নমস্কার, বন্ধুরা,
আজ অন্যরকম একটা রাত, কাকুর বাড়িতে কালি পূজো। রাত, আটটার দিকে কাকুর বাড়িতে এসেছি। পূজোর সরঞ্জাম এখনো গোছানো চলছে, পাশাপাশি জল খাবার দেওয়া হচ্ছে সকলকে।
যেহেতু, বাইরের অনেক নিয়ন্ত্রিত অতিথি ও আছে, তাই আমিসহ আরো কয়েকজন পাশের চেয়ারে বসে আছি। এই সুযোগে মোবাইলটা হাতে নিয়েই পোস্ট লেখার জন্য বসেছি। যাইহোক, এখন আমি আমার আজকের সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম নিয়ে চলে এসেছি।
আজ সকালে দশটার মধ্যে আমার স্থানীয় বাজারে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই সকাল দশটার বেশি বেজেছিল। যাইহোক, বন্ধুকে কল করে বললাম দশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছাচ্ছি বাজারে। কোনোরকম সকালের খাবার শেষ করে আমারদের বাড়ির রাস্তায় বেরোতেই দেখলাম বন্ধুর ছোটভাই বাইক নিয়ে উপস্থিত।
প্রয়োজনীয় কাগজ গুলো ছোট ভাইয়ের কাছে দিয়ে বাড়িতে ফিরে বাগদা চিংড়ির বালতি নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে গিয়েছিলাম। বোন আজ আসবে তাই বাবা দূরের বাজারে গিয়েছিল ইলিশ মাছ ক্রয়ের জন্য। যাইহোক, প্রায় দুই কেজির মতো বাগদা চিংড়ি বিক্রি করলাম। প্রতি কেজির বাজার মূল্য নয়শত টাকা।
বাজারে পৌঁছানোর কারণে চিন্তা করলাম বাকি কাজ ও সেরে যেতে হবে। একটা প্রকল্পের ambassador হিসেবে কাজ করার জন্য বেশ চাপ দিতে হচ্ছে ইদানিং। তাই সারাদিন অনলাইনে থাকতে হচ্ছে, বিশেষ করে twitter এবং Discord এ। যাইহোক সেইটা নিয়ে ছোটভাই ইমনের সাথে কথা বলার ছিল। কারণ আমার ইচ্ছে আছে ইমন, আমি ও আমার এক বন্ধু এক সাথে ৪/৫ টা প্রকল্পে ঢুকবো।
যদিও এক সাথে সব গুলো সম্ভব না কিন্তু কোনো না কোনোটাই স্বল্প সময়ের মধ্যেই হবে বলে আশা রাখছি। ইতিমধ্যে অনেক প্রকল্পের সুযোগ হয়েছে কিন্তু ইউজারদের লাভবান করার মতো প্রকল্প কম। আমাদের উদ্দেশ্য সেইরকম কিছু যেখানে অনেকেই নিজেদের জন্য করতে পারে।
দুপুরে বাড়িতে ফেরার পথেই কাকুর বাড়িতে গিয়েছিলাম মায়ের মুখ দর্শনের জন্য। মায়ের প্রতিমায় রং করা ও শেষ। ইতিমধ্যে চেয়ার সাজিয়ে ও রাখা হয়েছে যে কারণে পাড়ার লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনদের ও আগমন ঘটেছে। আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে নিয়েছিলাম।
দুপুরের খাবার শেষ করতেই বোন কল করে রাস্তায় এগোতে বললে আমি দ্রুত রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। রাস্তায় পৌঁছেই দেখলাম ওরা গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে। কাজিনরা ও দলবেঁধে আমার সাথে গিয়েছিল। বোনের মেয়েকে ভাগে পাওয়ার কোনো উপায়ই নেই, যাইহোক নিরূপায় হয়ে শুধুমাত্র ২টা ছবি তুলেছিলাম।
পড়ন্ত বিকেলে পূজোর জন্য কাকিমা এবং সাথে আরো কয়েকজন মিলে মা গঙ্গা'কে বরণ করতে যাচ্ছিল। আমিও ঐ মুহুর্তে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম উলুধ্বনির আওয়াজ শুনে। বাইরে শীতের মৃদু বাতাস বইছিল, তাই আমি আর না গিয়ে বাড়িতে ফিরে হালকা গরম একটা চাদর নিয়েছিলাম।
মায়ের হঠাৎ আগমনে যেন চারদিকে আলোকিত এবং পূজোর মূহুর্তে যেন মায়ের প্রতিমায় প্রাণের সঞ্চার হয়। তবে হ্যাঁ এটা শুধুমাত্র মায়ের একনিষ্ঠ ভক্তরা বা সন্তানেরাই অনুভব করতে পারে। ভক্ত ভক্তি ভরে যে কোনো পরিস্থিতিতে যেভাবেই যেরূপে ঈশ্বরের স্মরণ করে ঈশ্বর সেভাবেই কৃপা করেন।
আমি যখন রাতে গিয়েছিলাম তখন এই ছবিটি আমার মুঠোফোনে তুলেছিলাম। যাইহোক, এভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।