হ্যালো বন্ধুরা,
প্রথমে জানাই সবাইকে সালাম/ আদাব।
আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম আমার ছোট্ট সবজির বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি ও চাষ পদ্ধতি।
আমার বাড়ির পাশে ছোট একটু জায়গায় ছোট পরিসরে । আমি খুব যত্ন সহকারে চাষ করি তার পদ্ধতি ও দৃশ্য তুলে ধরলাম।
উপরের দৃশ্যে আপনারা যে শাকের দেখতে পারছেন সেই শাক এর নাম হলো মুলা শাক।
মুলাশাক চাষের পদ্ধতি:
মুলা শাক চাষ করতে বেশি পরিমাণ জমির প্রয়োজন হয় না। অল্প পরিমাণ জমিতে অধিক মুলা শাক চাষ করা যায় । মুলা শাকের বীজ রোপন করার পূর্বে,জমিটি ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে। তারপর ওই জমিতে জীব ও পটাশ সার সিটাইতে হবে ।ছিটানোর পর জমিটি ভালোভাবে সমান করে।
মই দিয়ে মুলা শাকের বীজ ছিটিয়ে দিয়ে মাটি মই দিয়ে আবার সমান করে। মুলা শাকের বীজ রোপন করার পর। কিছুদিন পর যখন বীজগুলো গাজানো শুরু করবে তখন ছোট্ট ছোট্ট শাকের উপর পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। তার কিছুদিন পর জমির পরিমাণ মত ইউরিয়া সার দিতে হবে এভাবেই মুলা শাক চাষ করতে হয়।
উপরের দৃশ্যের শাকের নামটি হচ্ছে : বতুয়া শাক
বতুয়া শাক চাষ করার পদ্ধতি:
বতুয়া শাক চাষ করতে পরিমান মত একটু বেশি জায়গা লাগে। কারণ বতুয়া শাক এর ঘন করে বীজ রোপন করলে । ভালো ফসল পাওয়া যায় না। তাই অল্প পরিমাণ বীজ । একটু বেশি জায়গায় চাষ করতে হয়।
বতুয়া শাক চাষ করতে বেশি কোন সারের প্রয়োজন হয় না। শুধু গোবর সার বা জৈব সার দিয়ে জমিটি ভালোভাবে তৈরি করে নিতে হয় । বীজ ছিটানোর কিছুদিন পর বা চার থেকে পাঁচ দিন পর জমিটিতে হালকাভাবে একটু পানি ছিটিয়ে দিতে হয়। এভাবেই বতুয়া শাক চাষ করতে হয়।
উপরের দৃশ্যের শাকটির নাম হচ্ছে সরিষা :
সরিষা শাক চাষের পদ্ধতি:
সরিষা শাক খোলামেলা জমিতে সব থেকে ভালো হয় সরিষা শাক চাষ করতে বেশি পরিমাণ জমি লাগে।এবং অল্প পরিমাণ বীজ সরিষা শাক চাষ করার আগে জমিতে জৈব সার দিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে ভালোভাবে জমিটি তৈরি করে নিতে হয় ।
জমি তৈরি করার পর জমিতে কোন জাবরা থাকলে সেগুলো বাঁচিয়ে ফেলে দিতে হয়। তারপর ভালোভাবে মই দিয়ে সরিষার বীজ রোপন করতে হয়। বীজ রোপন করার পর জমিটিতে হালকা পরিমাণ পানি দিতে হয়। তারপর সরিষার বীজগুলো বড় হওয়া শুরু করলে ।জমিটিতে বেশ কিছু প্রকার সার প্রয়োগ করা লাগে। এভাবেই সরিষা শাক চাষ করতে হয়।
আমার বাড়ির ছোট সবজি বাগানে আরেকটি সবজি বা ফল আছে। সবজি বা ফলের গাছটির নাম হচ্ছে কলাগাছ।
কলা চাষ করতে বেশি কোন জায়গার প্রয়োজন হয় না।কোন যত্ন করা লাগে না যেখানে সেখানে এই ফলটি চাষ করা যায় ফলটি চাষ করতে।
কোন প্রকার সার বা পানি বা যত্ন প্রয়োজন হয় না। আমরা সকলেই এই ফলের কাজ টি সহজেই রোপন করতে পারব ।এবং ফলটি খেতে খুব সুস্বাদু।
আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা ,
আবার দেখা হবে অন্য কোন প্রসঙ্গ নিয়ে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Curated by - @juichi
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit