Better Life with Steem || The Diary Game || May 31, 2024

in hive-120823 •  6 months ago 
thumb.pngImage edited by Adobe

বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ৩১শে মে’র কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

“সকাল”

আজকে সকাল সাতটার মধ্যে আমি ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। এরপর রোজকার মতো তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে আমি খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।

1.jpg

খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে বাসি বাসনপত্র সব মেজে নিয়ে দরজা-জানলা সব ভালো করে লক করে আমি শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বাঘাযতীন স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বেশ বৃষ্টি পড়ছিল বলে ছাতা সঙ্গে নিতে হলো, না হলে আমি ছাতা ক্যারি করতে একদমই পছন্দ করি না।

বহড়ু স্টেশনে যখন আমি পৌছলাম তখন বেলা এগারোটা বেজে গেছে। স্টেশন রোড ধরে শ্বশুরবাড়ির দিকে যাওয়ার সময় দেখলাম পাশের খোলা মাঠে গরু চরছে, তার একটা ছবি তুলে নিলাম।

2.jpg

শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেখলাম আমার মেয়ে তখন সবে স্নান করে উঠেছে আর বেজায় খুশি।

3.jpg

এরপর আমার স্ত্রীকে বললাম তাড়াতাড়ি কিছু খেতে দিতে কারন আমার খুব খিদে পেয়ে গেছে। ও আমাকে লুচি আর আলু ভাজা খেতে দিলো। এগুলো খাওয়ার পর আমি এক কাপ চা খেলাম।

“দুপুর”

দুপুর একটা বাজলে আমি দোতলায় চলে গেলাম স্নান করতে। এরপর স্নান করে নিয়ে নিচে ডাইনিং রুমে নেমে এসে আমি সকলের সাথে বসে লাঞ্চ করে নিলাম। তারপর আমি আমার স্ত্রী আর মেয়ের সাথে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিলাম।

“বিকেল ও সন্ধ্যে”

বিকেলবেলায় হাঁটতে বেরিয়ে আমি প্রথমে চায়ের দোকান থেকে এক কাপ চা খেলাম। তারপর একটা পুকুর পাড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। পুকুর পাড়ে বসে থাকা কালীন আমি একটা ছবি তুলে নিলাম।

4.jpg

এরপর সন্ধ্যে হয়ে আসলে আমি শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথ ধরলাম। সন্ধ্যেবেলায় শাশুড়ি মা আমাকে আলু সিদ্ধ দিয়ে মুড়ি মাখা আর চা খেতে দিলেন। সন্ধ্যের টিফিন করে নিয়ে আমি আমার মেয়ের সাথে বেশ কিছুক্ষণ খেলা করলাম। তারপর সবার সাথে বসে আমি অনেকগুলো বাংলা সিরিয়াল দেখলাম। বাড়িতে থাকলে যদিও আমি কোনো সিরিয়ালই দেখি না। শ্বশুরবাড়িতে সবার সাথে বসে সিরিয়াল দেখতে দেখতে গল্প করছিলাম।

“রাত”

শ্বশুরমশাই বিকেল বেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘরে ফিরলেন রাত দশটার পরে। উনি একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী, তাই লোকসভা ভোটের আগের দিন ওনাকে খুব ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে হয়েছে। যাই হোক এরপর আমরা সকলে মিলে ডিনার করে নিলাম।

ডিনার করা হয়ে গেলে আমি বেশ কিছুক্ষণ ধরে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন হওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় নেটওয়ার্ক এতটাই খারাপ যে আমি কিছুতেই অনলাইন হতে পারলাম না।

আমার স্ত্রী মেয়েকে ঘুম পাড়ানোর পর আমরা দুজনে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম, কারণ আগামীকাল কলকাতায় ফিরতে হবে ভোট দেওয়ার জন্য। আমার স্ত্রী এই প্রথম বার কলকাতায় ওর শ্বশুরবাড়ির এলাকায় ভোট দেবে। ও অবশ্য কালকেই আবার বাপের বাড়িতে ফিরে যাবে। আর আমি কলকাতায় নিজের বাড়িতে থেকে যাবো।

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ৩১শে মে’র দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

সবুজ মাঠে গরু ঘাস খাচ্ছে এমন মধুর দৃশ্য কেবলমাত্র গ্রামেই পাওয়া সম্ভব। এই দৃশ্যগুলো দেখলে সত্যি মন ভরে যায়। শশুরবাড়ি গিয়ে মেয়ের মুখটা দেখে নিশ্চয়ই খুব খুশি হয়েছিলেন আর এটা হওয়াই স্বাভাবিক। আপনার মেয়েকে কিন্তু বেজায় মিষ্টি লাগছে।কাল আবার স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতায় ফিরবেন ভোট দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

ঠিকই বলেছেন, আমরা শহরের লোকেরা বিশেষ করে গ্রামের সবুজ সমারোহ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে আমার মেয়ের সাথে আমার দেখা হলো। ধন্যবাদ আমার পোস্ট সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা প্রকৃতির ছোঁয়া সব সময় পেয়ে থাকি, তবে এতে একঘেয়েমি লাগে না কখনও। মেয়েকে না দেখে থাকতে হয়ত সকল বাবারই খারাপ লাগে। আর তাছাড়া মেয়েরা বাবার ভালোবাসা একটু বেশি পায়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। আপনার মেয়ের শুভকামনা করছি। ভালো থাকবেন।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা খেয়ে খবরের কাগজ পড়েছেন। পরে তাড়াতাড়ি বাড়ির কাজকর্ম ছেড়ে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। বাড়িতে যাওয়া মাত্রই দেখলেন আপনার মেয়ে স্নান সেরেছে। মেয়ের এরকম মিষ্টি মুখ দেখে মনে হয় আপনার মনটা খুশিতে ভরে গেছিল। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার সবার সাথে খেয়েছেন।

সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

কয়েক সপ্তাহ পরে আবার আমি আমার মেয়ের দেখা পেলাম। মেয়েকে দেখে সত্যিই আমার মন প্রাণ একদম খুশিতে ভরে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সময় নিয়ে আমার ডেইলি ডায়েরী গেম পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।