Better Life with Steem|| The Diary Game|| 12th November 2024

in hive-120823 •  3 days ago 
PhotoCollage_1731683614245.jpg

Hello Friends,
এখন বাংলাদেশ সময় রাত আটটার কাছাকাছি, সবেমাত্র পোস্ট লেখার জন্য বসেছি। যদিও আরো আগেই লেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সারাদিন বাইরে থাকার কারণে বাড়িতে পৌঁছাতে একটু বিলম্বই হয়েছে।

বিগত কয়েকদিন ধরে একটু পোস্ট এলোমেলো ও হয়েছিল। যাইহোক, আজ আর ব্যতিক্রম কিছু না আমার বিগত একটি দিনের কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে থাকা অনুভূতি প্রকাশ করতে চলে এসেছি। তাহলে বিলম্ব না করে আমরা মূল লেখাতে ফিরে যাই।

IMG_20241112_211859.jpg

ইতিমধ্যে শীতের আগমন ঘটেছে যেটা আমি হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছি। শীতের হাওয়া গায়ে লাগতে না লাগতেই একবার ঠান্ডা জ্বর পেয়ে গেছি। ঐ দিন একটু সকালেই আমার ঘুম ভেঙ্গেছিল। তাই বিছানা ছেড়েই প্রাথমিক কাজ এবং গরম জল খেয়েছিলাম। পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখলা একটা সাদা ধবধবে রানী হাঁস স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে উল্টো হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে।

মনে মনে বললাম; কি রে ভাই? তোদের কি শীত নেই? সত্যি বলতে হাঁসের ও শীত আছে তবে আমাদের জীবনযাত্রা একরকম এবং ঈশ্বরের সৃষ্টি অন্যান্য প্রতিটি জীবের জীবনধারা ও ভিন্ন। আমার তো মনে হয় শীতের সময় এই হাঁসেরা আমাদের থেকে শক্তিশালী। কারণ শীত ওদেরকে কাবু করতে পারে না।

আগামী মঙ্গলবার আমার কাকুর বাড়িতে মানসী কালী পূজো যেখানে ভাস্কর প্রতিমা তৈরি করছিল। আমিও রেডি হয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম তাই ভাবলাম একটু দেখে যাই। প্রতিমার কিছু ধাপ ইতিমধ্যে সমাপ্ত, এখন আর একবার মাটি ও তারপর খড়িমাটি দেওয়া হলেই শুধু রংয়ের কাজ বাকি থাকবে।

এই ভাস্কর আমাদের পূর্ব পরিচিত যিনি আমাদের গ্রামের বাৎসরিক পূজোর সকল প্রতিমা আপন হাতে মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেন। এই সকল কাজ এক একটা শিল্প যেখানে ঐশ্বরিক একটা আশীর্বাদ এবং অনেক সাধনা থাকে।

ঐদিন আমি পূর্বেই চিন্তা করেছিলাম বিড়ালের একটা ভিডিও করব। তাই বিনা শব্দে বাজারে পৌঁছে দোকানের নিকটে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু উদ্দেশ্য সফল হলো না কারণ বিড়ালটি আমার উপস্থিতি নিজে থেকেই বুঝতে পেরেছিল।

দেখুন আপনারা ভিডিওতে বিড়ালটি আমাকে দেখে কিভাবে আমার কাছে দৌড়ে এসেছিল। বিড়াল অনেক সৌখিন এবং আরাম প্রিয় একটি প্রাণী। তারা মানুষের কাছাকাছি থাকতে বা নরম বিছানায় ঘুমাতে পছন্দ করে। যেহেতু এটা পোষা বিড়াল তাই আরো বেশি মানুষের কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসে। কিছুক্ষণ পর বিড়ালটির সাথে অতিবাহিত করেছিলাম।

দুপুর বারোটার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে স্নান করে গরম ভাত খেয়ে একটু পি সি তে কাজ করতে বসেছিলাম। কাজ শেষ হওয়ার আগেই মনে হচ্ছিল একটু বিশ্রাম দরকার। তাই পি সি বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম। বিকেলে ছোটভাই নয়ন কল করে দ্রুত যেতে বললো একটা পেন্সিল ব্যাটারি সাথে নিয়ে যেতে।

IMG20241112123628.jpg

আমি নয়নের কক্ষে পৌঁছে দেখলাম নয়ন উপস্থিত নেই। তাই ব্যাটারি রেখে জ্যাঠাবাবুর ঘরে গিয়েছিলাম। যদিও সার্বক্ষণিক এখানে কেউ না উপস্থাপিত থাকে তবুও নয়ন সি সি ক্যামেরা কানেক্ট করে রেখেছে এবং নয়নের কক্ষে বসেই সর্বদা নজর রাখে। কক্ষে কেউ উপস্থিত ছিলনা এবং জ্যাঠাবাবুর নড়াচড়া দেখেই নয়ন ছুটে এসেছিল।

উন্নত প্রযুক্তির এই আবিষ্কার যেটার সঠিক ব্যবহার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই তো এটার ফায়দা নিয়ে নিজেকে অনেক খারাপ কাজে লিপ্ত করে। আসুন না , আমরা সকলে এভাবে বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে সঠিক স্থানে প্রয়োগ করি। আমরাই তো পৃথিবীর চিত্রটা বদলে দিতে পারি!

IMG20241112123450.jpg

জ্যাঠাবাবুর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে নয়ন হাসপাতালের এই খাট ক্রয় করে নিয়ে এসেছে। ওহ! একটা কথা বলতেই হবে যে এই নয়ন কিন্তু জ্যাঠাবাবুর নিজের সন্তান না। জ্যাঠাবাবুর ভাইয়ের ছেলে। আপনারাই দেখুন কতো পরিবারে সন্তান বড় হয়ে মা-বাবাকে দেখেই না।

বৃদ্ধ বয়সে বা-মা'কে অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কোনো কোনো সন্তান তো কর্ম এবং বৈবাহিক অজুহাতে পরিবার রেখে দূরে গিয়ে বসবাস করে। অথচ একটা ছেলে তাঁর কাকুর জন্য কিভাবে কষ্ট করছে? কিভাবে সন্তানের দায়িত্ব পালন করছে?

এভাবেই ঐ দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...