Better Life With Steem || The Diary game || 04 February 2025 ||

in hive-120823 •  20 days ago 
Picsart_25-02-05_16-40-27-731.jpg

আমরা আমাদের জীবনটাকে সুখ-দুঃখ যোগ-বিয়োগের মাধ্যমেই পরিচালিত করি। এই পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না। যার জীবনে শুধুমাত্র দুঃখ আছে সুখ নেই, আবার এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যার জীবনে শুধুমাত্র সুখ আছে দুঃখ নেই। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের চলতে হয় কেউবা অল্প আঘাতে অনেক বেশি কষ্ট পায়। আবার কেউ অনেক বেশি আঘাত পেয়ে হাসির মাধ্যমে নিজের আঘাত গুলোকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকে না। তবে যারা একবার সহ্য করার ক্ষমতা আয়ত্ত করে নেয়। তাদেরকে হাজার কষ্ট দিলেও তারা সেটাকে কষ্ট মনে করে না।

তবে কারো কাছ থেকে কিছু আশা করার চাইতে, নিজে পরিশ্রম করে সেই জিনিসটা আয়ত্ত করা অনেক বেশি উত্তম। কে কি বলেছে সেদিকে কান না দিয়ে নিজের কাজটাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়াটা অনেক বেশি প্রয়োজন। কারণ আজকে থেকে যদি আপনি পরিশ্রম করা শুরু করেন, হয়তো বা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ আপনার জন্য ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসবে। আমরা সবকিছু বুঝি সব কিছু জানি কিন্তু তারপরেও আমরা অনেক কিছুই করতে পারি না। কারণ কি জানেন কিছু মানুষের ইগো তাদের কাজের মধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।কারণ আমরা আমাদের কাজকে ভালোবাসতে জানি না। যদি আমরা আমাদের কাজকে ভালবাসতে জানতাম তাহলে হয়তো বা এই ইগো নিয়ে পড়ে থাকতাম না। নিজেদের পরিশ্রম টা কে সঠিক জায়গায় কাজে লাগাতাম।

IMG_20250204_163917_056.jpg
IMG_20250204_163912_714.jpg
IMG_20250204_163912_013.jpg

আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। সকাল বেলার আবহাওয়াটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে চারপাশে তেমন একটা কুয়াশা নেই তবে ঠান্ডার পরিমাণটা আজকে মোটামুটি একটু বৃদ্ধি পেয়েছে, গত দুই দিনের চাইতে। পরিবেশটা একেবারে নিস্তব্ধ চারপাশে কোন মানুষের কোলাহল নেই। শুধুমাত্র পাখির ডাক আসলে এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করার মধ্যেই অন্যরকম একটা আনন্দ আছে।

IMG_20250204_163912_269.jpg

বেশ অনেকটা সময় হাঁটাহাঁটি করে দুই তিনটা ফটোগ্রাফি তুলে নিয়েছিলাম। তারপর ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। এরপরে সবার জন্য সকালের ভাত রান্না করার জন্য চলে আসলাম। ভাত রান্না করে সবাইকে সকালের খাবার খাইয়ে দিলাম। যে যার মত করে খাবার খেয়ে মোবাইল নিয়ে বসে পড়েছে। আমাকে দুপুরের জন্য রান্না করতে হবে তাই আমি রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে রেখেছিলাম। হঠাৎ করে মা কল করে বলল আমাদের জন্য কিছু পিঠা বানিয়েছে সেগুলো নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু এখন যাওয়ার মত কেউ নেই বিকেল বেলা বড় ছেলে আসছে তাকে পাঠিয়ে দেবো।

IMG_20250204_163912_839.jpg

এটা বলে আমি ফোনটা রেখে দিয়েছিলাম। এরপর আমি আবার রান্না বান্নার কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। দুপুরবেলা যখন বড় ছেলে স্কুল থেকে বাসায় ফিরলো তখন আমি তাকে বিষয়টা বললাম। ও ভাত খেয়ে আবার চলে গেল ওর নানুর বাড়িতে। আবার চলে আসবে কেননা কালকে আবার স্কুল খোলা। আমি ছোট ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম আসলে ঘুম আসছিল না। কোন কিছু ভালো লাগছিল না সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে আছে। যত চিন্তা করি সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকব। সেটা আর হয়ে উঠছে না সবকিছু আবারো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তারপর উঠে আসরের নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম।

IMG_20250204_163912_201.jpg

বিকেলের কাজগুলো সম্পন্ন করতেই দেখলাম ছেলে চলে এসেছে, হাতে পিঠা। তারপর সবাইকে বিকেলবেলা পিঠা দিয়েছিলাম। ছেলে আসার সময় আবার ওর নানু ওকে টাকা দিয়েছিল। ও টাকা দিয়ে বুট ভাজা এবং পেঁয়াজু নিয়ে এসেছে। এরপর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে সবার জন্য মুড়ি মাখা তৈরি করেছিলাম।

IMG_20250204_163912_910.jpg

সবাই মুড়ি মাখা খেয়ে নিয়েছে আমি ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। এরপরে যখন ওদের পড়া শেষ হলো তারপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। আমি নামাজ পড়ে এসে শুয়ে পড়েছিলাম, এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

TEAM 4

Your content has been successfully curated by our team via @khursheedanwar

Thank you for your valuable efforts! Keep posting high-quality content for a chance to receive more support from our curation team.

banner.png

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।

Loading...

আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো। আপনার দিনযাপন ও চিন্তা ভাবনাগুলো খুবই বাস্তব এবং হৃদয়স্পর্শী। মায়ের হাতে বানানো পিঠা এবং ছোট-ছোট বিষয়গুলো সত্যিই এক অনন্য আনন্দের সৃষ্টি করে। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

চেষ্টা করে নিজের দৈনন্দিন জীবনটাকে একটু অন্যরকম ভাবে সাজিয়ে তুলবে তবে আমাদের বর্তমান অভিজ্ঞতা কম হয়নি এই কম বয়সে আমরা কম দেখিনি তাই আমি মনে করি যতটুকু সম্ভব নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী হলেও নিজের কাছে কিছু একটা রাখা উত্তম এতে করে মানুষ আপনাকে অন্ততপক্ষে অবহেলা করবে না মা আমার জন্য সর্বদাই সবকিছু করে থাকে আসলে পৃথিবীতে আল্লাহর পরে হয়তোবা সবচাইতে যে মানুষটা অনেক বেশি ভালোবাসে সে হচ্ছে আমাদের মা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।