নমস্কার বন্ধুরা। আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব কল্যাণীর রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু চিত্র। এটা সকলের জানা কল্যাণী শহরটি একটি পরিকল্পিত শহর। এই শহরটির প্রথমে নাম ছিল রুজভেল্ট নগর।
১৯৫০ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ড বিধান চন্দ্র রায় এই শহরটির নাম দেন কল্যাণী। এবং তিনি এই শহরটি সুপরিকল্পনার সঙ্গে তৈরি করার কাজ শুরু করেন। ১৯৫২ সালে কল্যাণী শহরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন ও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তাই ইতিহাসের পাতায় এই শহরটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। এ শহরেরই একেবারে শেষ প্রান্তে, আমাদের রামকৃষ্ণ মিশন অবস্থিত। মিশন টি অনেক পুরনো প্রথমে এটি একটি প্রাইভেট আশ্রম ছিল। কয়েক বছর আগে এই আশ্রম বেলুড় মাঠের অধীনে আসে। এবং আশ্রমটির নাম বদলে হয় রামকৃষ্ণ মিশন কল্যাণী। মিশনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই মনমুগ্ধকর । এই রামকৃষ্ণ মিশনে বহু প্রাচীন সন্ন্যাসীর পদধূলি মিশ্রিত আছে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নীতিবাক্য :
আত্মনো মোক্ষর্থং জগদ্ধিতায় চ-অর্থাৎ
নিজের মুক্তর জন্য এবং বিশ্বের কল্যাণের জন্য।
স্বামীজির নির্দেশে শিব জ্ঞানে জীবসেবার উদ্দেশ্যে প্রথম ভগবান শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের ত্যাগী সন্তান শ্রীমৎ স্বামী অখন্ডানন্দ জি মহারাজ মুর্শিদাবাদ জেলাস্থ্ সারগাছিতে প্রথম রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। আজ সেই মিশন বট বৃক্ষের মতো চারিদিকে তার শাখা প্রশাখা বিস্তারিত করছে এবং শিব জ্ঞানে জীবের সেবার উদ্দেশ্যে ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের ত্যাগী সন্ন্যাসী রা ও ভক্তরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে জগৎ গুরুর সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করছে।
আমাদের নদীয়া জেলাতে অনেকগুলি রামকৃষ্ণ মিশন আছে। তার মধ্যে আমার জানা কয়েকটি রামকৃষ্ণ মিশনের নাম হল রামকৃষ্ণ মিশন কল্যাণী, রামকৃষ্ণ মিশন বাগাছরা যেটি শান্তিপুরের কাছে অবস্থিত, রামকৃষ্ণ মিশন কৃষ্ণনগর, এবং রামকৃষ্ণ মিশন নবদ্বীপ।
এই প্রতিটি মিশনেরই একটাই কাজ শিব জ্ঞানে জীবের সেবা। তাদের অনুপ্রেরণায় এই মহান কাজে সংসারী মানুষরাও ব্রতি হতে পারে।