Made by Canva |
Hello,
Everyone,
শুরুতেই অ্যাডমিন ম্যামকে (@sduttaskitchen ) অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। ধরা যাক সেই ৯০ দশকের কথা বা তারও আগের কথা। তখন আমাদের একমাত্র বিনোদন মাধ্যম ছিল থিয়েটার ,জারি গান, টপ্পা, যাত্রাপালা ।তখন এত কিছু আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বে যত আধুনিকতার ছোয়া লাগছে তত নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে। ওটিটি হল তেমনি একটি আবিষ্কার , যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেক জনপ্রিয়।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বন্ধুদের পছন্দ জানতে পারবো এবং আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চলে এসেছি ।প্রতিযোগিতা নিয়ম অনুসারে বন্ধুদের @remlaps-lite ,@ miftahulrizky ,@ shiftitamanna কে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । আশা করি তারা অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
• What is your preference went to the theatre or enjoying OTT platforms? Justify your selection. |
---|
Source |
ওটিটি এবং থিয়েটার দুটি হলো বিনোদন মাধ্যম । যখন ওটিটি প্লাটফর্ম আবিষ্কৃত হয়নি তখন আমাদের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল থিয়েটার বা প্রেক্ষাগৃহ । সিনেমা হলে গিয়ে তিন ঘন্টা সময় নিয়ে আমাদের যে কোন চলচ্চিত্র দেখতে হতো। তবে তখনকার চলচ্চিত্র গুলো ছিল সামাজিক গুলো দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে এবং চলচ্চিত্রের মান নিম্নতর হয়ে যাচ্ছে ।
তখনকার দিনে সিনেমা হলে নতুন একটি সিনেমা আসলে কখন আমরা সেটা দেখতে যাব এটাব ভাবতাম ।আমরা শুক্রবার দিনটির জন্য অপেক্ষা করতাম ,কখন বাপির অফিস ছুটি থাকবে, পরিবারের সকলে মিলে নতুন সিনেমাটি দেখতে যাব। তখনকার সিনেমা গুলো ছিল ধর্মীয় এবং সামাজিক ।এত সুন্দর ছিল যা দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যেত না ।তখনও প্রেম ভালোবাসা ছিল কিন্তু অশ্লীলতা ছিল না ।তখনকার সিনেমা গুলোর নামও ছিল অনেক সুন্দর ।যেমন; মায়ের দোয়া, কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, সাজান ইত্যাদি। তখন হিন্দি বলুন কিংবা বাংলা সিনেমা বলুন সবগুলোই সামাজিকতা ছিল ।
বর্তমান সময়ে আমাদের বাচ্চাদের সাথে বসে একত্রে সিনেমা দেখার মত সিনেমা তৈরি হচ্ছে না । সিনেমা হলের পরিবেশ এখন অনেক নষ্ট হয়ে গেছে যার জন্য পরিবারের সকলকে নিয়ে হলে যেতে অভিভাবকরা দ্বিধাগ্রস্ত হয় ।
দিন দিন সিনেমা হল কিংবা থিয়েটার হ্রাস পাচ্ছে আর সেখানে ওটিটি হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে আপনি ঘরে বসে সকল ধরনের সিনেমা উপভোগ করতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কনটেন্ট দেখতে পারেন পরিবারের সকলের সাথে বসে ।
এখানে অশ্লীল কন্টেন্টও আছে তবে সেগুলো না দেখে ভালো গুলো পরিবারে সকলের সাথে দেখা যায় । অনলাইন মাধ্যমে ভালো এবং মন্দ দুটো বিষয় আছে , আপনার পছন্দমত বিষয়টি আপনি গ্রহণ করতে পারেন ।আপনি চাইলে ভালো বিষয়টি নিতে পারেন কিংবা খারাপ বিষয়টি নিতে পারেন সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার মন মানসিকতার উপর ।সেক্ষেত্রে আমি থিয়েটার থেকে ওটিটি প্লাটফর্মকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ১০ টির মত সেরা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ।
• The best web series or movie you enjoyed as of now. Share something behind your love for the same. |
---|
অনেকগুলো প্রিয় সিনেমা আছে যে কাহিনী গুলো আজও মনে গেধে আছে । আমার প্রিয় সিনেমা হলে ৯০ দশকের সিনেমা। পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখার মত পরিবেশ ছিল । তেমন একটি সিনেমা হল শাবানা এবং আলমগীর অভিনীত মায়ের দোয়া।
