Better Life with Steem|| The Diary Game|| 15th April 2024||

in hive-120823 •  11 months ago 
PhotoCollage_1713197033867.jpg

Hello Friends,
বন্ধুরা, প্রথমেই জানাই মহা সপ্তমীর শুভেচ্ছা। এখন বাংলাদেশ সময় রাত দশটা বেজে দশ মিনিট, আমি মন্দিরের মাঠে বসেই লিখতে শুরু করেছি। কারণ আজ মনে হচ্ছিল পোস্ট লিখতেই পারবো না। একের পর এক উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা আসতে শুরু করেছে সেই সন্ধ্যা থেকে।

যাইহোক, আজ সকাল থেকেই কমিউনিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও মন্দিরের পূজা নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। আমার আজকের দিনের সকল কার্যক্রম এখন আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো।

Morning

আজ ও অন্যদিনের মতো সকাল দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তবে আমার আজকের দিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল সকাল ১০.৩০ এর দিকে। প্রকৃতপক্ষে তখনই সকল পরিশ্রম সার্থক হয় যখন কোনো কাজ নির্ভুল ভাবে সমাপ্ত করা যায়।

যেহেতু, আমাদের কমিউনিটিতে সিজন-১৭, চ্যালেঞ্জ চলমান এবং আজই একটি সপ্তাহের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে আমারো সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। যাইহোক ভালো লাগছিল যখন আমাদের কমিউনিটির কো-এডমিন ম্যাম আমাকে বলেছিলেন যে আমার বিগত সপ্তাহের কাজ নির্ভুলভাবে আমি করতে সক্ষম হয়েছি।

IMG_20240415_214853.jpg

আমি কাজ শেষ করেই মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। তবে বেরোনোর পূর্বেই স্নান সেরে নিয়েছিলাম। কারণ আজই ছিল আমার অঞ্জলী দেওয়ার জন্য উত্তম সময়। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে মন্দিরে যাওয়ার জন্য রাস্তায় পা দিতে হয় না কিন্তু যেহেতু আমি অঞ্জলী দিবো তাই রাস্তা দিয়েই গিয়েছিলাম।

Noon

IMG_20240415_214743.jpg

নির্দিষ্ট সময়ে অঞ্জলী দেওয়া শেষ করেই আমার পিসতুতো বোনের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছেই ফ্রিজ থেকে একটি জলের বোতল বের করে জল খেয়েছিলাম। আবার এরই মধ্যে এক কাকিমা এসেছিল আম মাখা খাওয়ানোর জন্য।

আমি শৈশব থেকেই টক পছন্দ করি না এবং এখনো। তবে কাকিমা ডাকতে এসেছে বলে কথা তাই আমিও কাকিমার ঘরে গিয়েছিলাম। কাকিমাও জানে যে আমি টক পছন্দ করি না তাই আম মাখার সাথে আমাকে চিনিও দিয়েছিল। অনেক বছর বাদে আম মাখা খেয়েছি আজ কাকিমার সাথে বসে।

Afternoon

IMG_20240415_214715.jpg

তারপর বাড়িতে ফিরে আবারো স্নান সেরে নিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু খেতেই ইচ্ছে করছিল না। তাছাড়া আমাদের গ্রামের প্রতিটি ঘরেই এখন নিরামিষ আর এই নিরামিষের কথা শুনলেই আমার খিদে পালিয়ে যায়।

যাইহোক কিছু পোস্ট পরিদর্শন করে ভেরিফাই করেছিলাম। আবার আজ বিকেলে আমাদের পাড়ার মন্দির থেকে অন্য পাড়ার মন্দিরে ভোগ নিয়ে যাওয়ার কথা আছে। তাই আমি দ্রুত রেডি হয়ে আমাদের মন্দিরে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছেই দেখলাম কিছু কিছু মানুষ ইতিমধ্যে চলে এসেছে মন্দিরে।

IMG_20240415_230014.jpg

যাইহোক, কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম গুটি গুটি পায়ে সকলেই এসে উপস্থিত হয়েছে। তারপর আমরা সকলে একত্রিত হয়ে অন্য পাড়ার মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।

