হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি বৃষ্টি ভেজা ঈদ আপনাদের মাঝে অনেক আনন্দ এবং ভালোবাসা পূর্ণ একটি মুহূর্ত পার করছেন আমি নাজমুল ইসলাম আমি বাংলাদেশে বসবাস করি আজকে আমি আপনাদের ঈদের কিছু করোনি এবং বর্জনীয় দিক সমূহ নিয়ে কথা বলব আশা করি এই দিকগুলো আপনাদের জীবনে কিছুটা হলে কাজে লাগবে আশা করি আপনারা পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
প্রথমত ঈদ পালন করার জন্য আমরা বিভিন্ন শহর অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের নিজ গ্রামের বাড়িতে ভ্রমণ করে থাকি ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সেইফ ভাবে ভ্রমণ করব যে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেই সে সকল বাস, ট্রেন, লঞ্চে ভ্রমণ করতে হবে। এবং বাসের ফিটনেস লাইসেন্স ঠিক আছে কিনা সেটা যাচাই বাছাই করতে হবে গাড়ি চালাতে হবে ট্রাফিক নিয়ম মেনে যাতে অতিরিক্ত জ্যাম না হয় এবং রুট এক্সিডেন্ট যাতে না হয়।
বাসে যাদের বমি হয় তারা একটু জানালার পাশে বসবেন এবং সে ক্ষেত্রে জানালার দৃশ্য দিকে তাকাবেন না কিছু দিকে তাকালে বমি ভাব হতে পারে যতটুকু সম্ভব একটু চোখ বন্ধ করে বা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন যদি আপনি দূরের যাত্রী হন আর সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যাগ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিরাপদ জায়গাতে রাখবেন।
যেহেতু এখন অতিরিক্ত গরম পড়ে তাই যখন আপনি গন্তব্যস্থলে পৌঁছবেন তখন অবশ্যই গোসল করে নিবেন এবং অতিরিক্ত যদি ঘাম হয় তাহলে লেবু পানি খেতে পারেন বা বেশি অতিরিক্ত হলে স্যালাইন খেতে পারেন এবং সেটা অবশ্যই আধা লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে তারপর পান করতে হবে।
পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা উচিত এবং আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে সে সম্পর্ক রাখা উচিত এবং আশেপাশের মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা উচিত এবং ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক সেই ভাবেই পালন করা উচিত কোন ভেদাভেদ যাতে না থাকে সেজন্য আমরা আনন্দ ভাগাভাগি করে নিব।
ঈদের দিনে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পারেন তবে অবশ্যই সেটা পরিমাণ মতো আর যদি আপনি ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে মিষ্টি জাতীয় জিনিস পরিহার করাই উত্তম।
- কুরবানি ঈদের ক্ষেত্রে কুরবানী করার পর পশুর রক্ত, বজ্র পদার্থ মাটির তিন হাত নিচে পুতে ফেলতে হবে।
- তাড়াহুড়ো করে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে বাস-ট্রেন লঞ্চে ভ্রমণ করা যাবে না। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং জীবনে শেষ ঈদ হয়ে যেতে পারে তাই অবশ্যই সেটা মাথায় রাখতে হবে আর ড্রাইভার যারা আছে তারা অবশ্যই ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলে গাড়ি চালাবে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।
ঈদের দিনে সবার বাসায় কম বেশ ভাল রান্না করা হয় তাই ইচ্ছে মতো পেট ভরে খাওয়া যাবেনা। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আর যারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার রোগীদের চর্বি জাতীয় খাবার ভাজাপোড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করবে বা কম খাবে।
কোরবানি ঈদের ক্ষেত্রে পশুর জবাই করার পর এর রক্ত, বজ্র পদার্থ ইত্যাদি নির্দিষ্ট জায়গাতে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে যেখানে সেখানে ফেলানো যাবে না। এতে পরিবেশের দূষিত হবে এবং বিভিন্ন রোগ জীবাণু আক্রান্ত হয়েও মানুষ অসুস্থ হবে এবং আপনি নিজেও অসুস্থ হতে পারেন তাই অবশ্যই তিন হাত গর্ত করে এগুলো মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে।
- আমরা মুসলমানদের দুটি ঈদ যদি কোরবানির ঈদ হয় তাহলে যারা কোরবানি দিতে অক্ষম গরিব দুঃখী মানুষের নিকট কোরবানির মাংস বিলিয়ে দিতে হবে। তারাও যাতে ঈদের আনন্দ পায় এবং একটু ভালো খাবার খেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
- আর যদি রোজার ঈদ হয় তাহলে অবশ্যই আমরা গরিবদের যে হক যাকাত এবং ফিতরা ঠিকমত আদায় করব। যদি আমরা নিয়মিত যাকাত এবং ফিতরা আদায় করি তাহলে আমাদের বাংলাদেশের গরীবদের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমে যাবে এবং গরিব ধনী যে ব্যবধান সেটা অনেকটা ব্যালেন্স হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
- আমরা ঈদে বিশেষ করে রোজার ঈদে সবাই কমবেশ নতুন কাপড় কিনে থাকি তো আমার একটি অনুরোধ থাকবে যারা নতুন কাপড় কিনার টাকা নেই তাদেরকে যেন আমরা যতটুকু পারি কিছু কাপড় কিনে দেই। এতে তাদের মুখে যে হাসিটা ফুটবে সেটা আসলে কোন টাকা দিয়ে বা পয়সা দিয়ে যাচাই করা যাবে না সেটাও অমূল্য।