সেই সিনেমাটা এত সুন্দর ছিল যা পরবর্তীতে ভারতে এই চলচ্চিত্রের আলোকে আরেকটি চলচ্চিত্র করেছিল। সেখানেও মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আলমগীর। তখনকার সিনেমাগুলো অনেক সুন্দর ছিল যা অনেক শিক্ষনীয় ছিল, পরিবারের সুখ দুঃখ সকল কিছু সেখানে উপস্থাপন করা হত । বর্তমানে এইরকম সিনেমা তৈরি হচ্ছে না। তারপরে মরহুম চিত্রনায়ক সালমান শাহ অভিনীত ”কেয়ামত থেকে কেয়ামত” চলচ্চিত্রটি খুবই সুন্দর ছিল ।
তবে বর্তমানে ওয়েব সিরিজ গুলোর ভিতর মোশারফ করিম অভিনীত ”মহানগর” ওয়েব সিরিজটি আমার খুব ভালো লাগে। এই ওয়েব সিরিজে বর্তমান পরিস্থিতির সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বর্তমানে সময়ের সেই দুর্নীতি ,কালোবাজারি এবং একজন অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার কাহিনী এখানে তুলে ধরা হয়েছে ।এই ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব চলছে ।
রাজধানী ঢাকা এই মহানগরীর প্রতিদিনের গল্প এখানে বোঝানো হয়েছে ।এখানে কিভাবে ক্ষমতায় উঠতে হয় এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তাকে কতটা পরিশ্রম এবং কতটা অন্যায় করতে হয় , কতটা মানুষ তার অধিকার বা তার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য হিংস্র হতে পারে ।এই সিরিজে মোশারফ করিমের একটি ডায়লগ আমার ভালো লাগেছে।
ডায়লগটা ছিল এমন:- দুইটা কথা মনে রাখবেন, নাম আমার হারুন, হারুন এত সহজে হারে না ।
মহানগর |
---|
এ দুটো আপনি দেখে আসতে পারেন তাহলে আমার ভালোলাগার সাথে আপনাদের ভালো লাগাটা মিলে যেতে পারে । |
---|
• Last time, when did you visit the theatre to watch a movie? Share your experience! |
---|
আমরা ছোটবেলায় নতুন সিনেমা দেখার যতটা আগ্রহ ছিল এখন আর ততটা নেই । সিনেমা হলের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কারণে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখার মন মানসিকতায় উঠে গেছে , যার জন্য দর্শক কম হওয়ার জন্য অনেক প্রেক্ষাগৃহে বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলোবা আছে সেগুলোতে পরিবার নিয়ে একত্রে বসে চলচ্চিত্র দেখার মত পরিবেশ নেই ।
আমি শেষ বার প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখেছিলাম ২০১০ সালে ঢাকা সেনানিবাস গ্যারিসন সিনেমা হলে। যেহেতু এটি ক্যান্টনমেন্টের ভিতর ছিল সেহেতু এখানের পরিবেশটা অনেক ভালো ছিল । তবে এখন সেই সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে । সেখনে বিশাল ”সিএসডি” মার্কেট তৈরি করা হয়েছে ।
প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা না দেখে বাসায় বসে ওয়েব সিরিজ দেখা অনেক নিরাপদ আমার তাই মনে হয় কারণ এখানে যদি কোন অশ্লীল চরিত্র আমাদের সামনে ভেসে আসে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেটা পরিবর্তন করে দিতে পারি বা টেনে দিতে পারি। কিন্তু সিনেমা হলে গিয়ে পরিবারের সাথে সেগুলো দেখতে গেলে অস্বস্তিকর পরিস্তিতির সম্মুখীন হতে হয়।
আমি সকল পরিচালক এবং নির্মাতাগণকে অনুরোধ করতে চাই ,তারা বাস্তব ধর্মী এবং সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করুক। যা আমরা পরিবারের সকল সদস্য মিলে উপভোগ করতে পারি এবং সিনেমা হলের পরিবেশটা যদি ভালো হয় তাহলে সেই পুরনো দিনের মতো সিনেমা হলের ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি । সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন । সামাজিক চলচিত্র উপভোগ করুন ।
X
https://x.com/muktaseo/status/1838095089790566857
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit