নমস্কার বন্ধুর। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালই আছেন এবং এই শীত পড়তে পড়তে সবাই হয়তো একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জিজ্ঞাসা করবেন কেন? তাহলে বলতে হয় শীত মানেই তো আমরা মেতে উঠছি বেড়াতে যাওয়া বনভোজনের আনন্দে।
হ্যাঁ , এমনই একটি ছোট্টখাটো পিকনিক বা বনভোজন হয়ে গেল আজ আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। বনভোজনের মেনুটা আহামরি না হলেও মন্দ ছিল না।
নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে বাচ্চারা বনভোজনের মেনুতে কি কি করল। প্রথমেই বলি এদিন ওদের পড়াশোনাটা একটু অন্যরকম হয়েছে। ওদের মধ্যে থেকেই ওদের শিক্ষক শিক্ষিকা বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং তারাই বাকিজনদের পড়াশোনা করিয়াছে।
যেমনটা শিক্ষক দিবসে আমাদের বেলায় আমাদের বিদ্যালয়ে হত। আমাদের নবম শ্রেণীর দাদা দিদিরা নিচের ক্লাসের ভাই-বোনদের একদিনের জন্য শিক্ষক বা শিক্ষিকা হতে পারত ঠিক সে রকম। এই আনন্দটা দেখার মত ছিল। কারণ শিক্ষার্থী তো ওরা সকলেই কিন্তু এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেও যে শিক্ষক হওয়া যায় সেই ধারণা ও ছিল না।
তারপর কিছু জনকে নিয়ে শুরু করে দিয়েছিলাম আমাদের বনভোজনের আয়োজন। কেউ সবজি কাটা ,কেউ রান্নায় খুন্তি নাড়া , কেউবা থালা সাজানো আবার কেউ জল দেওয়া সব কাজই ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিল।
এই বনভোজনের উপরি পাওনাটা হল মহারাজের গল্প বলা। হ্যাঁ, বাচ্চারা যেহেতু রোজই পড়াশোনা করে তাই মহারাজ ওদের আজকে একটু অন্যরকম ভাবে পড়ালেন। একটু করে গল্প করছিলেন এবং সেই গল্পের থেকেই ওদের বোধ পরীক্ষণ করার জন্য প্রশ্ন করছিলেন আর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা হৈ হৈ করে হাত তুলতে মহারাজের কাছে আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করতে শুরু করছিল এ যেন এক আনন্দের ঢল নেমেছিল আজ আমাদের স্কুলে।
ও বলাই তো হল না আজকে স্কুলের বনভোজনের মেনু টা কি ছিল। বনভোজনের মেনুতে ছিল আজকে খিচুড়ি ,আলুর দম ,ডিম ভাজা ,মিষ্টি দই ও রসগোল্লা। বনভোজনের শেষে ওদের আর একটা আবদার ওরা মহারাজের কাছে গিয়ে করেছে। আজকের মত আরও একদিন ওরা খুলে এসে বনভোজন করবে।
সত্যি সারাদিন ধরে বাড়িতে প্রচুর দায়িত্ব পালন করে যখন আমি হাঁসফাঁশে উঠি তখন মনে হয় যে স্কুলটা হয়তো আমার সেই হাঁসপাশে ওঠা থেকে স্বস্তি পাওয়ার একটি রসদ। যেটি ভগবান আমাকে উপহারস্বরূপ দিয়েছেন। কারণ ওদের সঙ্গে থাকলে মনে এক অন্যরকম আনন্দ ও সতেজতা সৃষ্টি হয়। হাজার ক্লান্তি নিয়ে যখন সকাল বেলা ওদের সামনে যাই তখন ওদের হাসিমুখ গুলো দেখে এবং ওদের আবদার শুনে সেই ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যায়।
@papiya.halder আমার সাথে আমার বেশকিছু ব্যাক্তিগত কথা ছিল এই মিশনের বিষয়ে।
আপনাদের প্রতিটি কার্যক্রম আমার মন ছুঁয়ে যায়! আগামী প্রজন্মের সঠিক পথ প্রদর্শক এর খুব ভালো একটি মাধ্যম, যেখানে মাটিতে পা রেখে চলার শিক্ষার সাথে শৃঙ্খলার পরিভাষা শেখানো হয়।
মন ভরে যায় আপনার লেখায় মিশনের কার্যক্রম দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বনভোজন মানেই,বাচ্চাদের জন্য আনন্দের মজার ব্যাপার। আপনার পোস্টটি পড়ে একটা জিনিস দেখে খুব ভালো লাগলো। যে বাচ্চাদের হাতে ধরে রান্না করাচ্ছেন আপনারা। বাচ্চাদের মনে একটা আনন্দ কাজ করে এবং বাসায় তাদের আম্মুর সাথে সাহায্য করতে পারবে। আর আপনার পোস্টটি পড়ে সবচেয়ে বেশি আমাকে উৎফুল্ল করেছে। ছোট-ছোট বাচ্চাদের আপনারা পড়ালেখার মাঝেও শিখাচ্ছেন নিজের কাজ কিভাবে নিজে করতে হয়।এই জিনিসটা সত্যিই অনেক ভালো একটা বিষয়। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit