![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
আজকের দিনটা ছিল অনেক বেশি ব্যস্ততাময়। তবে মোটামুটি ভালোই সময় অতিবাহিত হয়েছে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে আত্মীয় স্বজনদের আগমনে যেন মুখরিত বাড়ির পরিবেশ। অনেকের সাথেই দেখা হলো হয়তো এক যুগের পর। যাইহোক, আজকের সকল কার্যক্রম এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
![]() |
---|
যদিও ইচ্ছে ছিল সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার কিন্তু বিগত রাতে ঘুমোতে যখন গিয়েছিলাম তখন বাংলাদেশ সময় ছিল সকাল ৬.১০, তাই সময়মতো উঠতে পারিনি। মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙ্গেছিল সাড়ে আটটার দিকে। আমি ব্রাশ করতে করতে দাদু বাড়ি গেলাম সবেমাত্র মাছ ভাজি করা শুরু করেছিল। সেখানে কিছু সময় থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
ইতিমধ্যে, আমার সকল পিসিরা চলে এসেছে কিন্তু কাকাতো বোন এবং আমার বোন পৌঁছায়নি। সকালে খাবার খেয়ে একটু বিরক্ত লাগছিল। তারপর বোনের কাছে কল করলাম ওরা জানালো পথে রয়েছে। বাড়িতে মন বসছিল না। আমার ভাগ্নি আসবে তাই আমি আমাদের বাজারে গিয়ে অপেক্ষা করছিলাম।
![]() |
---|
প্রায় ত্রিশ মিনিট অপেক্ষায় থাকার পরে ওরা বাজারে পৌঁছালো। তারপর আমিও বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। মুশকিল হলো আমার ভাগ্নিকে ভাগে পাওয়া যায় না যখন আমাদের বাড়িতে আসে। পাশাপাশি, এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্ধ যে কারণে আমার সকল ভাইয়েরা এখন বাড়িতেই। এই ছবিতে দেখুন বাড়িতে আসা মাত্রই টানাটানি করে নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এমনকি এদের জন্য আমার ছোট কাকু এসেও ধরার সুযোগ পায় নি।
সবেমাত্র চৌদ্দ মাস বয়স অথচ আমাদের বাড়ির কাউকেই ভোলেনি। যে কারণে সকলের কাছে যেতে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। আমাদের ও কিছু করা লাগে না। দুপুরে সকলের নিমন্ত্রণ তাই আমি ভাগ্নিকে মায়ের কাছে বসিয়ে দিয়ে স্নান সেরে নিলাম। ইতিমধ্যে দূর - দূরান্ত থেকেও অনেক আপনজন এসে পৌঁছেছেন।
![]() |
---|
আমাদের নিজেদের মধ্যে খাবার সার্ভ করার বিষয়টা সেট করেই আমরা দুপুরে সকলকে খাবার সার্ভ করা শুরু করেছিলাম। তাছাড়া খাবারের টেবিলে আটজন করে লোক এবং দুইজন করে খাবার সার্ভের দায়িত্বে ছিলাম। মাঝে লোকজন বেশি থাকায় আমি একটু বোনের বাড়ি গিয়েছিলাম। কারণ ভীষণ খিদে পেয়েছিল। তবে শুরু করলে তো শেষ করতেই হবে তাই প্রথম বার যারা বসেছিল তাদের পর্বটা সমাপ্ত হওয়ার পরেই বেরিয়েছিলাম।
![]() |
---|
আমার একমাত্র ভাগ্নে এসেছে বাড়িতে কিন্তু আজই চলে যাবে। অন্যদিকে আমার বড়'দিও বাড়িতে থাকে না। কারণ চাকরিসূত্রে বড়'দি এখন বাড়িতে থাকে না। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসে এবং রবিবার সকালে আবার চলে যায়। যদিও গ্রামের একটা অনুষ্ঠান আজ কিন্তু জানুয়ারিতেই আমার ভাগ্নের পরীক্ষা, তাই তাঁকেও চলে যেতেই হবে। বড়'দি মাংস রান্না করেছে, পিঠা তৈরি করেছে। আমার তো খিদে পেয়েছিল কিন্তু মাংস দেখে আরো বেশি খিদে পেয়েছিল।
আমার মাংস অনেক বেশি পছন্দের যেটা বড়'দি ও জানে কারণ আমার ছোটবেলাটা বড়'দির সাথেই অতিবাহিত হয়েছে। অন্য একটা মজার বিষয় হলো বড়'দির অর্থাৎ এই বোনের শাশুড়িকে কিন্তু আমি দিদা বলে ডাকি। এটা অন্য একটা সম্পর্ক যে কারণে বোনের বাড়ি হলেও শুধুমাত্র খাবার না আমি কোনো কিছুতে বেশি সংকোচ বোধ করি না। ঐ বাড়িতে গেলেই আমি আগে আমার ভাগ্নের খাবারের পাত্র খুঁজে খাবার খাই যেটা আমার একটা অভ্যাস ও বটে।
যাইহোক, আমি তো মাংস না খেয়ে আসবোই না । ততোক্ষণে বড়'দি একটি প্লেটে আমার জন্য হাড্ডিসহ মাংস ও উঠিয়ে রেখেছে। সব কিছু বাদ, প্লেট নিয়ে বাইরে বেরিয়ে রৌদ্রে দাঁড়িয়ে খেয়ে ভাগ্নেকে বাইকে উঠিয়ে দিয়ে আবারো দাদু বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
![]() |
---|
এই ছবিতে উপস্থাপিত একজনকে হয়তো অনেকেই চিনে থাকবেন কারণ তিনি একজন স্টিমিয়ান যদিও বর্তমানে সক্রিয় নেই। দাদু বাড়ি যাওয়ার পথে দেখলাম মামাও খাবার খেয়ে বাইরে চলে এসেছে চেম্বারে যাওয়ার জন্য। অন্যদিকে আমার বোনেরা ও বোনের হাজবেন্ডরাও চলে এসেছে এবার খাওয়ার জন্য টেবিলে বসবে। আমার তো আর খাবার রাখারই জায়গা নেই।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমার যেহেতু আর খাওয়ার উপায় নেই তাই খাবার সার্ভের কাজে অংশগ্রহণ করলাম। সকলের খাওয়া শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল। নিজেকে পরিষ্কার করে সকলে মিলে কাকুর ঘরে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। বড়'দি আগে থেকেই আমাকে জানিয়েছিল আমার জন্য আনারস নিয়ে এসেছে। এবার বড়'দিকে জ্বালানোর পালা। তাই দল বেঁধে আমরা সকল ভাই-বোন বড়'দির বাড়িতে গিয়েছিলাম।
ঘন্টা দুইয়ের মতো আমরা বড়'দির বাড়িতেই ছিলাম। আনারস খেতে দারুন মজা হয়েছিল।
এভাবেই আমি সকাল থেকে রাত অবধি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার দিনটা কতটা ব্যস্ততায় এবং আনন্দে ভরা ছিল, তা পড়ে দারুণ লাগলো! পরিবার-পরিজনের সাথে সময় কাটানোর এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অমূল্য। লেখার মাধ্যমে সবকিছু এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন যে মনে হলো, আমিও আপনার সঙ্গে ছিলাম। দারুণ!শুভকামনা রইল!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit