নমস্কার বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন ? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো একটি বিশেষ দিক তুলে ধরব।
এ কথা প্রচলিত যে জেলেপাড়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় মায়ের প্রতিমা দেখতে এসে মাছের গন্ধে বিরক্ত হতেন তাই মাছের গন্ধ দূর করার জন্য ধুনো পোড়ানো পদ্ধতিটির প্রচলন হয় ,যা আজও হয়ে আসছে।নবমী তিথির প্রথম পর্বে বলিদান প্রথা অর্থাৎ আখ ,কলা ও চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। এরপর মায়ের ধুনোর আরতি হয়, যা ধুনো পুরানো নামে প্রচলিত। এখানে সবাই মনস্কামনা পুরন হলে তারা মায়ের সামনে ধুনো পুড়িয়ে থাকে।
মা জলেশ্বরী আমাদের খুব আদরের । আমরা সবাই সারা বছর ধরে তার আগমনের আশায় অপেক্ষা করে থাকি। এবং এই অপেক্ষা মায়ের আগমনে আমাদের খুশির বাঁধ ভেঙে যায়। যেহেতু মালোপাড়া বারোয়ারিটি খুব বড় জায়গা জুড়ে নয় তাই এখানে প্যান্ডেলের বাহার থাকে না কিন্তু থাকে মায়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ,স্নেহ এবং নির্ভরশীলতা।
মালো পাড়ার প্রতিটি ঘরের মেয়েরা মায়ের আরাধনায় মেতে ওঠে। পূজার দুদিন আগে থেকে তাদের নিজেদের ঘরের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। মায়ের আগমনীতে মায়ের বেদি পরিষ্কার মায়ের মন্দির পরিষ্কার এবং মায়ের আগমনীর ব্যবস্থা করার জন্য।
আজ সারাদিন ব্যাপী মায়ের পূজায় সকলে ব্যস্ত। আমি নিজেও সাতটা নাগাদ বাড়ি এসেছি। যেহেতু একদিনের পূজা তাই নবমী পূজা শেষ হলেই আমাদের মনের মধ্যে বেজে ওঠে বিদায় বেদনার সুর। কিন্তু সেই সঙ্গেই আমরা আগামী দিনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করি আগামী বছর মায়ের আগমনীতে কিভাবে নিজেদেরকে সাজিয়ে তুলব ,কিভাবে মাকে আহ্বান জানাবো সে প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে যায়।
আপনাদের কাছে আমাদের মা জলশ্বরীর গল্প করে আজ আমার মনটাও বেশ আনন্দে ভরে গেল। কারণ আমাদের মায়ের কথা হয়তো আপনাদের কেউ কেউ জানে আবার অনেকেই জানেনা।
আজও আমাদের কৃষ্ণনগর রাজবাড়ী থেকে আমাদের রানী মা অমৃতা দেবী মা জলেশ্বরীর আরাধনার জন্য পনেরো টাকা অনুদান দিয়ে যান। এবং আমরাও এর জন্য গর্ববোধ করি যে আমাদের পূজাটি স্বয়ং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়া অনুদানের শুরু হয়েছিল।
আজকে জগদ্ধাত্রী পূজা সম্পর্কে আপনার লেখা পরিদর্শনের আগেও আমি একটা লেখা পরিদর্শন করেছি। সেখান থেকে কিছু অজানা তথ্য জেনেছিলাম। এই মুহূর্তে আপনার লেখার মাধ্যমে আরো বিস্তারিত জানতে পারলাম। বিশেষ করে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র যেভাবে শুরু করেছিলেন।
একদমই সঠিক বলেছেন, আমিই জানতাম না। আমার দৌড় জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজো পর্যন্তই ছিল। বাকিটা আর না ই বা বললাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জগদ্ধাত্রী পুজো সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit