"পরিবারের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়িয়ে নিন,,,,, ভালোবাসা বেড়ে যাবে!"

in hive-120823 •  26 days ago 
IMG_20250108_100917_767.jpg

বর্তমান সময়ে আমাদের পরিবারের কিছু সদস্য, নিজেদের জীবিকার তাগিদে অথবা পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজন পূরণ করার ক্ষেত্রে। তারা আমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যায়। কেউবা প্রবাসে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করে কর্মসংস্থানের ব্যস্ততা এবং নিজেদের কাজের প্রতি আগ্রহ এতটাই বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় নিজের প্রিয় মানুষগুলোর সাথে তেমন একটা দেখা করার মত, কথা বলার মত সময় তাদের কাছে হয়ে ওঠে না। কিন্তু তারপরেও দিন শেষে তারা আমাদের পরিবারের সদস্য। কিছুটা সময় বের করে হলেও তাদের সাথে অবশ্যই আমাদের কথা বলতে হয় আন্তরিকতা বাড়িয়ে নিতে হয়।

আপনাকে প্ল্যান করে সময় করে অবশ্যই আপনার পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের খোঁজখবর নিতে হবে। কেননা আপনি যদি আপনার পরিবারের সবার খোঁজ খবর নিতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি মানসিক শান্তি পাবেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও মানুষ একটু মানসিক শান্তি একটু রোমাঞ্চকর ভালোবাসা, সবার প্রয়োজন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি আমাদের মধ্যে যখন পারিবারিক আলোচনা শুরু হয়। তখন ছোটবেলাটা আমাদের কাছে অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে ওঠে। আবারো সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে অনেক বেশি ইচ্ছে করে।

বর্তমান সময়ে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে যখন পড়াশোনা শুরু হয়ে যায়। তখন অনেকের ক্ষেত্রেই বাবা-মা নিজের পরিবার থেকে অনেক বেশি দূরে সরে আসতে হয়। কেউবা পড়াশোনার কাজে আবার কেউবা নিজেদের চাকরির জন্য। বিভিন্ন শহরে নোঙ্গর গেড়ে নিতে হয়। হয়তোবা দেখা যায় একই শহরে থেকেও দিনে একবার কিংবা বছরে একবার দেখা হয়। প্রতিনিয়ত দেখা করার মত সুযোগ কারো হয়ে ওঠে না।

IMG_20250108_100917_656.jpg
IMG_20250108_100917_261.jpg
IMG_20250108_100917_531.jpg

তাই জীবনের মধ্যে আমরা আমাদের পরিবার নিজের আত্মীয়-স্বজন, সবকিছুই একেবারেই একাকিত্বের মধ্যে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় নিজের সবার কাছ থেকে ভালোবাসা না পাওয়ার কারণে শূন্যতায় ভুগতে থাকে। ভালোবাসা স্নেহ মায়া মমতা নিজের পরিবারের কাছে থাকা সত্ত্বেও, বহিঃপ্রকাশের এর ক্ষেত্রে নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। তাই আর যাই হোক নিজের আন্তরিকতা ভালোবাসা সবকিছুই, নিজের পরিবারের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়াটা উত্তম।

সময় তার অদ্ভুত খেলা নিয়ে অবশ্যই ব্যস্ত থাকে। তবে সেই খেলায় যেই মানুষ নিজের জীবনটাকে উপভোগ করতে পারে। সে মানুষ কিন্তু জয়ী হতে পারে, সেটা আমার ক্ষেত্রে হোক কিংবা আপনার ক্ষেত্রে। আসলে আন্তরিকতা বাড়লে আপনার ভালোবাসা বাড়বে। পরিবারের প্রতি আপনার টান বেড়ে যাবে, একটা কথা মাথায় রাখবেন ব্যস্ততা আমাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমাদেরকে ঘিরে থাকবে। কিন্তু কখনোই আপনি আপনার পরিবার থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করবেন না।

1736308798986.jpg
1736308251642.jpg

শূন্য হাতে আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি, আবার শূন্য হাতেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। তবে আপনার পরিবারটাকে আপনি যত বেশি ভালবাসতে পারবেন। আপনার পরিবারের মানুষ আপনাকে ঠিক তত বেশি ভালবাসবে। যতই আপনি দূরে থাকুন না কেন একটু সময় ব্যয় করে নিজের পরিবারের সাথে কাটানোর চেষ্টা করুন। আপনার দুষ্টুমির মুহূর্তগুলো আপনার জীবনের স্মৃতি হিসেবে থাকবে, আর সেগুলোই আপনাকে নতুন করে বেঁচে থাকার শক্তি যুগিয়ে দেবে। ভালো থাকার একটা অফুরন্ত মায়ার বাঁধনে আপনাকে বেঁধে রাখবে।

জীবনের ব্যস্ততা কাটিয়ে সময়টুকু বের করে নিজের পরিবারকে দেয়ার চেষ্টা করুন। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন একটু হলেও নিজেকে সময় দিন। পরিবারকে সময় দিন। দিনশেষে আপনাকে আফসোস করতে হবে না যে, আমি আমার পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। আন্তরিকতা বাড়িয়ে নিন ভালোবাসা বেড়ে যাবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার আজকে বিষয়বস্তু ছিল, পরিবারের মধ্যে আন্তরিকতা বানিয়ে নিন, তাহলে ভালোবাসা বেড়ে যাবে, সত্যিই আমি আপনার সাথে একমত পোষণ করি। আমাদের সবারই উচিত, পরিবারের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখা এবং সময় পেলেই পরিবারের বা আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া! তাতে আমাদের মন মেজাজ ভালো থাকবে এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে আন্তরিকতা আরো বেড়ে যাবে, আপনার পোস্ট এর মাঝে একটা কথা লেখা ছিল! যে পৃথিবীর বুকে আমরা শূন্য হাতে এসেছি, এই পৃথিবীর বুক থেকে শূন্য হাতেই চলে যাব শুধু রেখে যাব ভালোবাসা। এত সুন্দর একটা বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।

Loading...

