প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন কেটেছে আপনাদের রবিবারের দিনটি? আশাকরি সকলেই আনন্দ করে নিজেদের চুরির দিনটি অতিবাহিত করেছেন। আমার আগের লেখায় জানিয়েছি এই মুহূর্তে আমি কলকাতায় নেই বেরিয়েছি গৌহাটি যাত্রার উদ্দেশ্যে।
অন্য বিষয় যাবার আগে প্রথমেই আপনাদের জানতে চাই আসামের মানুষদের আপ্যায়নের বিষয়টি, এত সুন্দর তাদের সন্মান জ্ঞাপন করেন এরা পর্যটকদের যেটা দেখে আমি অভিভূত।
আমরা সদলবলে আসামের বহু নৃত্য পদর্ষণে গিয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের স্থানীয় উত্তরীয় যেটি আসামের একটি ট্র্যাডিশনাল কালচারের অঙ্গ এবং সাথে একটি ছোট্ট গন্ডার দিয়ে আমাদের অভ্যথর্না জানিয়েছিলেন গতকাল।
যারা নিজেদের কন্যাসন্তান সাথে নিয়ে এসেছেন তাদের উপরিউক্ত জিনিসগুলোর সাথে একটি প্রমাণ আকারের চকোলেট দিয়েছিলেন স্থানীয় আসামের মানুষরা।
আসামের বিহু নৃত্যের কিছু ছবি:-
এরপর বিহু নাচের মাধম্যে তারা আমাদের মনোরঞ্জন করে যেটি সচক্ষে না দেখলে তার গুরুত্ব লেখায় প্রকাশ এক প্রকার অসম্ভব।
আসামের প্রতি আমার বরাবর একটি বাড়তি টান রয়েছে, কারণ আমার এবং আমার মেয়ের জন্মস্থান আসাম।
আমার মামার বাড়িও আসামে কাজেই এখানের মাটি, প্রকৃতি সবটা আমার খুব কাছের। সময় বদলে গেছে, হারিয়ে গেছে প্রায় সকলেই সময়ের স্রোতে কিন্তু ছেলেবেলায় কাটানো শৈশবের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে আসামের সাথে।
আজকে গিয়েছিলাম কাজীডাঙ্গা জঙ্গলে ঘুরতে যে বিষয় নিয়ে আগামী লেখায় আপনাদের সাথে বিশদে কথা হবে।
ভারতকে বৈচিত্র্যময় দেশ বলা হয়, তার কারণ কেবল সর্বধর্ম সমন্বয় নয়, আছে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের বৈচিত্র্যময় বেশভূষা, ঐতিহ্য, খাদ্য, এবং সেখানের মানুষের জীবনযাপনের পদ্ধতি।
একটি দেশের মধ্যে এত ধরনের সাংস্কৃতিক দিক আর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না, এক্ একটি রাজ্য ঘুরলে বোঝা যায় সেখানের মানুষদের জীবন যাপন কতখানি আলাদা এবং কত কিছু দেখার ও শেখার আছে সেখান থেকে, ভাষা হোক বা সংস্কৃতি।
আসামের ভাষার সাথে বাংলা ভাষার বেশ মিল আছে কাজেই যারা বাংলা বোঝেন তাদের ক্ষেত্রে খুব বেশি অসুবিধা হিবার কথা নয় এখানে ঘুরতে আসলে।
বৈচিত্র্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ:-
যাইহোক, আজকের দিনটি কুশলেই অতিবাহিত হয়েছে আমার, এবং এইবার ফেরার সময় সঙ্গে করে ছেলেবেলার স্মৃতি সহ নিয়ে যাবো জীবনের শেষ প্রান্তের কিছু অভিজ্ঞতা।
সময় কারোর জন্যই অপেক্ষা করে না, আমার জন্যেও করবে না, তাই এবার এখানে এসে বুঝলাম কতগুলো বছর পার করে এসেছি নিজেরই অজ্ঞাতে।
জানিনা এরপর আর এখানে আসার সুযোগ পাবো কিনা, তাই এইবারের যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে নিতে চাই।
আজ এখানেই নিজের লেখা শেষ করে বিদায় নিলাম, আশাকরি আসামের সংস্কৃতির অঙ্গ বিহু নৃত্যের ছবিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে, অবশ্যই জানবেন আপনাদের মতাতম।