প্রিয় বন্ধরা,
কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশাকরি ভালো আছেন। গতকাল আপনাদের জন্মাষ্টমীর বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় চাকলা ধামের কথা বলেছিলাম।
তাই আজ আপনাদের সামনে সেই মন্দিরের কিছু ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ যদিও মানুষজন ফিরে আসছে জল ঢালার শেষে।
তবে বিগত দুটি দিন ছিল চোখে পড়ার মতো, আপনাদের মধ্যে যারা কলকাতাবাসী তারাও নিশ্চই গিয়েছিলেন কচুয়া বা চাকলা ধামে।
কারণ প্রতিবার অনেকেই যান, এখন অবশ্য ভক্তি কম এবং চাকচিক্য বেশি দেখা যায়। ভক্তির আড়ালে নেশা, হিন্দি গানের বহর, মেয়েদের সাথে প্রেমের নামে কিছু ছেলেদের গায়ে পড়া এইসব দেখতে পাওয়া যায়।
আমি খুব পরিষ্কার বাংলায় লিখছি তাই হয়তো অনেকের আজকের আমার ভাষা ভালো নাও লাগতে পারে তবে যেটা সচক্ষে দেখেছি সেটাই পরিশাকার ভাষায় লিখলাম।
আমি যে ধর্ম কর্ম বিশ্বাস করি সেখানে একটা শালীনতার মোড়ক থাকা প্রয়োজন আছে, যখন ঈশ্বরের নামেই তার স্থানে যাচ্ছি তাহলে কেনো এই ধরনের বেরেল্লা পনা চলবে।
দেখুন আমার কাছে ওই ধর্ম বলুন আর কর্ম সবটাই হলো আমার প্রতিদিনের সময় ব্যয় এর মধ্যে কতটুকু নিঃস্বার্থ ভাবে অন্য কাউকে দিতে পেরেছি, মানুষকে দিয়ে দেখেছি; সব স্বার্থপরের দল।
তাই আমি আমার পাড়ার কুকুরদের খাবার দিয়ে তাদের সাথে যে সময়টা কাটাই সেটাই আমার কাছে আমার নিঃস্বার্থ ধর্ম এবং কর্ম।
ঘরে বসে পরনিন্দা পরচর্চা করে, সন্ধে বেলায় ধুপ দীপ দেখিয়ে নিজেকে সন্যাসী ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ আপনি যাকে নিয়ে কথা বলছেন সে শুনতে না পেলেও, যায় শোনার সে কিন্তু ঠিক শুনছে এবং বিচার টা তার আদালতে নিরপেক্ষ হয়।
সে আপনি ধনবান হন না নির্ধন, কাজেই আমার কাছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নির্ভেজাল কাজের মধ্যে।
যারা ধর্মভীরু তারা আমার নিন্দা করতেই পারেন কিন্তু স্বভাব যায় না মিলে আর ইজ্জত যায় না ধুলে, কাজেইভতদিন বাকস্বাধীনতা আছে আমাকে আটকায় কার সাধ্য।
আজ চললাম, বেজায় বক্তৃতা দিয়ে ফেলেছি, ভোটের দেখা নেই, তবুও রোজ দিয়ে যাচ্ছি।
ভালো থাকবেন কেমন।