কয়েকদিন ধরে বেশ খানিকটা অসুস্থ থাকার কারণে কোন কিছুই ভালো লাগছে না, আরও অসুস্থতা এত পরিমাণে বেড়ে গেছে যে কি করব বুঝতে পারছি না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছিলাম ডাক্তার বলেছে ভালো হয়ে যাবেন চিন্তা করবেন না। যাই হোক সবটাই আল্লাহতালার ইচ্ছা তিনি যা করেন আমার ভালোর জন্যই করে থাকেন। তার উপর ভরসা করেই পথ চলা আশা করি আগামী দিনের পথ অনেক বেশি সুন্দর হবে।
নতুন একটা সকালে দেখাবে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে, তারপর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ জিকির করে নিয়েছিলাম। সকালে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা দেখা দিয়েছে কেননা রাতের সামান্য পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল। যার কারণে ঠান্ডার পরিমাণটা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর আমি আবারও শুয়ে পড়েছিলাম, খুব খারাপ লাগছিল কিন্তু ছেলেদেরকে মাদ্রাসায় দিতে হবে যার জন্য আবার উঠে তরকারি রান্না করে নিলাম।
গ্যাস না থাকার কারণে তরকারি রান্না করতে আমার অনেকটা সময় লেগে গেল। কি আর করব বুঝতে পারছি না তারপর ছেলেদেরকে দুপুরের জন্য খাবার রেডি করে আমি তাদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে দিয়ে, মাদ্রাসায় পৌঁছে দিলাম আসলে দুপুরে আবার যাওয়ার জন্য শক্তি আমার শরীরে নেই। এত পরিমাণে খারাপ লাগছে, মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে বাসায় এসে শুয়ে পড়লাম, কেননা আগে থেকেই সবকিছু রান্না করে রেখেছিলাম।
এরপর সাহেব উঠে নিজে খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়লেন। আমাকে বলে গেল আমি যেন আবার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করি। আমি কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা আমার ঘুম ভাঙলো দুপুরে যখন সাহেব এসে কলিং বেল দিল, তাড়াতাড়ি উঠে ওকে দরজা খুলে দিলাম উনি এসে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করলেন।আমিও উঠে নামাজ পড়ে হুজুরের কাছে কল করলাম ছেলেদের কি অবস্থা জানার জন্য।
এরপর মনে হচ্ছিল শরীরটা অনেক বেশি ক্লান্ত কয়েকটা ভাত খাওয়ার জন্য নিয়ে নিয়েছিলাম, কিন্তু ভাত মুখে নিতেই কেমন তিতা লাগছিল। আসলে জ্বর হলে মুখের স্বাদ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়, এটা একেবারেই বাস্তব। এরপর কোন মতে খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম। তারপর চলে গেলাম রান্না ঘরে দেখলাম গ্যাস এসেছে কিনা কিন্তু গ্যাস নেই কি আর করব অল্প পরিমাণে গ্যাসের মধ্যেই আমি বুট সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
তারপর আসরের নামাজ পড়ে আগে ছেলেদেরকে নিয়ে আসলাম, আসার সময় কিছুক্ষণ নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করলাম তারপরে বাসায় এসে বুট ভাজা তৈরি করলাম। কেননা আমার ছেলেরা মুড়ি মাখা অনেক বেশি পছন্দ করে। সবকিছু রেডি করে ওদেরকে মুড়ি মাখা তৈরি করে দিলাম এবং আমি রান্নার জন্য ভাত বসিয়ে দিলাম। আসলে শরীর যেন আর চলছে না কাশির ঔষধ খাওয়ার কারণে ঘুমের পরিমাণটা আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
যাইহোক রাতের খাবার ছেলেদেরকে খাইয়ে দিয়ে আমি নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, তাদের আগে কেননা চোখ প্রচন্ড ব্যথা করছিল। মাথা ব্যথা তাই ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবে আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম।