নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আমাদের কমিউনিটিকে একটা অসাধারণ কনটেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই অ্যাডমিন দিদিকে যিনি এই কন্টেস্টটি আয়োজন করেছেন।আমি এই প্ল্যাটফর্মে আসার পরে দুই -তিনটি কনটেস্ট আয়োজিত হতে দেখেছি। গত দুইটি কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার বেশ ভালো লেগেছিল। তাই আমাদের কমিউনিটিতে বর্তমানে যে কনটেস্ট টি চলছে সেই কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করছি। এবারের কনটেস্টের বিষয় হলো শ্যাডো দিয়ে কিছু ক্রিয়েটিভিটি দেখানো। আমি তেমন ক্রিয়েটিভ মানুষ নই। তবুও কনটেস্টে পার্টিসিপেট করার জন্য এই বিষয় নিয়ে খানিকটা চিন্তাভাবনা করার পর শেষমেষ অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
ছায়া বিষয়টি আমাদের কাছে ভীষণই পরিচিত একটি টপিক। এই ছায়ার সাথে খেলার অভিজ্ঞতা নেই এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছে। আর বাচ্চাদের মধ্যে এই ছায়া সম্পর্কে কৌতূহল সবচেয়ে বেশি থাকে। তারা ছায়ার সাথে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে এবং ছায়ার সাথে খেলাও করে। আমিও ব্যতিক্রমী নই। ছোটবেলায় ছায়ার সাথে আমি এবং দাদা দুজনেই খেলা করতাম। আমরা লাইট এর বিভিন্ন পজিশনে দাঁড়িয়ে ছায়ার পজিশন চেঞ্জ হওয়া খুব উপভোগ করতাম।
তাছাড়া কখনো কখনো ছায়া দেখে ভয় পেতাম। আলোর ভিন্নতা অনুযায়ী অনেক সময় ছায়া বিভিন্ন আকার নেয়। আর সেইসব অদ্ভুত ছায়ার আকার দেখে আমরা ভীষণ ভয়ও পেতাম। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ছোটবেলায় আমরা একটা বিষয় নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকতাম, সেটা হল----ছায়াটা কেন সব সময় আমাদের সঙ্গেই যাই? এই প্রশ্নের উত্তর কতবার যে মাকে জিজ্ঞাসা করতাম! মাও বিভিন্ন রকম ভাবে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করত, কিন্তু ছায়া সম্পর্কে কৌতুহল আমাদের একটুও কমতো না।
শুধু ছোটবেলা কেন এখনো কারেন্ট চলে গেলে চার্জার লাইট জ্বালিয়ে লাইটের সামনে হাত দিয়ে দেয়ালে বিভিন্ন রকম ছায়া ফেলে মজা পাই। আর এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে আমার ভাইপো। তাকেও আনন্দ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ভাবে দেওয়ালে ছায়া ফেলে আমরা খেলা করি। ও যেহেতু খুব ছোট ও ভীষণ মজা পাই। অনেক বড়ো হয়ে গেলেও এইসব পাগলামো গুলো করতে বেশ ভালো লাগে।
কারেন্ট চলে গেলে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে তার সামনে হাত রেখে আমি বিভিন্ন রকম নাচের মুদ্রা গুলো দেওয়ালে ছবি ফেলে দেখতাম। জানিনা এতে আমি কি মজা পাই তবে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে নাচ সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র কোন ধারণা নেই। আর মুদ্রা সম্পর্কে তো আরোই নয়। তবুও বিভিন্ন রকম ভাবে আঙুল নাড়িয়ে চাড়িয়ে আমি নানা রকমের প্রতিচ্ছবি তৈরি করতাম। এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি ইউটিউব থেকে কিছু মুদ্রা শিখেছি। যে জিনিস শিখতে নৃত্যশিল্পীদের বহুদিন সময় লেগে যায় সেই জিনিস কয়েক ঘন্টায় শেখা তো সম্ভব নয়। তাই ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। আমি একেবারেই নাচের মানুষ নয়। তবে নাচ দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে।
তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে নাচের কিছু মুদ্রার ছবি শেয়ার করি।
কটাকামুখ,অর্ধচন্দ্রকলা,ভ্রমর,মুষ্টি |
---|
পতাকা, ত্রিপতাকা, অরাল , অর্ধচন্দ্র |