@rubina203 আপনি পারিবারিক আন্তরিকতার বিষয় উল্লেখ করেছেন নিজের লেখায়।

পরিস্থিতির নিরিখে একসাথে বসবাস না করতে পারলেও খোঁজ খবর অব্যাহত রেখে সেই আন্তরিকতা কে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস সকলের করা উচিত, এটাই বোধহয় আপনার আজকের বার্তা!

তবে, মানুষ আজকাল সম্পর্কেও লাভ লোকসানের হিসেব কষে!
খুব বিস্ময়কর হলেও বিষয়টি অপ্রিয় সত্যি।
দেখবেন, যে আত্মীয় আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল তাদের খোঁজ নেবার মানুষের অভাব নেই, কিন্তু বিপরীত ক্ষেত্রে আন্তরিকতার অভাব সবচাইতে অধিক লক্ষণীয়।

আর, আমি পরিবারেও দেখেছি, যে সন্তানের উপার্জন বেশি তার কদর বেশি। অনেক সময় সন্তানের ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যায়, উপার্জনের পরে পরিবারের আত্মত্যাগ বেমালুম ভুলে যায়।

সময়ের চক্রের কথা মনে পড়ে যখন নিজেরা একই স্থানে এসে দাঁড়ায়।
আমি ঠিক এই কারণেই বলি, প্রয়োজন আর প্রিয়জনের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য!
সকলে আসলে প্রিয়জন হতে পারে না, সে গোপা জল অবধি ডুবে করলেও তাদের কেউ মনে রাখে না।
এই ধরনের সুবিধাবাদী এখনকার সমাজে চেয়ে গেছে।

এটা আপনি একেবারেই ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে যার টাকা পয়সা আছে তা খোঁজখবর নেয়ার মত মানুষের অভাব নেই আর পারিবারিক ক্ষেত্রেও এটা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি কাজ করে সেটা হচ্ছে যে সন্তান যত বেশি টাকা উপার্জন করে সে সবার কাছে অনেক বেশি প্রিয় হয়ে থাকে।

কাজকর্ম গুলো যে মানুষটা সঠিকভাবে সম্পন্ন করে কিন্তু টাকা পয়সা দিতে পারে। সেই মানুষের বর্তমান সময়ে কোন মূল্য নেই। আপনি বাস্তবতাটা খুব সুন্দর ভাবেই আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন তারপরেও আন্তরিকতা নিয়ে আমার মনে হয় প্রিয় মানুষগুলোর কাছে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করাটা অনেক বেশি উত্তম ধন্যবাদ দিদি চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

আশেপাশের মানুষ এবং পরিবারের মধ্যে আন্তরিকতা না থাকলে সেখানে ভালোবাসা তৈরি হয় না। আর ভালোবাসা না থাকলে একটা মানুষ জীবনে বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পায় না।
পরিবারের ভালোবাসা তৈরি এবং ভালবাসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পরিবারের মানুষগুলোর সাথে বেশি না পারা যাক একটু হলেও সময় দিতে হবে। নয়তো পরিবারের আপন মানুষগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়।একে অপরের প্রতি টান ও মমতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে হলে এই মমতা এবং টানকে অক্ষুন্ন রাখতে হয়। আর এটা তখনই সম্ভব হয় যখন পরিবারের সকলের সাথে সকলের আন্তরিকতা বজায় থাকে। সুতরাং আমি বলব পরিবারকে সময় দেওয়া একান্তই প্রয়োজন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা সকলেই কোন না কোন ভাবে ব্যস্ত থাকবো। এই শত ব্যস্ততার মধ্য থেকেই পরিবারকে সময় দিতে হবে ।নয়তো পরিবারকে সময় না নিলে একটা সময় আমরা একা হয়ে যাব।

কেউ পারিবারিক সহিংসতা আবার কেউ নিজের কাজকর্ম নিয়ে বর্তমান সময়ের মানুষ এতটাই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবারকে সময় দেয়ার মত সময় তাদের কাছে নেই দিন শেষ হতে পারে তারা আফসোস করবে তারা ভালো কোন মুহূর্ত পার করতে পারেনি তবে একটা কথা কি জানেন তো আর যাই হোক আপনি যত ব্যস্ত থাকুন না কেন পরিবারকে সময় দেয়ার চেষ্টা করুন কেননা দিনশেষে আপনি ভালো থাকতে পারবেন আপনার পরিবার ভালো থাকতে পারবে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

আপু আমি আপনার লেখার সাথে একমত। আপনি ঠিকই বলেছেন পরিবারের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়িয়ে দিলে ভালোবাসা এমনি এমনি বেড়ে যায়। বর্তমান সময়ে এই আন্তরিকতা কাজের চাপের জন্য আর দেখা যায় না। সবাই যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। অনেক সময় এই কাজের ব্যস্ততার জন্য নিজের সন্তানদের ও ঠিক মতো সময় দিতে পারে না।

আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন আপু।

পরিবারের মধ্যে আন্তরিকতা যত বেশি বৃদ্ধি পাবে আপনি তত বেশি পরিবারের মানুষকে ভালো থাকতে এবং ভালো রাখতে পারবেন একটা পরিবারের মধ্যে মানুষ যদি মিলেমিশে বসবাস করে তাহলে সেখানে কিন্তু তেমন একটা সমস্যা হয় বলে আমার মনে হয় না তাই পরিবারটাকে গুছিয়ে রাখুন আপনিও শান্তিতে থাকতে পারবেন।