Better Life with Steem|| The Diary Game|| 4th September 2024

in hive-120823 •  2 months ago 
PhotoCollage_1725478946282.jpg

Hello Friends,
অন্যান্য দিনের মতো আজকেও সকালে ঘুম থেকে উঠতে প্রায় সকাল দশটা বেজেছিলাম। আমার আজকের দিনটিও শুরু হয়েছিল সকাল দশটা থেকে। বিছানা ছেড়েই মুঠোফোন হাতে নিয়ে মোবাইল ডাটা অন করতে অনেকগুলো নোটিফিকেশন সামনে ভেসে উঠেছিল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই মা ডেকে জলকরে যাওয়ার কথা বলতে আমি সেখানে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু যেতে যথেষ্ট বিলম্বই হয়েছিল যে কারণে একটা মাছও আর পেলাম না। ইতিমধ্যে কাঁকড়া জাল কেটে দিয়েছিল আর সুযোগ পেয়ে মাছগুলোও বেরিয়ে গিয়েছিল।

বাড়িতে ফিরে প্রাতঃকৃত্য শেষ করে সকালের খাবার খেয়েছিলাম। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরিমাণটা যেন একটু অতিরিক্তই হয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করেই কম্পিউটারটা ওপেন করলাম না কারণ এখনো আই পি এস নেওয়া হয়নি। এভাবে যদি কম্পিউটার চলাকালীন ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় তাহলে পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যে কারণে ইউ পি এস বা আই পি এস রাখা উচিত বিশেষ করে যারা কম্পিউটার অনেক বেশি ব্যবহার করে।

IMG20240904122218.jpg
IMG20240904122156.jpg

দুপুর হওয়ার আগ মুহূর্তে রাস্তায় বেরিয়ে ছিলাম। আমাদের রাস্তার বিলে কাকুর একটি জলকর আছে। পাশেই বেত বন অবস্থিত যেটা যথেষ্ট ভয়ংকর একটি জায়গা। আমাদের এলাকায় এখনো বন বিড়াল এবং ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ দেখা যায়। এই প্রাণী বা জীব গুলোর জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবেই সেরা জায়গা এটা। এখানে মানুষের আনাগোনা কদাচিৎ দেখা যায়।

IMG20240904122101.jpg
IMG20240904122054.jpg

হঠাৎ স্বল্প পরিসরে একটি আওয়াজ আমার কানে ভেসে আসলো যেটা আমাকে যথেষ্ট পরিমাণে আতঙ্কিত করেছিল। আমি তো অনেক ভয় পেয়েছিলাম এবং একটু দ্রুত হেঁটে রাস্তাতে এসেছিলাম। কিন্তু তখন আবার উল্টো দিকে তাকাতেই দেখলাম একটি ছোট্ট বিড়াল ছানা।

মনে হয় কিছুটা হলেও ভয়টা দূর হলো এবং বিড়াল আমার ভীষণ পছন্দ তাই আমি সুযোগ বুঝে দুটি ছবিও তুলে নিলাম। যেহেতু বিড়াল ছানাটি আমার সাথে পরিচিত না তাই সে একটু ভয়ই পাচ্ছিল। আমি বিড়াল ছানাটিকে আর বিরক্ত না করে বাড়িতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।

IMG20240904122530.jpg

এবার আরও একটি ভয়ংকর চিত্র দেখলাম। এই পোকাটা সম্পর্কে আপনারা সকলেই হয়তো জানেন। যদিও ঈশ্বরের সৃষ্টি প্রতিটি উদ্ভিদ, জীব ও প্রাণী সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু উদ্ভিদ জীব ও প্রাণী প্রয়োজনে ব্যবহার করা উচিত এবং ক্ষতিকর হলে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।

অনুরূপ একটি পোকা এটা। এটা আমার কাকুর পুকুর পাড়ে অবস্থান করা একটি গাছের শিকড়ের কেবলমাত্র উপরের দিকে সারি বদ্ধভাবে গাছের বাহ্যিক আবরণের সাথে লেগেছিল। হঠাৎ করে বোঝাই মুশকিল। কিন্তু এখানে প্রায়ই আমার কাজিনরা আসে শখের বসে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে।

এটার ক্ষতিকর দিক:
এই পরিস্থিতির শিকার আপনারা হয়েছেন কিনা আমি জানিনা তবে আমি হয়েছিলাম। এ পোকা নিঃশব্দে অর্থাৎ আপনি বোঝার আগেই আপনার শরীরে পড়তে পারে বা লাগতে পারে যেকোনো গাছ থেকে।

কামড় দেয় না তাই বোঝাও যায় না। পাশাপাশি এদের শরীরের ওজনও অনেক কম। কিন্তু শরীরের যে স্থানে এটা এক সেকেন্ডের জন্যও লাগবে সেখানে ক্ষত সৃষ্টি হবেই এটা নিশ্চিত। এক কথায় এই প্রকার ত্বক যেটা খুবই বিষাক্ত।

IMG20240904131523.jpg

কাকু এবং কাকিমার আজ স্কুল ছুটি তাই বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাড়িতে ফিরে দেখলাম কাকিমা আমড়া মাখা নিয়ে বসে আছে। যদিও অতিরিক্ত টক ছিল না, তবে ঝালটা একটু কড়া'ই হয়েছিল। এই প্রখর তাপমাত্রায় বোধ হয় স্বাদটা একটু বেশি ভালো হয়েছিল।

IMG20240904185627.jpg

স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। যেহেতু রাতে ঘুমানো হয় কথা শীত তাই ঘুম চোখে ধরবে এটাই স্বাভাবিক। কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেই বুঝতে পারিনি। আজ যেহেতু বুধবার ছিল তাই আমাদের স্থানীয় বাজারের দিন। বাবা বাজার থেকে এসেই তোমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিল।

মায়ের জন্য ওষুধ আনতে যেতে হবে তাই আমি আপনাকে বেরিয়েছিলাম। আমাদের বাজারে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। আবার ওষুধের ফার্মেসিতে গিয়ে দেখি অনেক ভীড়। যাই হোক সেখানে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং সেই ওষুধ নিয়ে আসার উদ্দেশ্য করে গিয়েছিলাম না পাওয়ার কারণে আবার ফিরে এসেছিলাম।

এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

"আরে খুব ভালো লেখা! 😊 একটু প্রশংসনের মাধ্যমে তুমি নিজের লেখার স্বাদকে আরও ভালো করে তুলেছ। 🙌 আগামী বুধবারের বাজারের খবরটি এই থ্রেডের শেষদিকে পৌঁছানোর সন্ধানে, আমার উত্তর হিসেবে এটা লিখি... 😊"

টক যে কোন জিনিস দেখলেই জিভে জল চলে আসে আমড়া মাখা অনেকদিন খাওয়া হয় নাই বাংলাদেশে থাকতে প্রায় প্রতিদিন খেতাম।

আমাদের বাড়িতে বিশাল বড় একটি আমড়া গাছ ছিল স্কুল ছুটি দেওয়ার পরে ঢিল মেরে আমড়ে পেরে ঝাল মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেতাম দুপুরের টানা রোদে কি যে স্বাদ লাগতো।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদেরকে উপস্থাপনা করার জন্য।

মাছ ধরতে যেয়ে মাছ না পেলে একটু খারাপই লাগে।। আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে হয়তো প্রতিটি জায়গায় বিদ্যুতের একটা সমস্যা যেন লেগেই।। কি ভয়ংকর পোকা দেখেই গা শিউরে উঠে এরকম পোকা আমি অনেক দেখেছি।।