নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করি ভালই আছেন। আজ অনেকদিন পরে একটু ভোরবেলায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। বেড়াতে না আসলে আজকে গিয়েছিলাম আমাদের কৃষ্ণনগরের ফুল বাজারে।
এই ফুল বাজারে ভোর চারটা থেকে ফুলের পসরা বসে যায়। যেহেতু এখন শীত তাই ফুলের বাহার দেখার মত। আর এখন তো পৌষ মাস পরে গিয়েছে,সেজন্য ফুলের দামটাও একটু কম। আজ আমি ফুলবাজারে গিয়েছিলাম ফুলের দাম কেমন যাচ্ছে জানার জন্য। কারণ আগামী রবিবার আমাদের রামকৃষ্ণ মিশনে শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর জন্মতিথীর পূজা এবং সেই পূজায় অনেক ফুল প্রয়োজন হয়।
ঠাকুরমার স্বামীজীর মালা তৈরি পূজার ফুল এ ছাড়া পুরো মিশন ফুল দিয়ে সাজানো এই সব কাজের জন্য অনেক ফুলের প্রয়োজন। তাই একবার দেখে আসলাম ফুলের দাম কেমন যাচ্ছে আর কি কি ফুল বেশি ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
আজ ফুলবাচারে সব থেকে বেশি ফুলের দাম ছিল পদ্মের। এক একটা পদ্মের দাম ৩০ টাকা করে বলছিল আর সবচেয়ে কম ফুলের দাম ছিল গোলাপের ১০০টা গোলাপের দাম ১০০ টাকা। গোলাপ ফুলেরও রকমারি লাল, হলুদ ,গোলাপি, সাদা। সব থেকে বেশি ভালো ফুল ছিল গাঁদা এবং চন্দ্রমল্লিকা।
চন্দ্রমল্লিকা মধ্যে সবথেকে সাদা চন্দ্রমল্লিকা আর হলুদ চন্দ্রমল্লিকা বেশি ভালো লাগছিল। চন্দ্রমল্লিকা গুলি এখনো সেরকম ভাবে ফোটে নি এবং এই ফুলগুলির রং গুলো বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠেনি। এছাড়া ছিল রজনীগন্ধা ।
আমাদের বাড়ি থেকে ফুলবাজারে সাইকেল চালিয়ে যেতে প্রায় কুড়ি থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। একে তো ঠান্ডা তার ওপর সাইকেল চালিয়ে এত দূর যাওয়া একটু কষ্টের মনে হলেও বেশ ভালোই লাগে কারণ সকাল বেলায় রাতটাও ফাঁকা থাকে আর শীতের মধ্যে সাইকেল চালিয়ে একটু ঘুরেও আসা যায়।
সবথেকে ভালো লাগে যখন একসঙ্গে অনেক ফুলের পসরা দেখা হয় তখন যেন চোখে একটা স্বস্তি হয় এবং মনও আনন্দে ভরে ওঠে। আমি মাঝে মাঝেই এই ফুল বাজারে যাই। অনেক ফুল একসঙ্গে দেখে আমার খুব মন খুশিতে ভরে ওঠে এবং ফুল বাজারের প্রায় সকলেই আমাকে এখন চিনিই গিয়েছে কারণ যেহেতু আমি মাঝে মাঝেই ফুলবাজারে যাই এবং দাদাদেরকে জিজ্ঞাসা করি কোন ফুল কেমন দাম, কোন ফুল এখন বেশি ভালো হচ্ছে ,কোন ফুল চাষ করতে কত সময় লাগে ইত্যাদি।
এমনি খুচরো ফুলের দোকান থেকে ফুল কিনলে যেখানে ৫০০ টাকা লাগবে সেই ৫০০ টাকায় এখানে অনেক ফুল পাওয়া যাবে। এবং প্রতিটি ফুলই টাটকা সদ্য তুলে নিয়ে আসা ফুল। আমাদের এখানে এমনি খুচরা দোকানদাররা এই ফুল বাজার থেকেই ফুল কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করে ফলে তারা একটু বেশি লাভই করে আমাদের থেকে। তাই যখন কারুর অনেক বেশি ফুল প্রয়োজন হয় তখন তারা এই ফুল বাজার থেকে ফুল কিনে নিয়ে আসে। তাতে পয়সাটাও কম লাগে আবার ফুলটাও ভালো পাওয়া যায়। আপনাদের এই ফুলের বাজার কেমন লাগলো একটু বলবেন।
সত্যিই আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ফুল কার না ভালো লাগে , সবারই ভালো লাগে এই ফুল। আপনার পোস্টটি পরে জানতে পারলাম, অনেক ফুলের দাম আমার পছন্দের মধ্যে ফুল হলো গোলাপ ফুল। গোলাপ ফুলের দাম শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম ১০০ টা ফুল ১০০ টাকা সত্যিই অনেক কম। আমাদের ঢাকাতেও একটি ফুলের বাজার আছে কিন্তু আমাদের বাসা থেকে অনেক দূর এটা হল শাহবাগের মোড়, ওইখানে এরকম বাজার বসে।আচ্ছা আপু আপনাদের বাজারে কি কালো গোলাপ পাওয়া যায়। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এক কথায় অসাধারণ লাগলো। একটা চলতি কথা আছে, ফুল এবং শিশু যারা পছন্দ করে না, তারা আদেও মানুষের মধ্যে পড়ে না। সত্যিই তাই। শীতকালে গাঁদা ফুলের অনেক সম্ভার চোখে পড়ে।
সত্যি কথা বলতে আমাদের বাড়িতে জায়গা একেবারেই নেই,কিন্তু আমার শাশুড়ি মায়ের খুব শখ বলে তিনি ছাদের মধ্যে তিনি অতি যত্নে জবা ফুল, স্থলপদ্ম ও সাদা ফুলের গাছ লাগিয়েছেন। তবে শীতের কারণে এখন ফুল ফোঁটে না বললেই চলে।এই কারণে বাজার থেকে এখন গাঁদা ফুল কিনে নিয়ে আসা হয়।
তবে এই রকম ফুলের বাজার থেকে সত্যিই কম টাকায় অনেক ফুল পাওয়া যায়। আর বেশি ফুল দিয়ে ঠাকুর পুজো দিতে ভালো লাগে না এমন মানুষ বোধহয় সত্যিই নেই। কৃষ্ণনগরের ফুলের বাজার কখনো ঘুরে দেখা হয়নি এ কথা ঠিক, কিন্তু আমার বাপের বাড়ির এলাকায়ও একটা ছোট্ট ফুলের বাজার আছে, যেখানে অনেক ফুলের সমাহার দেখা যায়। তাই এমন বাজারে গেলে ফুল প্রিয় মানুষের অনুভূতি কেমন হতে পারে, তা খানিকটা আন্দাজ করতে পারছি বটে।
ভালো লাগলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে কৃষ্ণনগরের ফুল বাজার ঘুরে দেখতে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit