Better Life with Steem || The Diary Game || January 29, 2024

in hive-120823 •  10 months ago 

thumbnail.jpg

বড্ড একা লাগছে, তাই ভাবলাম আজকের ডেইলি ডায়েরী গেম লিখে ঘন্টাখানেক সময় কাটাই। এমনিতে একা থাকতে আমি খুবই ভালোবাসি কিন্তু মা চলে যাবার পর এই পরিস্থিতিতে ঘরে সম্পূর্ণ একা থাকতে আমার একদমই ভালো লাগছে না। তাই মনটাকে ডাইভার্ট করার জন্য চার দিন পর আমি আবার লিখতে বসলাম।

“সকাল”

1.jpg

আজকে সকাল নটা নাগাদ আমার ঘুম ভেঙেছে। এখন আর আবর্জনা ফেলার কোনো তাড়া নেই। মার অবর্তমানে এখন আমার তিন চার দিন বাদে বাদে ময়লা ফেললেও চলবে। ঘুম থেকে উঠে রোজকার মতো ফ্রেশ হয়ে নিয়ে চা আর খবরের কাগজ নিয়ে বসলাম।

নিউজ পেপার পড়া হয়ে গেলে আমি একটু পাড়ার দোকানে গেলাম কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য। বাড়ি ফিরে এসে সকাল দশটা নাগাদ দুধ গরম করে খই দিয়ে খেয়ে নিলাম। তারপর ঘরের বাসি বাসনপত্র সব মেজে নিলাম।

সকাল এগারোটা নাগাদ আমার জামাইবাবুর সাথে একটা স্টুডিওতে গেলাম মার একটা ফটো বাঁধানোর জন্য কিন্তু সোমবার হওয়ার দরুন স্টুডিওটা বন্ধ ছিল। কালকে আমার আবার ওখানে যেতে হবে। মার যে ফটোটা বাঁধাবো সেটা দিয়েই মার শ্রাদ্ধের কাজ সম্পূর্ণ হবে।

“দুপুর”

দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ গোবিন্দভোগ চালের সাথে কিছু আলুর টুকরো সিদ্ধ বসিয়ে দিলাম। এরপর আমি কিছু ফল খেয়ে নিলাম। আজকে যে যে ফল আমি খেয়েছিলাম সেগুলি হল কমলা লেবু, আপেল, ডালিম, কলা এবং আঙ্গুর।

ভাত হয়ে যাবার পর আমি স্নান করে নিলাম। এরপর দুপুর দেড়টা নাগাদ আমি লাঞ্চ করে নিলাম। লাঞ্চের শেষে আমি দু পিস নলেন গুড়ের রসগোল্লা খেলাম। তারপর ল্যাপটপ অন করে ঘন্টাখানেক নেট সার্ফ করলাম। এরপর আমি ঘুমাতে চলে গেলাম।

“বিকেল ও সন্ধ্যে”

বিকেল চারটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি এক কাপ চা করে খেলাম। তারপর আমি বাইরে বেরোনোর জন্য প্রস্তুত হলাম। মা যতদিন বেঁচে ছিল আমার একটা অভ্যাস হয়ে গেছিল যে ঘর থেকে বেরোনোর সময় বা ঘরে ফিরে সবার প্রথমে আমি মার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখতাম যে মা কি করছে। সেই অভ্যাসটা এখনো আমার রয়ে গেছে। রোজ বেশ কয়েকবার করে অভ্যাসবশত মার ঘরের দিকে আমার চোখ চলে যাচ্ছে আর বিছানায় মাকে না দেখে অদ্ভুত একটা শূন্যতার অনুভব করছি।

2.jpg

যাই হোক বাইরে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমি এই ছোট লেকটার সামনে আসলাম এবং একটা ছবি তুলে নিলাম।

3.jpg

লেকের পাড়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমি লেকের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম যে রাস্তার দুপাশে বেশ কিছু গাছপালা আছে, তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।

4.jpg

এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমি বাড়ি ফিরে আসলাম। এখন বেশ কিছুদিন অশৌচ হওয়ার দরুন আমি সন্ধ্যে দিতে পারছি না। তাই এক কাপ কফি করে নিয়ে আমি ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।

ডেইলি ডায়েরী গেম পোস্ট করার পর আমার ইচ্ছা আছে রাতে কিছু পোস্টে কমেন্ট করার। দেখা যাক কতদূর কি করতে পারি কারণ এখন মাঝেমধ্যেই আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা বাড়িতে আসছে।

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২৯শে জানুয়ারির দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।

10% beneficiary to @meraindia

25% beneficiary to @null

The official accounts of the Incredible India community

Discord | Twitter | Telegram | Instagram

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

যেকোনো বয়সেই মাকে হারানো এটা অত্যন্ত বেদনার একটি বিষয়। যার মা যায় শুধু সেই জানে যে তার পৃথিবীটা কতটা শূন্য হয়ে গিয়েছে। আপনার অনুভূতি আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। কারণ এমনই বেদনায় আমি নিজেও থাকি। তবে খুব ভালো লাগলো আপনি যে এত দ্রুত ফিরে এসেছেন। প্রতিটি মুহূর্তে আপনি আপনার মাকে স্মরণ করছেন যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম। ধৈর্য ধরুন সময় সবকিছু ঠিক করে দেবে। ভালো থাকবেন।

মার অভাব তো কোনদিনও আর পূরণ হবে না। মাকে বুকে রেখেই বাকি জীবনটা বাঁচার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

Welcome back, that is also your family. Stay connected and strong.

I'm trying so.

কোনো মানুষের শারীরিক উপস্থিতি একটা অভ্যেস। তবে সম্পর্কের কথা বলতে হলে বলবো কেবলমাত্র শারীরিক উপস্থিতির নিরিখে আমি তাদের প্রতি ভালোবাসতে বিশ্বাস করি না।
যতদিন আমরা বেঁচে থাকবো আমাদের মা, বাবাও আমাদের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন।

ভুলে গেলে চলবে না আমাদের শরীরের নাভি তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ যার সাথে জন্মের সময় সন্তান তার মায়ের সাথে যুক্ত থাকে।

আমরা সবসময় আছি, এটাও একটা পরিবার, বেশি একা মনে হলে একবার মেনসন করবেন discord এ তারপর পালানোর পথ খুঁজবেন।

ভুলে গেলে চলবে না আমাদের শরীরের নাভি তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ যার সাথে জন্মের সময় সন্তান তার মায়ের সাথে যুক্ত থাকে।

এভাবে তো কখনো ভেবে দেখিনি। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। পরিবার বলেই তো তাড়াতাড়ি নিজের পরিবারের কাছে ফিরে এলাম যদিও সামনের সপ্তাহ দুয়েক আমাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে।

আপনি আপনার মায়ের শ্রাদ্ধের কাজ ভালোভাবে সম্পূর্ণ করেন এই আশা করি। ভালো থাকবেন।

মায়ের শ্রাদ্ধের কাজ ভালোভাবে সুসম্পন্ন করার জন্য আমার দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।