Betterlife With Steem. ||মামাতো বোনের ছেলের সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠানে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত। ||

in hive-120823 •  12 days ago 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



1000006917.jpg

ছবিটা picsart অ্যাপ দিয়ে তৈরি।

বাংলাদেশের একটা প্রচলিত রীতি হয়ে গিয়েছে সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান করা৷ যদিও আমাদের ধর্মীয় ভাবে এটা পালন বা অনুষ্ঠান করার কোনো নিয়ম নাই। তবুও দিন যত যাচ্ছে এর পরিষর যেন বেড়েই চলেছে। যাই হোক, গত সপ্তাহে বাড়ী এসেছিলাম, অসুস্থতার কারণে ডাক্তার দেখানোর জন্য। কিন্তু বাসায় এসে জানতে পারি এই সপ্তাহেই আমার মামাতো বোনরা অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিয়েছে সেখানে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার খিড় মুখে দেওয়া এবং শুক্রবার অনুষ্ঠান। যেহেতু দাওয়াত দিয়েছে সম্মান রক্ষার্থে যেতে তো হবেই। আব্বু কাজের ব্যস্ততার কারণে যেতে পারবে নাহ্। আমি এবং আমার মা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বৃহস্পতিবার ১১ টার দিকে আমরা বাড়ী থেকে বের হলাম, যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা একসাথে আমার ছোট খালা, বড় খালা, সেজো খালা, আমি এবং খালু ও আমার মা এক সাথে গেলাম।

দুপুর ২ টার দিকে তাদের বাড়ী চলে গেলাম। কুষ্টিয়া শহরের পাশেই বোনদের বাসা। গিয়ে দেখি বাড়ীটা বেশ সুন্দর ভাবে সাজানো। খিড় মুখে দেওয়ার জন্য বাড়ীর ভিতরে সামনে একটা জায়গা বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আমরা গিয়ে আগে রেস্ট নিলাম।

1000006642.jpg1000006643.jpg

1000006644.jpg

আমি বেশ কিছুটা সময় পর আমার ভাগিনেকে ডেকে নিয়ে কিছু ছবি তুললাম। মামাতো ভাইয়ের মেয়ে এবং বোনের ছেলেকে পাশা পাশি বসিয়ে ছবি তুললাম। দেখতে দুইজনকে অনেক সুন্দর লাগতেছিল। বিকাল ৪ টার দিকে খিড় মুখে দেওয়ার অনুষ্ঠান শুরু হলো। অনেক ধরনের আইটেম ছিল। তাও প্রায় ১০/১৫ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আইটেম। প্লেটে সাজিয়ে টেবিলেট উপর রাখা হয়েছিল। প্রথমে আমার মামাতো বোন তার ছেলের মুখে খিড় তুলে দিল। এরপর তার আব্বু। এবার একে একে সবাই দিল। ওখানে সব মেয়েরা থাকার কারণে আমি যায় নাই। দূর থেকেই একটা শুধু ছবি তুলেছিলাম।

1000006653.jpg

1000006652.jpg

1000006648.jpg

1000006650.jpg

আত্নীয় স্বজনরা এবং বাড়ীর আশে পাশের মানুষদেরকে খিড়মুখের অনুষ্ঠানে দাওশাত দেওয়া হয়েছিল।সবাই এসে একে একে খিড় মুখে দিয়ে যাচ্ছিল। সবার জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। সবাইকে টেবিলে বসিয়ে খাওয়ানো হলো। আমি নিজেও কয়েকটা টেবিলে মানুষদের বসিয়ে খাবার পরিবেশ করলাম। দিনটা বেশ ভালোভাবে কেটে গেল।

আসরের কিছুটা সময় পর আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য চলে আসি। অনুষ্ঠান তখনও চলতেছিল। অনেক দিন পর এভাবে অনুষ্ঠান বাড়ীতে আনন্দ করলাম। আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের পোষ্টটা ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...

সুন্নতে খাতনার অনুষ্ঠানের এই বর্ণনা পড়ে মনে হল যেন নিজেই সেখানে উপস্থিত ছিলাম। অনুষ্ঠানের আনন্দ সবসময় অন্যরকম হয় বিশেষ করে যখন প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়। খিড় মুখে দেওয়ার আচার এবং খাবারের বর্ণনা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ছবিগুলো দারুন হয়েছে বিশেষ করে শিশুদের মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কোথায় আছে নামে মুসলমান কাজে নয় বর্তমান সময়ে অনেকটা এরকমই চলছে।। কারণ আমরা অনেক কিছু জেনে ও সেটা করতে চাই না যেমন কবরস্থান পাকা করা সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান করা এরকম অনেক কিছু ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ থাকলো আমরা যেন এগুলোই করে থাকে।।

যাইহোক অনুষ্ঠান যেহেতু হয়েছে আনন্দ হবে না তা তো আর নয় দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা আনন্দের সাথে আপনার ভাগ্নের সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান পালন করলেন।।

অনেক ধন্যবাদ ভাই।

সুন্নতে খাতনার অনুষ্ঠান আপনারা এমন ভাবে পালন করেছেন দেখে মনে হচ্ছে বিয়ে করতে বসেছে আপনার ভাগিনা যাই হোক তার জীবনে বিয়ে করার অভিজ্ঞতাটা কিছুটা হলেও সে অর্জন করেছে এই অনুষ্ঠান থেকে আপনি সেখানে গিয়েছেন আপনার মা এবং আপনারা সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন যতটুকু আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে বুঝতে পারলাম অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

😁 হুম যা বলেছেন,, কয়েক বছর পরই বলবেনে বিয়ে করব৷ তাই আগে থেকে বিয়ের স্বাদ দিয়ে দেওয়া হলো। 😜

ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।