নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করে আমারও বেশ ভালো লাগে।
আজ আমি আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করবো। সেটি হলো কচুর লতি দিয়ে মুসুরির ডিল তৈরির রেসিপি। এই রেসিপিটি আমাদের বাড়িতে সকলেই খুব ভালোবাসে।আমার মা খুব ভালো রান্না করে। তবে এখন বৌদিই রান্না করে আর বৌদির হাতের রান্না খেতে আমার খুব ভালো লাগে। কচুর লতি দিয়ে আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন রকমের রান্না হয় আর এই রেসিপিটা তার মধ্যে একটি। সত্যি কথা বলতে গেলে শুধু শুধু মুসুরির ডাল খেতে আমার তেমন ভালো লাগেনা। তাই বাড়িতে মুসুরি ডাল রান্না হলে ডালের মধ্যে টমেটো নয়তো করলা বা পেঁপে এইরকম নানা ধরনের সবজি দিয়ে ডাল রান্না করা হয়। খেতেও খুব ভালো লাগে।
আপনারা কখনো কচু লতি দিয়ে মুসুরির ডাল না খেয়ে থাকলে একবার অবশ্যই ট্রাই করতে পারেন। আশা করছি আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে। আমার ভাইপো এমনিতে মুসুরির ডাল খেতে বিশেষ ভালোবাসা না তবে এই কচু লতি দিয়ে ডাল রান্না করে দিলে বেশ মজা করে ভাত খেয়ে নেয়। তাই দাদা বাজারে গেলে কচুর লতি পেলে অবশ্যই কিনে নিয়ে আসে। এটা আমাদের একটা পছন্দের সবজি বলা যায়। অনেকেই কচুর লতি খেতে ভালোবাসে না কারণ কচু লতি কাটা একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে একটু কষ্ট করে যদি কেটে নেওয়া যায় তবে সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো ট্রাই করা যায়। তাই আপনারও হাতে একটু সময় নিয়ে অবশ্যই একবার এই রেসিপিটা ট্রাই করবেন।
চলুন তাহলে জেনে নিই আমি কিভাবে কচুর লতি বানিয়েছিলাম।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কচুর লতি | বেশ খানিকটা |
২ | নুন | পরিমাণ মতো |
৩ | হলুদ | পরিমাণ মত |
৪ | কাঁচা লঙ্কা | ১০টা |
৫ | রসুন | ৫০ গ্রাম |
৬ | কালো জিরা | ১/২চামচ |
৭ | সর্ষের তেল | ৭৫ গ্রাম |
৮ | শুকনো লঙ্কা | ২ টো |
৯ | জল | পরিমান মতো |
১০ | মুসুরির ডাল | ১৫০ গ্রাম |
ধাপ ১ :
প্রথমে কচুর লতিগুলোকে ভালো করে বেছে পরিষ্কার জলে ধুঁয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ ২ :
এরপর প্রেসার কুকারের মধ্যে পরিমাণ মতো ডাল, দুটো কাঁচা লঙ্কা, নুন, কেটে রাখা কচুর লতি ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে দুটো সিটি দিয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ ৩ :
এরপর ডাল সিদ্ধ করে প্রেসার কুকার কিছুক্ষণ নামিয়ে রাখার পর একটু ঠান্ডা হয়ে এলে প্রেসারের ঢাকনি খুলে তাতে কিছুটা হলুদ এবং জল মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ ৪ :
এরপর অভিনয় কড়াই বসিয়ে কড়াই গরম হয়ে এলে তাদের সর্ষের তেল দিয়েছিলাম। সরষের তেল গরম হয়ে এলে তাতে কালো জিরে, রসুন ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়েছিলাম।
ধাপ ৫:
এরপর সিদ্ধ করে রাখার ডাল কড়াইয়ে ঢেলে দিয়েছিলাম।
ধাপ ৬:
এরপর ভালোভাবে ডালটা সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম। ডালটা ফুটে গেলে নামিয়ে নিয়েছিলাম।
ফাইনাল লুক-----
যদিও এই দিন কচুর লতিগুলো একটু বেশি সিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। আপনারা কচুর লতিগুলো একটু গোটা গোটা থাকবে এরকমভাবে সিদ্ধ করে নেবেন তাহলে ডালটা খেতে আরও বেশি ভালো লাগবে। আমি ইতিমধ্যে কচুর লতি দিয়ে সর্ষে বাটার একটা রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আপনারা সেই পোস্টটিতে খুব ভালো ভালো কমেন্ট করেছিলেন। আশা করছি এই রেসিপিটাও আপনাদের ভালো লাগবে।
তাহলে আজকে আমার ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন আর অবশ্যই জানাবেন আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো।
আপনার পোষ্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। কচুর লতি দিয়ে মুসুরির ডাল বানানোর রেসিপি এত সুন্দরভাবে বিস্তারিত লিখেছেন, যে একদম মনে হচ্ছে নিজেই এখন গিয়ে রান্না শুরু করে দিই।
আপনার পরিবারের গল্প আর রান্নার প্রতি সবার ভালোবাসা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কচুর লতি কাটার ঝামেলা অনেকেই নিতে চায় না, কিন্তু আপনি যেভাবে সবকিছু ধৈর্য ধরে করেছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আপনার তরকারির ফাইনাল লুক দেখেও বেশ লোভ হচ্ছে! যদিও আপনি বলেছেন কচুর লতি একটু বেশি সিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমার মনে হচ্ছে রান্নাটা দেখতে আর স্বাদে অসাধারণ হয়েছে।
খুব শিগগিরই আমি এই রেসিপি ট্রাই করব।
আপনার পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম। আপনি আমাদের এভাবেই নতুন নতুন রেসিপি দিয়ে অনুপ্রাণিত করো। অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা রইলো!"
