প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশা করি আপনার সুস্থ আছেন। আর আজকের দিনটা আপনাদের খুব ভালো কেটেছে।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার হাতের মৌরোলা শুঁটকি মাছের ঝাল। শুঁটকি মাছের মধ্যে কাঁচা টমেটো আর পেঁয়াজ পাতা দিয়ে করেছি। তারপর আবার ধনেপাতা আছেই।
আমাদের বাড়িতে আমার মেয়ে শুঁটকি মাছ খুব ভালো খায়।আমি আসাম থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের শুঁটকি মাছ কিনে নিয়ে এসেছি।
যাইহোক আসুন আপনাদের বলি কি কি উপকরন দিয়ে এবং কি পদ্বতিতে রান্নাটা করলাম।
-:উপকরণ:- |
---|
১. মৌরোলা শুঁটকি মাছ- ৫০০গ্ৰাম।
২. কাঁচা টমেটো- ২টো।
৩. আদা- একটা ছোটো টুকরো।
৪. পেঁয়াজ- ২টো।
৫. রসুন- ১টা।
৬. চিনি- এক চা চামচ।
৭. লবন ও হলুদ- এক চা চামচ করে।
৮. সরষের তেল- পরিমাণ মতো।
৯. গরম মশলা প্যাকেট- ১ টা।
১১. টমেটো- ১টা
১২. ধনেপাতা- প্রয়োজন অনুসারে।
১৩. কাঁচা জিরা- (এক চা চামচ ফোড়োনের জন্য।)
-:রন্ধনপদ্বতি:- |
---|
- প্রথমে মাছ গুলো জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে দিলাম।
- এরপর একটা প্লেটে যা যা মশলা আমি রান্নায় ব্যবহার করবো, সেগুলো পরিমাণ মতো নিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
- পেঁয়াজ কেটে নিলাম।
- এরপর মিক্সিতে মশলাটা নিয়ে নিলাম।
- তারপর বাটা হয়ে গেছে মশলাটা।
- কড়াইয়ে তেল দিয়ে কাঁচা জিরা ফোড়ন দিলাম।
- ফোড়ন ভাজা হয়ে গেলে, তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ জন্য দিয়ে দিলাম।
- পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে কাঁচা টমেটো দিয়ে দিলাম।
- পেঁয়াজ আর টমেটো ভাজা হয়ে গেলে তাতে বেটে রাখা মশলাটা দিয়ে দিলাম।
- মশলাটা হালকা নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ, চিনি দিয়ে দিলাম।
- তারপর মশলাটা কষে গেলে পেঁয়াজ পাতা দিয়ে দিলাম।
- পেঁয়াজ পাতা মশলার সাথে কষিয়ে নিয়ে মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।
- এরপর মাছ গুলো মশলার সাথে মিশিয়ে একটা থালা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিলাম।
- তারপর থালা উঠিয়ে গরম মশলা দিয়ে দিলাম।
- এরপর ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
আমার মোরোলা শুঁটকি মাছ রান্না হয়ে গেলো।
-:বৈশিষ্ট্য:- |
---|
শুঁটকি মাছের উচ্চমানের প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। শুটকি মাছের প্রোটিনের মধ্যে যে আ্যমিনো আ্যসিডের থাকে, তা ডিমের আ্যমিনো আ্যসিডের থাকে তুলনীয়। শুঁটকি মাছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়যায়, যা রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায়।
আজকের আমার রান্না আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভ রাএি।