IMG_20240415_214528.jpg

প্রতিবছরই এভাবে আমরা সকলে মিলে ঐ মন্দিরে যাই। এটাকে কি বলা যায় হয়তো আমি সঠিক বলতে পারবো না। কিন্তু এটা আমার অনুভূতি যে সকল মা ই এক আমরা শুধু আলাদা স্থানেই তাঁর উপাসনা করি। এই যাওয়া আসার মাধ্যমে যেন ভ্রাতৃত্ববোধ পুনরোজ্জিবিত হয়।

IMG_20240415_214929.jpg

এই পূজার সময় একটি মন্দিরে সর্বনিম্ন দুইজন পুরোহিত ও দুইজন করে পূজারী থাকে। ছবির এই দৃশ্যে আপনারা খেয়াল করলেই দেখবেন একজন পূজারী অন্য পূজারীকে একইভাবে বরণ করে নিচ্ছিলেন। তারপর আমরা তিনবার ঐ মন্দির প্রদক্ষিণ করে মায়ের মুখ দর্শন করি যেটা আজ ও করেছিলাম।

Evening

IMG_20240415_214321.jpg

তখন ছিল গোধূলি লগ্ন, আমার আবার ভীষণ গরমও লাগছিল। তাই মা'কে বলে আমি ঐ মন্দির থেকে আমাদের বাজারে এসেছিলাম। এসেই চায়ের দোকানে ছয় কাপ চা অর্ডার করে আমি আমার মামার চেম্বারে গিয়েছিলাম।

আমার ডাক্তার মামা মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন তাই আমি সাত পাঁচ না ভেবেই মামার চেয়ারে বসেই মোবাইল হাতে নিয়ে কমিউনিটির কিছু পোস্ট পরিদর্শন করতেছিলাম। বাড়িতে ফিরতে ফিরতে রাত হয়েছিল।

Night

IMG_20240415_213952.jpg

আমি মা'কে ভাত খাওয়ার কথা বলেছিলাম কিন্তু দেখলাম বড়'দি কল করেছে মন্দিরে যেতে হবে তখনি। তাই আর খাওয়ার সুযোগ হলো না। আমি তড়িঘড়ি করেই মন্দিরে পৌঁছে ছিলাম।

আমার এক স্যার ইতিমধ্যেই অনর্গল কথা বলতে শুরু করেছিলেন। যাইহোক, আমি পৌছানো মাত্রই বড়'দি ও স্যারের কথা মতো আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়েছিলাম অতিথিদের সম্মূখে কথা বলার জন্য।

IMG_20240415_214240.jpg

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের নিমন্ত্রিত অতিথি মহোদয়ের আগমনী ধ্বনি শুনতে পেয়েছিলাম। আমাদের মন্দির কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাঁদেরকে মাল্যদান ও ফুলের তোড়ার মাধ্যমে আমরা বরণ করে নিয়েছিলাম।

IMG_20240415_214132.jpg

অতিথি মহোদয়ের বিদায়ের পরে আমি মন্দির থেকে কিছু ফল ও মিষ্টি নিয়েছিলাম সকলকে দেওয়ার জন্য। মোটামুটি বেশ মানুষের সমাগমও ছিল।

IMG_20240415_214042.jpg

এরই মাঝে আরতি ও করেছে পূজারীরা ও গ্রামের অনেকে। তারপর আবার আমাদের উপজেলার এস আই উপস্থিত হয়েছিলেন। আমি, বড়'দি, স্যার ও বোনের হাজবেন্ড এস আই এর সাথে আগামীকালকের অনুষ্ঠানে নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বার্তা বলেছিলাম।

এরপর ভাবলাম কিছুটা পোস্ট লেখা উচিত, তাই মোবাইল হাতে নিয়েই লিখতে বসেছিলাম। কিছুটা লেখা হতেই আমি বড়'দি কে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছিলাম।

আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

END

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

TEAM BURN

Your post has been successfully curated by @inspiracion at 35%.

Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.

Team Burn (1).png

Burning STEEM by sending it to the @null account helps reduce the supply of STEEM and so increase its price.

@inspiracion,
Thank you so much my dear honourable ma'am for your encouraging support.

Loading...

আপনার সারাদিনের পোস্ট পড়ে মনে হল ব্যস্ততার মাঝেই দিন পার করেছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মন্দিরের কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলেন। আপনাদের অনুষ্ঠানে দেখলাম অনেক মানুষজন আমন্ত্রিত ছিল।

সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।