা তাদের একটু পাশে থাকি ।
আমরা যদি তাদের ছোট ছোট স্বপ্ন পূরণ করতে পারি তবে আমাদের সন্তানদের জীবন সার্থক হবে । আসুন আমরা সকলেই আমাদের বাবা-মাকে ভালোবাসি ,তাদের শ্রদ্ধা করি ও সম্মান করি। একটু হলেও তাদের সময় দেই । আজ এখানে শেষ করছি ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।
This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 1/6) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hola amiga, me alegro que hayas podido cumplir el deseo de tu padre. Siempre es muy importante poder hacerlo. Los hijos siempre deben honrar y velar por sus padres.
Me imagino la alegría de tu padre al llegar a ese lugar. Que bueno que ese momento especial quede grabado en tu memoria. Es muy hermoso lo que hiciste. Te deseo éxito en todo lo que desee. Bendiciones para ti 🙌
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you very much for taking your valuable time to read my post and leave a nice comment.
Best wishes for you.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও পদ্মাব্রিজ উদ্বোধনের কদিন পরেই গিয়েছেলাম বঙ্গবন্ধুর বাড়ি দেখতে।কিছুক্ষন আগেই ছবিগুলো দেখছিলাম।
আপনি এত সুন্দর করে আপানার সেদিনের স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোষ্টটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সর্বপ্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।। আজকের এই প্রতিযোগিতায় যে বিষয়টি ছিল আপনি তার আলোকে চমৎকার ভাবে পোস্ট লিখেছেন।।
আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার স্মরণীয় দিন সম্পর্কে জানতে পারলাম।। আপনার সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় দিন ছিল আপনার বাবার একটি স্বপ্ন পূরণ করা আর সেটি আপনি করেছিলেন আর এই দিনটি আপনার সবচাইতে বেশি স্মরণীয় হয়ে আছে।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের পোস্টটি খুবই চমৎকারভাবে গুছিয়ে পোস্ট লিখেছেন।।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবসময় ভালো থাকবেন আর এরকম নতুন নতুন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit