নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজ আবারো চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু বিষয় শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আমার গত পোস্টেই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার এক বান্ধবীকে তার বিয়ে উপলক্ষ্যে আমরা ট্রিট দিয়েছিলাম সেই বিষয় নিয়ে। আজ 24 শে জানুয়ারি ওই বান্ধবীটার বিয়ে। গতকাল থেকেই আমাদের সকলের নিমন্ত্রণ ছিল। সারাদিন বিভিন্ন কাজের মাঝে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে বিকেল বেলায় ওদের বাড়ি যাব বলে ঠিক করেছিলাম। বিবাহ সূত্রে অনেক বান্ধবী শহরের বাইরে থাকে তাই ওরা বিয়ের দিন আসবে। তাই আগের দিন যাওয়ার মতো আমি আর একটি বান্ধবী ছিলাম। যদিও তারও কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল যার ফলে যাওয়ার আগের মুহূর্তে তাকে ফোন করলে জানতে পারি সে যেতে পারবে না। এটা শুনে প্রথমে ভেবেছিলাম আমিও যাব না। সমস্ত রিলেটিভদের মধ্যে আমি একা বান্ধবী, কেমন uncomfortable ফিল হবে। তবে শেষমেশ আমি ওকে যাওয়ার জন্য রাজি করিয়ে ফেলেছিলাম। তারপর দুজনেই কিছু সময়ের মধ্যে বান্ধবীটির বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম।
গিয়ে দেখি তখন বান্ধবীর মেহেন্দি পরানো চলছে। ঘরের ভিতরে যেতেই দেখি যে ওকে মেহেন্দি পড়াচ্ছিল সে আমার স্কুল ফ্রেন্ড। প্রায় দশ বছর পর তার সাথে আমার দেখা। এতদিন পর পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেলে কার না ভালো লাগে! আমার ও খুব ভালো লেগেছিল। আমরা অনেক গল্প করছিলাম। যে মেহেন্দি পরাচ্ছিল ওর অনেক বছর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। ওর একটা পাঁচ বছরের মেয়েও আছে। সেই সব কিছু নিয়েই গল্প হচ্ছিল। তারপর মেহেন্দি শোকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ধরার দায়িত্ব এসে পড়ে আমার ওপরে। আর সেই দায়িত্ব আমি খুব ভালোভাবেই পালন করি। এরপর চারজন মিলে অনেক গল্প করে সময় কাটানো হল।
দুই হাতের মেহেন্দি পরা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ক্যামেরাম্যান এসে হাজির হয়। যে ক্যামেরার কাজ করছিল সেও আমাদেরই বন্ধু। তাই আমরাও কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম। এরপর চলল দীর্ঘ ফটো সেশন। এরপর বান্ধবীকে একটু সাজিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু ও দুপুর দুটো থেকে মেহেন্দি করছিল তাই তখন আর সাজেনি। মেহেন্দি আর্টিস্ট চলে গেলে খুব সিম্পল করে আমরা সবাই মিলে ওকে সাজিয়ে দিয়েছিলাম।
এরপর ওদের বিভিন্ন রিচুয়াল ছিল। সেগুলো ওরা পালন করছিল। ইতিমধ্যে আমার পার্টনারও চলে এসেছিল।এরপর আমার খুব খিদে পেয়ে গিয়েছিল তাই আমি আর ও খেতে চলে গিয়েছিলাম। রাতের খাবারের খুব ভালো আয়োজন ছিল। ভাত, ভেজা ডাল, মুড়ি ঘন্ট, বেগুনি, মাছ, চাটনি,পাপড়,মিষ্টি ইত্যাদি। খাবার টেবিলে বসে ঘটে আরেক কান্ড। আমাদের টেবিলেই বসেছিল এক মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক। ওনার সাথেও টুকটাক কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় উনি জানতে পারেন আমি পড়ায় । তারপর উনি আমার কোয়ালিফিকেশন ও জানলেন এবং সবশেষে আমাকে একটা স্কুলের কথা বললেন, যে স্কুলে আমি নিজেই কয়েক মাস আগে ভ্যাকেন্সি আছে কিনা খোঁজ নিয়েছিলাম। উনি ঐ স্কুলেরই সেক্রেটারি। উনি অ্যাপ্লাই করতে বললেন এবং ওনার সাথে যে আমার কথা হয়েছে সে কথা ও হেড মিসট্রেস কে জানাতে বললেন। তবে অ্যাপ্লাই করব কিনা সে বিষয়ে এখনো ভেবে দেখার সময় পাইনি কারণ ইতিমধ্যে অনেক গুলো টিউশন আমার সকাল বেলায় রয়েছে। এগুলোকে এই মুহূর্তে ছাড়াও খুবই সমস্যা জনক।
যাইহোক, এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে ওই ভদ্রলোককে বিদায় জানিয়ে মেইন রিচুয়ালস গুলো দেখতে চলে এসেছিলাম। তারপর কিছুটা সময় থাকার পর আমরা বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
বান্ধবীর মেন্দি অনুষ্ঠানে অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন আসলে মেহেদী পড়া বাঙ্গালীদের একটা অন্যরকম আয়োজন যেটা আপনারাও পালন করেছেন তবে আপনাদের অনেকগুলো রীতি নীতি থাকে সেগুলো পালন করতে গিয়ে অনেকটা সময় লেগে যায়।
তবে আপনি আবারো একটা চাকরির বিষয়ে কথাবার্তা বা আলোচনা হয়েছে এখন আপনি চিন্তা করেনি এপ্লাই করবেন কিনা তবে আমি মনে করি অ্যাপ্লাই করে দেয়াটা ভালো বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়াটা অনেক বেশি কঠিন তবে আপনার অনেক বেশি টিউশনি থাকার কারণে আপনি চিন্তা করছেন চিন্তা করবেন না ইনশাল্লাহ যদি চাকরিটা হয়ে যায় তাহলে আপনি সবকিছু আবার আগের মত গুছিয়ে নিতে পারবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit