Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? আবারো মাঝখানে কয়েকদিন গ্যাপ পড়লো পোস্ট লেখাতে। ইদানিং যদিও অনলাইনে অনেক বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে, তবে পোস্ট লেখার মতো মানসিক পরিবেশ যেন দিন দিন হারিয়ে ফেলছি। একটার পর একটা সমস্যা লেগেই রয়েছে।
যাইহোক, আজ আমার আজকের দিনের কার্যক্রম নিয়ে চলে এসেছি। তাহলে চলুন জেনে নিই বিচিত্র কার্যক্রম সম্পর্কে।
গতকাল ক্লাস এবং লাইভে থাকার কারণে পি সি তে বসতে বসতে রাত বারোটা আর কাজ শেষ করে ঘুমোতে প্রায় রাতের শেষ প্রহর হয়ে আসছিল। তাই সকালে মেঘের গর্জন ও কানে পৌঁছায়নি। যখন, ঘুম ভাঙ্গল তখন সকাল দশটা বেজেছিল। অর্থাৎ আমার দিনটা সকাল দশটায় শুরু হয়েছিল।
প্রথমেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়েছিলাম। অন্যদিকে মায়ের শরীরটাও ভালো নেই, তাই সকালে খাবার খাওয়ার আগেই মা'কে ওষুধ দিয়েছিলাম এবং সবাই এক সাথে সকালের খাবার খেয়েছিলাম।
আগের দিনের মতো রিপনকে টাকা ক্যাশ করতে বলার জন্য রিপন পূর্ব থেকেই টাকা রেডি রেখেছিল। কারণ আমার একটা Samsung S24 ULTRA মোবাইল নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা নিয়ে শোরুমে গিয়ে অন্য একজনের হাতে দেখেই মোবাইলটা হাতে নিমে অনলাইনের কিছু কাজ করতে চেষ্টা করলাম।
কিন্তু এটা করতে গিয়ে একটু হতাশই হলাম। কারণ মনে হলো এটাতে হয়তো অতিরিক্ত টাকাই ব্যয় হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না। এই মোবাইল গুলো প্রকৃতপক্ষে শৌখিন মানুষদের জন্য আমাদের জন্য না। তবে যেটা আকর্ষণীয় সেটা হলো ক্যামেরা, এই মোবাইলের ক্যামেরার ছবি দিয়ে আই ফোনের সাথে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব এটাই বিশেষত্ব।
বাকি কিছু কাজ ছিল শেষ করতে করতেই ভাইদা অর্থাৎ আমার এক বড় ভাই কল করে জানালো জ্যাঠাবাবুকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স করে খুলনা সিটি মেডিকেলে যেতে হবে। যাইহোক, বেশিক্ষণ বিলম্ব করা সম্ভব ছিল না তাই কাজ অসমাপ্ত রেখেই ওখান থেকে বেরিয়েছিলাম।
আমি একটু দ্রুত করে বাড়িতে ফিরে আবারো আমাদের স্থানীয় বাজারে গিয়েছিলাম। অ্যাম্বুলেন্স চালক হয়তো বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে যে কারণে অগ্রীম বাজারে গিয়েছিলাম। অন্যদিকে ভরদুপুরে বাজারে লোকজন ও কদাচিৎ এবং ভীষণ গরম। তাই একটু ভীড় না থাকা জায়গায় বসেছিলাম। অ্যাম্বুলেন্স, আসলেই আমি অ্যাম্বুলেন্স করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
আমার জ্যাঠাবাবু পূর্ব থেকেই উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছেন এবং সাথে ডায়াবেটিস ও আছে। পাশাপাশি, জ্যাঠাবাবুর বয়স ও বেশ অর্থা জ্যাঠাবাবু একজন অবসরপ্রাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাহলে বোঝাই যায় যে বয়সটাও নেহাৎ কম না।
বিগত মাসের চেক আপে কিডনীর কিছুটা সমস্যা ধরা পড়েছিল যে কারণে আজ আবারো নিয়ে যাওয়া। হয়তো ২/৪ দিন সেখানে থাকতেও হতে পারে তাই বড়মা ও ভাইদা, জ্যাঠাবাবুকে নিয়ে সেভাবেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল।
গরমে আমার অবস্থা বেহাল, দুপুর গড়িয়ে বিকেল কিন্তু তখনও স্নান হয়নি। তাই আমি দ্রুত স্নান শেষ করে খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভাবলাম। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাট, এরই মধ্যে আবার বোন কল করেছিল। আমি আমার ভাগ্নির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেছিলাম।
কথা বলতে বলতেই প্রায় সন্ধ্যে হয়ে আসছিল। এভাবে আমি আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।