"ধমক নয় আপনার শিশুকে উৎসাহ দিন......."

in hive-120823 •  21 days ago 
1736816976778.jpg

আমরা সবাই চেষ্টা করি আমাদের বাচ্চাদের কে স্কুল কিংবা মাদ্রাসার পড়া, সঠিকভাবে মুখস্ত করে সম্পন্ন করার জন্য। প্রতিদিনের পড়া যদি আমরা প্রতিদিন শেষ করতে পারি। তাহলেই মনে হয় ভালো। তবে আমরা বকাঝকা করে কিংবা তাদেরকে মারধর করে এই পড়া কখনোই শেষ করতে পারবো না বা তাদের মুখস্ত কখনোই হবে না। ঘড়ি ধরে একটা নির্দিষ্ট সময় তাদেরকে পড়তে বসাতে হবে। এটা আমাদের একটা লক্ষ্য থাকে। তবে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাচ্চার অনেক বেশি দুষ্টামি করে। ঘড়ি ধরে পড়তে বসবে এটা তাদের আগ্রহ থাকে না। তবে আপনাকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আপনার বাচ্চা যতই দুষ্টামি করুক না কেন, অবশ্যই তাকে ঘড়ি ধরে একটা নির্দিষ্ট সময় পড়তে বসাতে হবে।

স্কুল কিংবা মাদ্রাসার নিয়ম নীতি অনুযায়ী কিন্তু আপনাকে চলতে হবে। আমাদের বাচ্চাদের কে মারধর করা যাবে না বরঞ্চ উৎসাহ দিতে হবে। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে পড়ার প্রতি একটা উৎসাহ দেন। তাহলে কিন্তু তারপর আর আগ্রহটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। আমাদের একটা রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। কোন সময় বাচ্চা খেলাধুলা করবে কোন সময় শরীর চর্চা করবে কোন সময় পড়াশোনা করবে। আবার কোন সময় সে বিনোদন নিবে। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। অভিভাবক যারা রয়েছে তারা যদি এই বিষয়গুলো নিজ দায়িত্বে পালন করে। তাহলে আমার মনে হয় একটা বাচ্চার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে।

1736817114363.jpg

আপনি স্কুলের হোমওয়ার্ক করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই নির্বাচন করবেন। তবে যদি আপনি পারেন অবশ্যই স্কুল থেকে আসার সাথে সাথে হোমওয়ার্ক করে নেয়া অনেক ভালো। কেননা এতে অনেক উপকারিতা রয়েছে প্রথম উপকারিতা হচ্ছে আপনার বাচ্চার স্কুলে যে পড়াগুলো রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেগুলো ভুলে যাওয়ার আগে আবার আপনি তাকে সেই পড়া হোমওয়ার্ক হিসেবে নিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে হোমওয়ার্কের কাজও হয়ে গেল তারপর আবার দ্বিতীয়বার মুখস্ত হয়ে গেল।

আবার অনেকেই ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্কুল থেকে শিশু আসলে, সাধারণত পড়ালেখা করতে চায় না। এতে করে আপনি যেটা করতে পারেন তাকে এক ঘন্টা সময় দিতে পারেনা, খেলাধুলা করার জন্য তবে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে মোবাইল গেম কিংবা মোবাইলে ভিডিও দেখার জন্য নয়। তাকে অবশ্যই বাহিরে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এতে করে যেটা দেখা যাবে তার শরীরচর্চা হয়ে যাবে খেলাধুলাও হয়ে যাবে। খেলাধুলা শেষ হলে তাকে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে, এমন কোন খাবার দিতে হবে যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর এবং ভিটামিন রয়েছে। এতে করে শিশুর ভিটামিনের ঘাটতিটাও পূরণ হয়ে যাবে।

1736816879867.jpg

আমাদের মধ্যে অনেক অভিভাবক রয়েছে। যারা কিনা সকাল বেলা ঘুম থেকে তুলেই শিশুদেরকে পড়তে বসায়। এটা করা মোটেও ঠিক না আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে সে যখন উঠবে তখন তাকে অন্তত পক্ষে এক ঘন্টা সময় দিন। এতে করে তার মন-মানসিকতা সবকিছুর পরিবর্তন ঘটবে, এর পরে আপনি তাকে পড়তে বসান তাহলে কিন্তু তার পড়াটা খুব তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে।

অনেক শিশুদের স্কুল কিন্তু দুপুর পর্যন্ত। অনেকেই কি করে দুপুরে স্কুল থেকে আসার পরেই তাদের শিশুদেরকে নিয়ে বাড়ির কাজ করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এটা করবেন না এটা করলে শিশু আরও একঘেয়েমি হয়ে যায়। তার ক্লান্তি চলে আসে। আপনার শিশু যখন স্কুল থেকে আসবে তখন তাকে দুপুরের খাবার দাবার খাইয়ে, ঘুম পাড়িয়ে দিন। এরপর বিকেল চারটা কিংবা সন্ধ্যা ছয়টার সময় তাকে নিয়ে পড়তে বসেন। এই সময়টাতে পড়া খুব দ্রুত মুখস্ত হয় এবং তার ব্রেন অনেক পরিষ্কার থাকে আমি মনে করি উপরোক্ত বিষয়গুলো প্রতিটা অভিভাবকের জানা খুব প্রয়োজন।

1736816465395.jpg

এ বিষয়গুলো যদি আপনি আপনার বাচ্চার সাথে অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে আমি মনে করি একটা বাচ্চার পড়াশোনার আগ্রহ এবং পড়াশোনার মুখস্থ করা সব দিক থেকেই সে অনেক বেশি পারফেক্ট হয়ে উঠবে। আমি আমার ছেলেদের ক্ষেত্রে এই কাজগুলো করার চেষ্টা করি। আশা করি আপনারা করবেন। তো আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

একটা শিশুকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনটা বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে,

আদর,স্নেহ এবং ভুল সংশোধনের সুযোগ।

শিশুকে আদর, স্নেহ করতে হবে এবং ভুল করলে তা সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে । তবেই সে ভবিষ্যতে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে বলে আমি মনে করি।

একদমই ঠিক বলেছেন আপনি ভাই আসলে বিষয়গুলো আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে আমরা শুধুমাত্র আমাদের সন্তানদেরকে বড় করে তুললেই হবে না তাদেরকে প্রতিটা শিক্ষা সঠিকভাবে দিতে হবে এবং তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য যে বিষয়গুলো আমাদের করা প্রয়োজন সেগুলো অবশ্যই করতে হবে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

অনেক ভালো লাগলো একটা বাচ্চাকে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে একজন মা, একটা বাচ্চার পড়ালেখার ক্ষেত্রে একটা মা যদি অনেক ধৈর্যশীল হতে পারে তাহলে ওই বাচ্চাটার পড়ালেখাটাও ধৈর্যের সাথে অনেক সুন্দর হয়।

কিন্তু আমি দেখেছি আমাদের সমাজে কিছু মা সব সময় নিজের স্বপ্নটাকে বাচ্চার উপর চাপিয়ে দিতে বেশি ছাদ ছন্দ বোধ করে, এত বেশি প্রেশার দেয় পড়ালেখার উপরে যেটা বাচ্চা নিতে পারে না ফলে দেখা যায় যতটুকু পাড়ার ক্ষমতা থাকে তাও পেরে উঠে না।

তাই সব সময় বাচ্চাদের সাথে উৎসাহ মূলক কথা বলে আনন্দের সাথে ওদের পড়ালেখাটা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে শুধু পড়ালেখার ক্ষেত্রে নয় একটা বাচ্চাকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে হলে, বড়দেরকে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে।।

বাচ্চারা কখনোই অন্যের পছন্দ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেনা তারা সর্বদা চেষ্টা করে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করতে আমি মনে করি নিজেদের পছন্দ কখনোই বাচ্চাদের উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয় আপনি যদি আপনার পছন্দ আপনার বাচ্চার উপরে চাপিয়ে দেন এতে কিন্তু আপনার বাচ্চার মন মানসিকতা সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে বিষয়টা অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

সত্যি আপু আপনার পোস্টটি অত্যন্ত উপকারী এবং সচেতনতার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি করতে এমন গঠনমূলক পরামর্শ সত্যিই প্রশংসনীয়। রুটিন মেনে পড়ানো, মারধর এড়িয়ে উৎসাহ দেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া সব অভিভাবকদের জানা উচিত। আপনার অভিজ্ঞতা এবং উপদেশগুলো পড়ে অনেক কিছু শেখার আছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।

একটা কথা কি জানেন তো বাচ্চাদেরকে কখনো মারধর করে ধমক দিয়ে কখনোই আপনি পড়াশোনা করাতে পারবেন না এতে করে দেখা যাবে আপনার বাচ্চা অনেক বেশি একঘেয়েমি হয়ে পড়বে বাচ্চারা সব সময় রুটিন অনুযায়ী চলতে পছন্দ করে তারা যেই কাজ যখন করবে আপনাকে সেই কাজ অবশ্যই তখন করাতে হবে এতে করে দেখা যাবে তার উৎসাহ বেড়ে যাবে পড়াশোনা প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

আপনার আজকের বিষয়বস্তুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা একটি পিতা মাতার জন্য শিক্ষামূলক একটি বিষয়! হ্যাঁ সন্তান বড় করার পেছনে মা-বাবার অনেক দায়িত্ব এবং কর্তব্য থাকে, কিন্তু সঠিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সবাই পালন করতে পারে না। আপনার পোস্টটি পড়ে নতুন কিছু পরামর্শ সম্পর্কে জানতে পারলাম, জেনে অনেক ভালো লাগছে। এত সুন্দর বিষয়বস্তু নিয়ে আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

একটা শিশুকে বড় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার মা তার বাবা শুধুমাত্র টাকা-পয়সা দিয়ে তাদের পাশে থাকে আসলে একটা মায়ের কত পরিমাণে ধৈর্য থাকা প্রয়োজন একটা সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলতে আমি মনে করি খুবই ধৈর্যের প্রয়োজন তাই একটু ধৈর্য বাড়িয়ে নিয়ে আপনার সন্তানটাকে একটু বেশি সময় দেয়ার চেষ্টা করুন।

আপনি যথার্থই বলেছেন। ধমক দিয়ে নয়, বাচ্চারা যেন লেখাপড়ায় উৎসাহী হয় সেই পথ অবলম্বন করতে হবে। বাচ্চাদেরকে লেখাপড়ার জন্য বেশি চাপ দিলে লেখাপড়ার প্রতি ওদের অনীহা চলে আসবে।ওদের ইচ্ছা অনিচ্ছার প্রতিও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে ওদেরও ভালো লাগা না লাগা আছে। সেদিকে ও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
অনেক বাবা মা আছে তাদের ইচ্ছাটাকে বাচ্চাদের উপর চাপিয়ে দেয় ।এটা কখনো করা যাবে না ।এতে করে হিতে বিপরীত হয়।
যাই হোক ,আপনার পোস্টে উল্লেখিত উপদেশগুলো সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই উপদেশগুলো মেনে চলা প্রত্যেকটা বাবা মায়ের উচিত বলে আমি মনে করি ।উপরে উল্লেখিত উপদেশগুলো অনুসরণ করলে একটা সন্তান ভবিষ্যতে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।গুরুত্বপূর্ণ উপদেশগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কিছু পরিবারের কিছু মানুষ আছে যারা কিনা নিজেদের ইচ্ছা সন্তানের উপর চাপিয়ে দিয়ে থাকে আসলে একটা ছোট বাচ্চা তার মেধা কতটুকু আপনি অনেক আশা করেন তার কাছে তার ইচ্ছা আছে তার খেলাধুলা করার সময় আছে সবকিছু মেন্টেন করে যদি আপনি তাকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলেই কিন্তু সে মানুষের মতো মানুষ হয় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।