নমস্কার বন্ধুরা। আজ আমার ছোট বোনের ছেলের স্কুলে স্পোর্টস ডে ছিল। কদিন ধরে এই ওর খুব কাশি হয়েছে তাই ও স্কুলে যেতে পারিনি। তাই ও ভেবেছিল হয়তো খেলায় ওর নামটা কেটে দিয়েছে। আজ সেজন্য ও স্কুলের যেতেই চাইছিল না।
ওর বন্ধুর মা হঠাৎই ফোন করে ওর মাকে বলে যে অঙ্কিতের খেলায় নাম আছে ওকে স্কুলে নিয়ে আসো। বোন দুটো পাঠা করে স্কুল থেকে আটটার সময় বাড়ি এসে ওর ছেলেকে তৈরি করে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে স্কুলে পৌঁছে দেয়।
এরকম পরিস্থিতিতে মা-বাবা কিভাবে তার সন্তানকে তৈরি করে একমাত্র তারাই জানে। এরকম হুটোপাটার মধ্যে কিভাবে একটি বাচ্চাকে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে হবে এবং সেই পৌঁছে দেওয়ার জার্নি টা কেমন হয় তা আজ আমার ছোট বোন খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে।
তারপরে এত কষ্ট করে ছেলেকে যখন স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আবার নিজের স্কুলে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের টিফিনের ব্যবস্থা করে তাদের ছুটি দেওয়া এবং তাদের ছুটি দেওয়ার পরে আবার ছেলের স্কুলে খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য নিজের স্কুল থেকে যাওয়া বেশ চাপেরই ব্যাপার ছিল।
আমি সকাল থেকে শুধু আমার ছোট বোনের এই যাওয়া আসা আর এই ছুটোছুটি লক্ষ্য করছিলাম আর ভাবছিলাম একটি সন্তানকে লালন পালন করে বড় করা এবং তাকে সকল কাজে এগিয়ে দেওয়ার জন্য বাবা-মার চেয়ে কি অক্লান্ত পরিশ্রম থাকে তা নিজেদের জীবনে যখন হয় তখন উপলব্ধি করা যায়।
যেহেতু আমার ছোট বোন আমাদের খুব আদরের তাই ওর প্রতিটি কাজকে কিভাবে সহজ করে দেয়া যায় সেজন্য আমি আর আমার মেজ বোন সবসময়ই সচেষ্ট থাকে। কোন কোন সময় ওকে যখন আমরা সাহায্য করতে পারি না তখন খুব খারাপ লাগে এবং মনে হয় হয়তো এত কষ্ট আমার ছোট বোন একাই করছে। কিন্তু আজ আমি মরমে মরমে উপলব্ধি করলাম যে এরকম কষ্ট শুধুমাত্র আমার ছোট বোন একা করছে না পৃথিবীর সকল বাবা-মাই এই কষ্ট করে থাকে তার সন্তানের জন্য।
এবং এই কষ্টের ফল স্বরূপ যখন তার সন্তান জীবনে প্রতিষ্ঠা পায় তখন সেই বাবা-মার সকল দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায় এবং তারা তাদের সকল কষ্টের পরিশ্রমের উপহার পায়। যেমনটা করে আজ আমার ছোট বোনের ছেলে খেলায় দ্বিতীয় পুরস্কার নিয়ে এসে ওর মাকে খুব আনন্দ দিতে পেরেছে। ওর মায়ের মনে হয়েছে যে আজ যদি ও ওর ছেলেকে সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছে দিতে না পারতো তাহলে হয়তো এই প্রাপ্তি ওর ছেলের হত না।
পৃথিবীর সকল বাবা-মার এমনই হয়তো মনোভাব তারা নিজেদের সকল দুঃখ কষ্ট কে দূরে ঠেলে রেখে তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথায় ভাবে এবং তাদের কিসে ভালো হবে সেজন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকে। তাই আমাদেরও উচিত আমাদের বাবা মার প্রতি আনুগত্য থাকা। এবং আমাদেরও উচিত আমাদের বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া তাদের ভালো মন্দের খোঁজ নেওয়া। এ বিষয়ে আপনাদের মতামত জানাবেন।
আপনি সত্যিই বলেছেন, একটি সন্তান জন্মের পর থেকে, বাবা-মা দুইজনে মিলেই দিনরাত কঠিন পরিশ্রম করে। ওই সন্তান যখন বড় হয়ে, মানুষের মতন মানুষ হয়। তখন বাবা-মায়ের সফল হয়। সন্তানটি যদি হেরে যায়, পিতা মাতাও হেরে যায়। এই সন্তানের ভালোবাসা জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করে, আমি হয়তো এখন বুঝবো না। আমি যখন বাবা হব তখন হয়তো বুঝবো। তারপরও আমার বাবা-মায়ের ভালোবাসা থেকে আমি উপলব্ধি করতে পারি। তারা আমার জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করেছে।
সত্যিই আপনার ছোট বোনটি অনেক পরিশ্রমী একজন মা। আপনার পোস্টটি পড়ে আরেকটি বিষয় জানতে পারলাম। আপনারা দুই বোন ছোট বোনকে সময় পেলেই সাহায্য করেন ছোটবোনের দুঃখগুলো ভাগাভাগি করার চেষ্টা করেন। বোনদের ভালোবাসা এমনই হওয়া উচিত। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর আপনার ছোট বোনের ছেলের জন্য শুভেচ্ছা রইল। 💕 💕
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ জেনে খুশি হলাম আপনার বোনের ছেলে খেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ওর এই জিতে যাওয়াটা ওকে কতখানি আনন্দ দিয়েছে জানিনা, তবে ওর থেকেও অনেক বেশি খুশি হয়েছেন আপনার বোন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সত্যি কথা বলতে আজকাল উচিত কাজগুলো করা থেকেই বোধহয় সকলে বিরত থাকতে পছন্দ করে। বাবা মা তাদের দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করেন সঠিকভাবে। কিন্তু সন্তান হিসেবে আমাদেরও কিছু কর্তব্য রয়েছে, যেগুলো আমাদের পালন করা উচিত, তবে হিসেব করলে দেখা যায় এই উচিত কাজগুলো করতেই আমরা সর্বদা ভুলে যাই।
আমি সত্যিই জানিনা আপনার বোনের ছেলে বড় হয়ে তার জীবনে সফলতা এলে, তার ছোটবেলায় তার মায়ের এই ছোট্ট ছোট্ট চেষ্টা গুলোর কথা মনে রাখবে কিনা। তবে যদি মনে রাখে তবেই বোধ হয় আপনার বোনের এই কষ্টগুলো সফল হবে।
প্রার্থনা করি পৃথিবীর সকল সন্তানের মনোভাব পরিবর্তন হোক। ভাল থাকুক সকল সন্তান ও মায়ের সম্পর্ক। ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit