Hello Everyone,,,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার করা আজকের কর্মকান্ড গুলো। চলুন তা হলে শুরু করা যাক...
প্রতিদিনের তুলনায় আজ একটু সকাল সকাল উঠে পড়লাম। সকাল সকাল উঠে মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তবে আজ আর সকাল বেলা হাঁটতে যাওয়া হয়নি। দেখা হয়নি সেই কুয়াশায় ভেজা ঘাস।
হাঁটা হয়নি সেই ঘাসের উপর দিয়েও। কারণ আজ যেতে হবে এক অচেনা শহরের উদ্দেশ্যে। তাই তো এতো সকাল সকাল ওঠা। শহরটির নাম ঢাকা।
আমি আজ ঢাকা যাবো এ কথা বাড়ির সকলেই জানতো। কারণ গতকাল আমি বাড়ির সকলকে জানিয়েছিলাম। তাই মা-ও সকাল সকাল উঠে রান্না করা শুরু করেছিল।
মা-এর রান্না করা প্রায় শেষ। আমি আমার জিনিস পত্র গোছাচ্ছিলাম। যদিও গতকাল রাতে আমি আমার সব জিনিস পত্র গুছিয়ে রেখেছিলাম সেই গুলো সকালে দেখছিলাম সবকিছু ঠিকঠাক নিয়েছি কিনা এই আরকি।
যাই হোক, কিছুক্ষণ পর মা-এর রান্না করা শেষ হলো। আমি খাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ পর রওনা দিলাম সেই অচেনা শহর, ঢাকার উদ্দেশ্যে।
আমার সঙ্গে আরো দুইজন। তারা হলেন - আমার বোন (কাকুর মেয়ে) আর কাকিমা। যাই হোক, তাদের নিয়ে বাসস্টান্ডে এসে পৌছালাম। সেখান থেকে টিকিট কেটে তাদেরকে নিয়ে বাসে উঠে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর বাসটি রওনা দিলো অচেনা শহরের উদ্দেশ্যে।
যদিও শহরটিকে কম বেশি সবাই চেনে। কারণ শহরটি বাংলাদেশের রাজধানী। কিন্তু আমার অচেনার করণ হচ্ছে এই শহরটিতে আমি নতুন। আমি আগে একাবার দাদুর সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলাম। কিন্তু সেই ভাবে সব কিছু চেনা হয়ে ওঠেনি। এই জন্য শহরটিকে অচেনা বললাম।
যাই হোক, প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা পথ চলার পর, আমাদের নামিয়ে দেওয়া হলো সেই অচেনা শহরে। আমাদের যেখানে নামিয়ে দেওয়া হলো সেই স্থানের নাম গুলিস্তান। রাস্তার পাশে থাকা সাইনবোর্ডের লেখা দেখে বললাম। গুলিস্তান থেকে আমাদের গন্তব্য স্থান আরো অনেকটা দূরে। আমাদের গন্তব্য স্থান মিরপুর-১১।
তখন বাজে প্রায় চারটা। সেই সকালে খেয়ে বের হয়েছি এর ভিতর আর কিছু খাওয়া হয়নি। ক্ষুধা-ও লেগেগিয়েছিল প্রচুর। তাই আর দেরি না করে তিন মিলে কিছু (পুরি, পিয়াজি,বেগুনি, আলুর পচ ইত্যাদি) খেয়ে নিলাম।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু সময় রেস্ট নিয়ে আবারও গাড়িতে উঠে পড়লাম গন্তব্য স্থান মিরপুর-১১ এর উদ্দেশ্যে। আমাদের গাড়িটি গুলিস্তান রেখে, বাংলাদেশ সংসদ ভবন এর পাশ দিয়ে চলা শুরু করলো। প্রায় এক ঘন্টা পথ চলার পর আমাদের নামিয়ে দেওয়া হলো আমাদের গন্তব্য স্থানে। এখান থেকে কাকু এসে আমাদের বাসায় নিয়ে গেলো।
বাসায় এসে দেখি বাসার সব কিছু এলো মেলো ফেলানো। সব কিছু এলো মেলো থাকার কারণ কাকু চাকরির জন্য এখানে অনেক আগে থেকে থাকে। আগে একটা বাসায় থাকতো সেখানে থেকে চলে এসে নতুন বাসায় আজ প্রথম দিন। এখনো জিনিস পত্র গুছিয়ে উঠে পারিনি। এই জন্য সব জিনিস পত্র এলো মেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
তাই আর দেরি না করে বাসার জিনিস পত্র গোছানোর কাজে লেগে গেলাম। বাসা গোছানো শেষ করে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিলাম।
আজ এই পর্যন্ত। কাল আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।