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আর ঠিকই বলেছেন কচু লতি কাটার ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য অনেকেই এখন কচুর লতি খেতে চান না। তবে একটু কষ্ট করে ছাড়িয়ে নিলে এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মুসুরির ডাল দিয়ে কচুর লতি রান্না আমার শাশুড়ি মায়ের খুব পছন্দের খাবার ছিল। আপনার লেখার ক্যাপশনটা দেখে তার কথা মনে পরে গেলো। তবে সে কিছুটা চচ্চড়ি টাইপের করে পছন্দ করতো। আপনার রান্নার মতো করে একদিন আমি ট্রাই করে দেখবো।
চমৎকার এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আমার পোস্টটি আপনাকে আপনার শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্নার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এটা জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ ভিন্ন স্টাইলের রান্নার চোখে পড়ল মুসুরির ডাল দিয়ে কচুর লতি রান্না আমি এই প্রথম দেখলাম খাওয়া তো দূরে থাক এই রান্নার আমার চোখে প্রথম দেখছি।
মুসুরির ডাল দিয়ে অনেক কিছুই রান্না করা যায় সেটা আমিও জানি তবে কচুর লতি রান্না করে খেয়ে দেখি নাই যাই হোক একদিন তো খেয়ে দেখতে হয় কেমন লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আপনার মত আমিও অবাক হয়েছিলাম যখন প্রথমবার বৌদি আমাদের বাড়িতে এই রান্নাটা করেছিল। বিয়ের পর থেকে বৌদির এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত রান্না দেখে আমারও ভীষণ কৌতুহল হতো, আগেও রান্নাটা খাওয়া যাবে তো। তবে বিশ্বাস করুন প্রত্যেকটা রান্নায় বৌদি অসাধারণ করে। তাই এই রেসিপিটা দেখে একটু অদ্ভুত লাগলেও খেতে অসাধারণ হয় এটা আমি বলতেই পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি সব সময় নিত্যনতুন রেসিপি তুলে ধরেন আমাদের মাঝে। যেটা দেখে সেই সব খাদ্য গুলো খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হয়ে যায়। আজ ঠিকই নতুন একটি পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এবং আমার মনে হয় আপনি শাক সবজি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। যাইহোক কচুর লতি দিয়ে মুসুর ডাল রান্না করা যায় এটা আমি জানতাম না। আজ আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে পেরে জানতে পারলাম। যাইহোক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য । আসলে আমি শাকসবজি খেতে খুব পছন্দ করি এমনটা নয়। তবে আমার বৌদি গ্রামের মেয়ে। সে শাকসবজি খেতে খুব পছন্দ করে। সাথে আমার মাও মাছ-মাংসের চেয়ে এইসব শাকসবজি খেতেই বেশি পছন্দ করে। তাই আমি আর দাদা নিরুপায় হয়ে শাকসবজির প্রতি ভালোবাসা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নিয়েছি।
তাছাড়া বাড়িতে শাকসবজি পাবে ও বিভিন্ন রকমের রান্না হয়। সবটা তো শেয়ার করে ওঠা যায় না। যে রেসিপিগুলো বৌদি আসার পরে আমি প্রথমবার ট্রাই করেছিলাম আমি চেষ্টা করি সেই রেসিপিগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit