সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা সবাই চলতে পারি না। তারপরেও কেমন জানি মনে হয় সময়টা তার নিজ গতিতেই চলতে থাকে। বারবার চেষ্টা করি সবকিছু সামলে নিয়ে সঠিকভাবে চলতে, কিন্তু খারাপ সময়টা ঠিকই সামনে চলে আসে, কিছুই করার থাকে না। তার পরেও সবাই ভালো থাকুক এটাই কামনা করি। ওই যে উপরে যিনি বসে আছেন তার কাছে, আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন আপনারা সবাই।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি খুশি ছিলাম। কেননা আমার মত হাজারো মানুষের পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। আমি এখনো বেঁচে আছি তার জন্য শুকরিয়া আদায় করে নিয়ে। সকালবেলা নামাজ পড়ে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। আসলে চারপাশে কুয়াশা থাকার কারণে অনেক বেশি খারাপ লাগছে। হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে অনেক বেশি ঠান্ডা লাগছে। তাই তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে ছেলেদেরকে সকাল বেলা নাস্তা খাইয়ে দিয়ে, আমি তাদেরকে নিয়ে মাদ্রাসায় বের হব, কিন্তু অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে বাহিরে বের হওয়াটা একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়েছে। এরপর কিছুটা সময় অপেক্ষা করলাম। তারপরে দেখলাম মোটামুটি রোদ উঠেছে। তাই তাড়াতাড়ি করে ওদেরকে নিয়ে মাদ্রাসায় চলে গেলাম। ওদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে আমি বাজারে গিয়ে একটু তাড়াতাড়ি বাজার করে বাসায় চলে আসলাম।
কেননা আজকে আমাকে একটু কেনাকাটার জন্য বাইরে যেতে হবে। নিজের সংসারের কিছু কেনাকাটা করতে হবে। তাই সবকিছু গুছিয়ে রেখে রান্না শেষ করে গোসল করে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদের জন্য খাবার রেডি করে, ছেলেদের বাবাকে বললাম যাওয়ার সময় যেন তাদেরকে খাবারটা দিয়ে যায়। ও মাথা নেড়ে সায় দিল একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম।
আসলে নিজের সংসারের কাজের পাশাপাশি ছেলেদের এই কাজগুলো করতে গিয়ে, আমাকে অনেক বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। তারপরেও সময় বের করে আপনাদের সাথে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। যতটুকু পারছি নিজের লেখা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। যাইহোক এবার আসল কথায় ফিরে আসি। মোটামুটি বাসা থেকে বের হতেই আমার জোহরের আযান দিয়ে দিল। তারপর সোজা চলে গেলাম একটা শপে, সেখানে গিয়ে মোটামুটি নিজের পছন্দের কিছু জিনিস কিনে নিয়েছি।
আসলে মেয়েদের পছন্দের কথা তো আপনাদের আর কি বলব। একটা পছন্দ হলে আরেকটা পছন্দ হয় না, আবার একটা মিল খেলে আর একটা মিল খায় না। এমন করতে করতে আমার আসরের আজান দিল, তারপরেও মোটামুটি নিজের পছন্দ অনুযায়ী বেশ কিছু জিনিস কিনে নিয়ে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তখন চিন্তা করলাম আসার সময় ছেলেদেরকে নিয়ে আসি। তাই দেরি না করেই ছেলেদেরকে নিয়ে আসলাম। এরপর ওদেরকে বাসায় নিয়ে এসে প্রথমত নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম।
এরপরে আমি সন্ধ্যার জন্য বুট সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম। কেননা সন্ধ্যাবেলা ওদেরকে বুট মুড়ি মাখা তৈরি করে, দেব এরপরে সবকিছু রেডি করে ওদেরকে সন্ধ্যার নাস্তা দিয়ে আমি নামাজ পড়তে বসলাম। নামাজ শেষ করে ওদেরকে নিয়ে পড়াশোনা করানোর জন্য বসলাম। ওদের পড়া শেষ হলে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুমাতে বলেছিলাম। আমি রাতের জন্য সামান্য পরিমাণে ভাত রান্না করে নিয়েছিলাম। এরপর ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করছিল কিছুই করার ছিল না। আর এভাবেই আমি আমার জীবন থেকে একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আপনি একদম ঠিক বলছেন প্রতিটা মুহূর্তেই আল্লাহ সুবাহানাতালার শুকরিয়া করা উচিত। আমরা যে বেঁচে আছি নতুন সকালের মুখ দেখছি সেটা থেকে বড় মনে হয় আর কিছুই নাই আমরা একবার ঘুমালে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারব কিনা তার গ্যারান্টি থাকে না।
গতকালকে আমার এক বান্ধবীর ফুুপু মারা গিয়েছে আপনার আর্টিকেল পড়তে গিয়ে এই কথাটা মনে করে গেল বান্ধবীর ফুফা রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিল সকালে আর ঘুম থেকে জাগতে পারি নাই পরপরে চলে গিয়েছে।
যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সকাল বেলা শীতের সময় কুয়াশার জন্য অনেক সময় আমরা রাস্তা ভালো ভাবে দেখতে পাই না। তবুও আপনি শীতের মধ্যে ও কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করেছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। সকালবেলা হাটাহাটি করা আসলে একটি ভালো কাজ এটা শরীরের দিক থেকে অনেক ভালো। যাইহোক কুয়াশার জন্য আপনি অল্প কিছু সময় হাটাহাটি করে বাসায় চলে আসেন। এসে আপনার ছেলেদেরকে নাস্তা খেতে দিয়ে তাদের কে মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করলেন। কিন্তু রাস্তায় অনেক কুয়াশা থাকার জন্য আপনি একটু দেরি করলেন এটা ভালো কাজ করেছেন। আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit