প্রিয়,
বন্ধুরা,
আশাকরি আপনার সকলেই সুস্থ আছেন, এবং ভালো আছেন। আপনাদের আজকের দিনটা নিশ্চয়ই খুব ভালো কেটেছে।
আজকে আমি রান্না করলাম আলু দিয়ে মধুট্যাংরা মাছের ঝোল। অনেক দিন এই মাছটি খাওয়া হয় না। আসলে আমার মেয়ে আর ইমন এই মাছ খুব ভালো খায় কারন কাঁটা নেই।
আর এই মাছ যেমন ছোটোদের জন্য খেতে সুবিধার কাটা নেই বলে, তেমনই সুস্বাদু আর সাথে পুষ্টিকর।
তাহলে আসুন আপনাদের সাথে শেয়ার করি কি কি দিয়ে এবং কিভাবে রান্না টি আমি করলাম।
-:উপকরণ:- |
---|
১. মধুট্যাংরা মাছ- ৫০০গ্ৰাম।
২.পেঁয়াজ- ৩টে।
৩. আদা- একটা ছোটো টুকরো।
৪. জিরা গুড়ো- দুই চা চামচ।
৫. আলু- ৩টে।
৬. চিনি- এক চা চামচ।
৭. লবন ও হলুদ- এক চা চামচ করে।
৮. সরষের তেল- ২ টেবিল চামচ।
৯. গরম মশলা- এক চা চামচ।
১১. টমেটো- ১টা
১২. তেজপাতা- ২টো।
১৩. কাঁচা জিরা- (অল্প পরিমাণ ফোড়নের জন্য।)
১৪. রসুন- ৭ থেকে ৮ কোয়া।
১৫.শুকনো লঙ্কা- ৫টা।
-:রন্ধনপদ্বতি:- |
---|
- প্রথমে বাজার থেকে আনা মাছ গুলো কেটে নিলাম।
- এরপর মাছে নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিলাম।
- আলু আর টমেটো প্রয়োজন মতো নিয়ে নিলাম।
- তারপর টমেটো আর আলু কেটে নিলাম।
- এরপর একটা প্লেটে যা যা মশলা আমি রান্নায় ব্যবহার করবো, সেগুলো পরিমাণ মতো নিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
- তারপর ১টা পেঁয়াজ চার টুকরো করে কেটে নিলাম তার সাথে আদা ও রসুন ছাড়িয়ে নিয়ে বাকি পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিলাম।
- একটি ছোটো প্লেটের উপর নুন ও হলুদ আর চিনি নিয়ে নিলাম।
- এরপর মিক্সিতে মশলাটা নিয়ে নিলাম।
- তারপর বাটা হয়ে গেছে মশলাটা।
- কড়াইয়ে তেল দিয়ে মাছ ভাজার জন্য দিয়ে দিলাম।
- এরপর মাছ ভাজা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে নিলাম।
- তারপর ওই তেলেই আলু দিয়ে দিলাম ভাজার জন্য।
- আলু গুলো লাল করে ভেজে নিয়ে একটি প্লেটে তুলে নিলাম।
- কড়াইয়ের ওই তেলেই দিয়ে দিলাম কাঁচা জিরা ও তেজপাতা ফোড়নে।
- ফোড়ন ভাজা হয়ে গেলে, তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিলাম।
- পেঁয়াজ হালকা গোলাপি করে ভেজে নিয়েছি।
- এরপর তাতে বেটে রাখা মশলাটা দিয়ে দিলাম।
- মশলাটা হালকা নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ, চিনি দিয়ে দিলাম।
- এরপর কুচি করে কাটা টমেটো দিয়ে দিলাম।
- এরপর কিছুক্ষণ সবকিছু ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
- ভাজা আলু মশলার মধ্যে দিয়ে দিলাম।
- এরপর আলুর সাথে মশলা আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
- তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিলাম।
- অনেকটাই জল দিয়েছি ঝোল রাখার জন্য।
- এরপর ঝোলটা ভালো করে ফুটতে দেবো।
- ঝোল ফুটে উঠলে মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।
- এরপর আরও কিছুক্ষন ফুটতে দেবো, যাতে মাছের ভেতরে নুন ও মিষ্টি ঢোকে।
- ফুটে আসলে উপর দিয়ে গরম মশলা ছড়িয়ে দিলাম।
তৈরি আমার হাতের আলু দিয়ে মধুট্যাংরা মাছের ঝোল।
আজকের আমার রান্না আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভ রাএি।
আমার বাবা এই মাছটা ভীষন ভালো খায়। তবে আমার মা রান্নাটা করে পেঁয়াজ রসুন ছাড়া অর্থাৎ নিরামিষ ভাবে। কিন্তু এইভাবে একবার অবশ্যই রান্না করতে বলবো। কারন দেখেই মনে হচ্ছে এইভাবে রান্না করলেও খেতে ভীষন সুস্বাদু হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে রেসিপিটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit