মানুষের জীবনের সব কিছুই পরিবর্তন হয়। শুধুমাত্র পরিবর্তন হয় না মানুষের দেয়া কষ্ট, চাইলেই মানুষ কিন্তু তার পরিবার কিংবা প্রিয়জনের দেয়া কষ্ট ভুলে থাকতে পারে না।। কিন্তু তারপরেও মানুষ ভালো থাকতে চায় ভালো থাকার এই প্রত্যাশা, প্রতিটা মানুষকে নতুন করে আবারও মনের মধ্যে আশা জাগাতে সাহায্য করে, আর এই আশা নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে অনেকদিন, যতদিন পর্যন্ত না তার মৃত্যু হয়। আলহামদুলিল্লাহ নতুন সকালের দেখা পেয়ে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে।
ব্যস্ততা মনে হয় দিন দিন আমাকে অনেক বেশি ঘিরে ধরেছে, চাওয়ার পরেও চেষ্টা করে প্রয়োজনীয়তা লেখা আমি শেয়ার করতে পারছি না। চেষ্টা করছি কিন্তু কাজ ছেলেদের নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি তাদেরকে সময় দেয়ার সবকিছু মিলিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আশা করি এই ব্যস্ততা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
প্রতিদিনের মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠে চেক করে নিয়েছিলাম গ্যাস রয়েছে কিনা, দেখলাম সামান্য পরিমাণে আছে তাই তরকারিটা গরম করে নিলাম তারপর ছেলেদেরকে সকাল বেলা ঘুম থেকে ডেকে তুললাম, কিন্তু তারা বলল আরেকটু ঘুমাবে তাই আর কিছু না বলে আমি সোজা চলে গেলাম ছাদে। ওখানে গিয়ে একাই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম, কেননা আমি যে সময়টাতে ঘুম থেকে উঠি ওই সময়টাতে আর কেউ ওঠে না। চারপাশে কুয়াশা ঘিরে আছে তবে এতটাও নয় যতটা গ্রাম অঞ্চলে থাকতে দেখতাম।
একটু পরে দেখলাম আন্টি চলে আসলো, ওনার হাতে বালতি কেননা উনি গাছে পানি দেবে ওনার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। এবার আমি দুইটা ছবি তুলে আবার নিচে চলে আসলাম। এসে দেখলাম ছেলেরা উঠে পড়েছে তাই তাড়াতাড়ি করে ওদেরকে নাস্তা খাইয়ে দিয়ে, মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। ঠান্ডার পরিমাণটা রাস্তার মধ্যে তেমন একটা নেই। কেননা হাঁটাচলা করলে ঠান্ডার পরিমাণটা অনেকটাই কমে যায়।
এরপর আমি ওদেরকে মাদ্রাসায় রেখে সোজা চলে আসলাম বাসায়। বাসায় এসে কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম কেননা অতিরিক্ত হাঁটার কারণে পা অনেক বেশি ব্যথা করছে। তাই চুপচাপ কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে আবার উঠে পড়লাম ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নিলাম। একটু পরে দেখলাম মোটামুটি গ্যাস চলে এসেছে তাড়াতাড়ি করে রান্নাবান্নার কাজ সম্পূর্ণ করে নিয়েছিলাম। এদিকে দেখলাম ছেলের বাবা উঠে পড়েছে।
উনাকে দুপুরের খাবার দিলাম এবং ছেলেদের জন্য খাবার সাজিয়ে রেখেছিলাম, বলেছিলাম যাওয়ার সময় নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি গোসল করলাম তারপর নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ঘুম আসছিল না এপাশ ওপাশ করে আবারো উঠে পড়লাম। উঠে বোনের ছেলেকে কল করেছিলাম আসার জন্য ও বলল সন্ধ্যার সময় আসবে। এরপর আমি আসরের নামাজ পড়ে ছেলেদের জন্য চলে গেলাম মাদ্রাসা।
ওখান থেকে বাসায় এসে নামাজ পড়ে ওদেরকে নিয়ে একটু পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হলে আমি সামান্য পরিমাণে ভাত রান্না করলাম এবং বোনের ছেলে সহ রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর ও বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল আমি আর ঘুমাতে পারলাম না। কেননা ওকে বলেছিলাম যাওয়ার পরে আমাকে কল করার জন্য। এরপর ও আমাকে মেসেজ করে জানিয়ে ছিল ও বাসায় গেছে, এরপর আমিও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।