Hello Everyone,,,
কেমন আছেন সবাই.? আশা করি সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। গত বেশ কিছু দিন আমাদের এখানে শীত ছিল না বললেই চলে। কিন্তু আজ হঠাৎ করেই আবার কোথা থেকে যেনো শীতের আগমন ঘটিছে। আচ্ছা আপনারা কেউ শীতের রাতে বাইরে বেরিয়েছেন গরম গরম জিলাপি খেতে। আমার মনে হয় তো না..!
শীতের রাতের বিশেষ একটি স্মৃতি হলো গরম গরম জিলাপি খাওয়ার অনুভুতি। শীতের হাওয়া যখন আকাশে ঘুরে বেড়ায়, তখন গরম জিলাপির মিষ্টি স্বাদ যেন মন ও শরীরকে একত্রে উষ্ণ করে তোলে। যেকোনো পিঠাপুলির চেয়ে জিলাপির স্বাদ একটু আলাদা, এর খাসা গন্ধ, মিষ্টি মজা একে এক অভূতপূর্ব রূপ দেয়।
শীতের সন্ধ্যাবেলা বাড়ির কাছের কোনো দোকান থেকে জিলাপি কিনে এনে সেই গরম জিলাপি খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। বাইরে তীব্র শীত, অথচ হাতে গরম গরম জিলাপির প্লেট, আর তার সঙ্গে গরম চায়ের কাপ – এটি যেন একটি নিখুঁত শীতকালীন সুখের অভিজ্ঞতা।
জিলাপি তৈরির জন্য যে পরিমাণ তেল, মধু, এবং চিনি ব্যবহার করা হয়, তা তার গন্ধকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এই মিষ্টি খাবারটি খেতে খেতে যেন এক অদ্ভুত আনন্দ পাওয়া যায়, যা শীতের ঠান্ডার সাথে মিলেমিশে এক অন্যরকম সুখদায়ক অনুভুতি সৃষ্টি করে।
আমি মনে করি জিলাপি তৈরি করা একটি বিশেষ শিল্প। যা কিনা সবাই চাইলে তৈরি করতে পারে না। ময়দা, চিনি, পানি, মধু এসব উপকরণের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হয় জিলাপি। তবে, এর প্রস্তুতিতে মেকানিক্যাল পদ্ধতির চেয়ে হাতে তৈরি করার কৌশল ব্যবহার করা হয় বেশি। জিলাপি সাধারণত পেচিয়ে পেচিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। জিলাপি সাধারণত রঙিন সুতীর মতো দেখতে হয় এবং যখন এটি সঠিকভাবে তৈরি হয়, তখন এর চারপাশে এক ধরনের স্বচ্ছতা থাকে যা দেখে মনে হয় এটি নতুন করে সেজেছে। আর তার মিষ্টি স্বাদ তো একেবারে আলাদা।
এ ছাড়া, শীতের রাতে গরম জিলাপি খাওয়ার মাঝে একটি সামাজিক দিকও রয়েছে। বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে যখন জিলাপি ভাগ করে খাওয়া হয়, তখন সম্পর্কের উষ্ণতা আরো বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে পাড়া মহল্লায় কোনো উৎসব বা মেলা হলে, সেখানে জিলাপির দোকানটি সবসময় ব্যস্ত থাকে। শীতের ঠান্ডায় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে একসাথে জিলাপি খাওয়া যেন সব মুঘল আমলের রাজকীয় আয়োজনের মত মনে হয়।
বিশেষত আমাদের দেশে যে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবগুলো হয়, যেমন- দুর্গা পূজা, বাসন্তী পূজা, কালী পূজা, সরস্বতী পূজায় জিলাপি একটি অপরিহার্য অংশ হিসাবে কাজ করে। জামাই বা আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে যখন শীতের রাতে জিলাপি পরিবেশন করা হয়, তখন এটি যেন এক অনুপ্রেরণার মতো কাজ করে। প্রত্যেকটি জিলাপির টুকরো যেন একখণ্ড শীতকালীন সুখ।
এই সব কিছু মিলিয়ে, শীতের রাতে গরম গরম জিলাপি শুধু একটা খাবার নয়, এটি একধরনের অনুভুতি। আজ এখানেই শেষ করছি, ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে আপনাকে বলব, এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনে। জিলাপি আমার তেমন পছন্দ না আমি মিষ্টি জাতীয় জিনিস খুবই কম পছন্দ করি। মাঝে-মাঝে যদি হঠাৎ দেখি গরম জিলাপি, তখনই কয়েকটা জিলাপি খাই, এমনিতেও জিলাপি খেতে অনেক সুস্বাদু, অনেক মজার একটি খাবার। আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে খুব ভালই লাগলো খুব আনন্দ করে জিলাপি খেয়েছেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টে জিলিপি দেখে আমার নিজেরই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। শীতকালে গরম গরম জিলাপি খেতে খুবই ভালো লাগে। জিলাপি দেখলে আবার মেলার কথাও মনে পড়ে যায়। মেলা মানেই জিলেপি। জিলিপি খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। রসে ভরা সুন্দর জিলাপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম আপনার কথার সাথে একমত জিলাপি তৈরীর ক্ষেত্রে যে মধু এবং তেল ব্যবহার করা হয় সেই সাথে চিনি এর গন্ধ অনেকটা আকর্ষণীয় নাকে আসা মাত্রই মনে চাবে একটুখানি টেস্ট করা যাক,
বর্তমান সময়ে যে শীত পড়তেছে রাতের বেলা বের হলে তো আরো বেশি শীত, আরে শীতের মধ্যে যদি গরম গরম ধোঁয়া ওঠা জিলাপি পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই, আপনার করা জিলাপি গুলোর ছবিও বেশ আকর্ষণীয় হয়েছে দেখতে ,, খুবই ভালো লাগলো অন্যরকম একটা পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জিলাপি নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণা দারুণ লাগল। শীতের রাতে গরম গরম জিলাপির স্বাদ সত্যিই অসাধারণ। বিশেষ করে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খাওয়ার অভিজ্ঞতা শীতকালকে আরও আনন্দময় করে তোলে। সুন্দর এই লেখার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit