Better Life With Steem || The Diary game || 04 November 2024 ||

in hive-120823 •  22 days ago 
Picsart_24-11-05_18-58-02-188.jpg

নিজের অবস্থান থেকে অন্যের অনুভূতি বোঝা কখনোই সম্ভব না। তাই আমি কখনোই নিজের অবস্থান থেকে বোঝার চেষ্টা করি না। করন আমি যেমন আছি। আমার অবস্থান যেমন অন্য কেউ অনুভব করতে পারবে না, ঠিক তেমনি অন্য কারো অবস্থান আমরা কখনোই অনুভব করতে পারবো না। প্রতিটা মানুষের কাছেই তার ব্যক্তিত্ব আলাদা আর আমি আমার মত। আমার মত অন্য কেউ নয় এটাই বাস্তবতা।

IMG_20241104_185058_200.jpg
IMG_20241104_185057_904.jpg

আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালে দেখাতে শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। প্রথমত সকালবেলা উঠেই নামাজ পড়ে, নিজের যাবতীয় বা সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে সোজা মাদ্রাসায় দিয়ে আসলাম। রাতে রান্না করে রেখেছিলাম, তাই আর রান্না করার ঝামেলাটা ছিল না। বাসায় এসে দেখি গ্যাস নাই ভাত রান্না করব সেটাও হলো না।

তারপর সাহেবকে বললাম যদি গ্যাস আসে তাহলে তুমি এক পট চাল রান্না করে রেখে দিও, আমি একটু আরএফএল শোরুমে যাব কিছু জিনিসপত্র কিনতে হবে। বোনের ছেলেকে কল করেছিলাম বাসায় আসার জন্য। এরপর ও বাসার সামনে রিকশা নিয়ে চলে আসলো। আমি ওকে নিয়ে সোজা আর এফ এল শোরুমে চলে গেলাম।

IMG_20241104_185058_006.jpg
IMG_20241104_185058_218.jpg
IMG_20241104_185058_805.jpg

নিজের পছন্দ অনুযায়ী, একটা ব্লেন্ডার মেশিন আর একটা ওয়ারড্রব কিনে নিলাম ১৫ হাজার টাকা দিয়ে এবং নিজের কিছু টুকটাক জিনিস ছিল সেগুলো কিনে নিয়ে বাসায় আসতে, আমার প্রায় বিকাল তিনটা বেজে গেল। এদিকে সাহেবের কাছে কল করে জেনে নিয়েছিলাম। ও কি আজকে ছেলেদের জন্য খাবার নিয়ে যাবে।

IMG_20241104_185058_678.jpg
IMG_20241104_185058_273.jpg

ও নিয়ে যাবে এই কথা শুনে স্বস্তি পেয়েছিলাম। তা না হলে অনেক তাড়াতাড়ি আসতে হত। বাসায় এসে দেখলাম মোটামুটি ভাত রান্না করে রেখে দিয়েছে ঘর মুছে রেখে দিয়েছে, ছেলেদের জন্য খাবার নিয়ে চলে গেছে। খাবার খাইয়ে দিয়ে ওর কাজে চলে গেছে। আমি বাসায় এসে আমার গরমে অবস্থা খারাপ, জিনিসপত্র সব ঘরের ভেতর নিয়ে আসলাম, তারপর বোনের ছেলেকে খাবার দিলাম।

এরপর আমি গোসল করে নিলাম নামাজ পড়ে নিজে খাবার খেয়ে নিলাম, দেখলাম বোনের ছেলে ঘুমিয়ে পড়েছে। আসলে অনেক বেশি হাঁটাহাঁটি করার কারণে শরীর একবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। আমিও একটু শুয়ে পড়লাম। ঘুম আসছিল না কেননা টেনশন ছিল আসরের নামাজ পড়ে ওদেরকে আবার মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসতে হবে।

এরপর আযানের শব্দ শুনে তাড়াতাড়ি উঠে গেলাম উঠে গিয়ে নামাজ পড়ে, ছেলেদেরকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসলাম। আসার সময় দেখলাম নদীর পাড়ে সুন্দর ফুল ফুটে আছে। তাই ওখান থেকে দুইটা ফুলের ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম। রাতে রান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে রেখে দিয়েছিলাম। গ্যাস আসার সাথে সাথে রান্না করে নিলাম। তারপর বোনের ছেলে রাতের খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেল।ওর বাসায় নাকি কিছু কাজ আছে।

আমিও ছেলেদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। আসলে অনেক হাঁটাহাঁটি করার কারণে অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল শরীর। তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার আজকের কার্যক্রমের পোষ্টের মধ্য হাতির সুরের ফুলের ছবিটি অসাধারণ ছিলো যেটা আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে এই ফুলটা আমি মালয়েশিয়ায় দেখেছি এবং বাংলাদেশেও দেখেছি এই ফুলটা সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে যাইহোক সুন্দর একটি ফুল আপনার পোস্টের মাধ্যমে উপভোগ করতে পেরে আসলে আনন্দিত আমি।