আজ - ১১ ই পৌষ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শীতকাল |

আসসালামু আলাইকুম, আমি রফিকুল ইসলাম , আমার ইউজার নাম @rafi4444। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি। বাংলাদেশী এবং অন‍্যান‍্য দেশের সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

শীতকালে আখ মানেই রস খাওয়ার মজা। আর এই আখের রস খুব ভোরে খালি পেটে পান করলে এটা শরীরের জন‍্য অনেক উপকারি। আখ কে ইক্ষু বলা হয়ে থাকে। আখের রস দিয়ে চিনি ও গুড় তৈরির জন্য ব্যবহার হয় বলে এর চাষ করা হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের আখের প্রজাতি চাষ হয়। বাংলাদেশে সচরাচর কম-বেশি সব জেলায় আখ চাষ করা হয় তবে সবচেয়ে বেশি আখ উৎপাদিত হয় নাটোর জেলায়।

আখের রস থেকে গুড় তৈরির প্রক্রিয়া চলুন শুরু করা যাক...

প্রথমে আখের গায়ে লেগে থাকা আখের পাতা গুলোকে পরিস্কার করে নিতে হবে এবং পরিস্কার করা আখ মেসিনের মধ্যে দিয়ে মারাই করে নিতে হবে। তারপর...

মারাই করা সকল রস একটি টিনের মধ্যে করে নিয়ে চুলার উপরে কড়াইপাত্রের উপরে ছাঁকনার মধ্যে ছেঁকে পরিস্কার রস কড়াইয়ের মধ্যে রাখতে। যতক্ষণ না পযর্ন্ত কড়াইপাত্রটি রসে না ভর্তি হয়। তারপর...

চুলার উপরে কড়াইপাত্রের মধ্যে রস ভর্তি হয়ে গেলে চুলায় জ্বালানি দেওয়া শুরু করলে অনেকটা সময় পরে রসের উপরে তরল পদার্থের ময়লা ভেসে ওঠে। সেই ময়লা বা গাদ কে একটি পরিস্কার কাপড় দিয়ে উপর থেকে ছাঁকনার মাধ্যমে ছেঁকে ফেলে দিতে হয়। তারপর...

রসের উপরে থেকে গাদ বা ময়লা ধরা হয়ে গেলে আগের থেকে চুলার আঁচ বাড়িয়ে জ্বালানি শুরু করতে হবে। এমন ভাবে জ্বালানি শুরু করতে হবে যাতে করে কড়াইপাত্রের রস সব সময় উতলাতে থাকে। মাঝে একটু সময় নিয়ে ডালডা এবং বন ঢেড়শের রস দিয়ে নিতে হবে। এভাবে প্রায় ২-৩ ঘন্টা এক নাগার জ্বালানি দিতে হবে। তারপর...

একটা সময় রস একটু ঘনত্ব হয়ে আসলে কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে জ্বালানি দিয়ে চুলার উপর থেকে কড়াইটি নামিয়ে নিতে হবে এবং এক পাশে পরিমাণ মতো চিনি দিতে হবে। তারপর...

চিনি গুলোকে সুন্দর করে গুড়া করে নিতে হবে যাতে করে গুড় ভালো দানা লাভ করে। চিনি গুড়া হয়ে গেলে পাকা রস সম্পূর্ণ চিনির মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে এবং কিছুক্ষণ ভালো ভাবে নাড়িয়ে নিতে হবে। অতঃপর এভাবেই সম্পূর্ণ হবে আখের রস থেকে আখের গুড় তৈরির প্রক্রিয়া।

ধন‍্যবাদ সবাইকে