---|
অর্ধপতাকা, সংদংশ, ত্রিপতাকা,ময়ূর |
---|
উর্ণনাভ, সূচী, মৃগশীর্ষ, চন্দ্রকলা |
---|
ময়ূর,পদ্মকোশ, হংসাস্য, সর্পশীর্ষ |
---|
শিখর |
---|
কয়েকটি একসাথে কোলাজ করে নীচে দিলাম ----
হ্যাঁ অবশ্যই। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ক্রিয়েটিভিটি আমাদের মন থেকেই সৃষ্টি হয়। ক্রিয়েটিভিটি কোন যান্ত্রিক বিষয় নয়। মানুষ নিজের মস্তিষ্ক খাটিয়ে বিভিন্ন রকম ক্রিয়েশন তৈরি করে। আর আমাদের সবচেয়ে বড় ক্রিয়েটর হলেন সৃষ্টিকর্তা (ভগবান)। তিনিই তো এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন। তার ক্রিয়েটিভিটির কাছে আমরা ভীষণই নগণ্য।
আমাদের মস্তিষ্ক সদা গতিশীল। সে সব সময় নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করে। মন এবং মস্তিষ্ক এগুলোকে আটকে রাখা যায় না। আমরা বাড়িতে বসেই মনে মনে অনেক কিছু কল্পনা করতে পারি। তাই সমস্ত সৃষ্টির সূচনাই হয় মন থেকে। আজও পর্যন্ত এই পৃথিবীতে যা যা মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে তার সমস্ত কিছুরই সূচনা হয়েছিল মন থেকে। তাই মনের শক্তি অপরিসীম । এই শক্তি দিয়েই বিশ্ব সংসার গড়ে উঠেছে।
আমরা অনেক সময় ট্যালেন্টেড এবং ক্রিয়েটিভ এই দুই ধরনের মানুষকেই একই গোষ্ঠীর মধ্যে ফেলি। তবে ট্যালেন্টেড এবং ক্রিয়েটিভ মানুষ দুইই ভিন্ন। একটি মানুষ ট্যালেন্টেড হলেও তার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি নাও থাকতে পারে। ক্রিয়েটিভিটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। যেখানে মানুষ কোন রকম অনুকরণ ছাড়াই নিজে থেকে কিছু সৃষ্টি করে। আর এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তার মনের সাহায্যে, আর কল্পনা শক্তির সাহায্য।
তাই ক্রিয়েটিভিটি যে মনের ওপর নির্ভরশীল এই বিষয়ে আমি সহমত জ্ঞাপন করছি।
এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি এই প্লাটফর্মের তিনজনকে আহ্বান জানাচ্ছি----@mou.sumi, @sampabiswas, @papiya.halder দিদিদের।
তাহলে আমার পোস্টটি এখানেই শেষ করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে। আমি একেবারেই নাচের মানুষ নই, সেই চোখে আমার পোস্টটি দেখবেন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য করবেন।
নভেম্বর মাসের প্রথম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। নিজের ছায়া সম্পর্কে লিখতে আমি ও অনেক আগ্রহি ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব।
আপনি একদম ঠিক বলছেন আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই ছায়া নিয়ে অনেক কৌতুহ ছিল বিশেষ করে শীতের সকালে একই বয়সে ছেলেমেয়েরা যখন রোদগায়ে লাগাতাম তখন ওই রোদের বিপরীত দিকে আমাদের ছায়া পড়তো।
তখন মনে হতো যদি আমার ছায়ার উপরে কেউ দাড়াই তাহলে আমি কষ্ট পাবো । এই ভেবে কেউ কারো ছয়ার উপরে দাঁড়াতে দিতাম না ।
এ প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর আপনি যথাযতভাবে দিয়েছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@damithudaya , thank you so much for supporting me ❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় ছায়া নিয়ে আমরা ভীষণ কৌতুহলী থাকি। আর সেই কৌতুহল বসেই আমরা অনেক কিছুই করি। আপনার মন্তব্যটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
How beautiful shadow images you have created! It's stunning and amazing. I wish you win the contest @pinki.chak
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much 😊
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit