আমাদের প্রতিটা সকাল সুন্দর কাটুক এটাই কামনা থাকি সৃষ্টিকর্তার কাছে, কিন্তু প্রতিটা সকাল সুন্দর হবে এটা কখনো হয়ে ওঠে না। তার পরেও আমরা ভালো থাকার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত কেননা প্রতিটা মানুষকেই ভালো থাকতে হয়। দিনশেষে এটা বলা উচিত আমরা যেমন আছি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বর্তমান সময়ে ঠান্ডার পরিমাণটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যার কারণে সকালবেলা প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, আর কুয়াশার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
তবে তার পরেও কিছুই করার নেই। প্রথমত উঠেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম। এরপরে নামাজ পড়ে কিছুটা সময় বসে জিকির করে আবার শুয়ে পড়েছি। ঠান্ডার কারণে গলা ব্যথাটা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। যার কারণে গরম পানি দিয়ে কিছুক্ষণ গড়গড়া করে নিলাম। এরপর চলে গেলাম ছাদে ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। মিষ্টি রোদ উঠেছে ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। আসলে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ ভালই লাগছিল।
ওখান থেকে দুইটা ফটোগ্রাফি চলে আবার নিচে চলে আসলাম। ছেলেদের জন্য পরোটা এবং ডিম ভাজা তৈরি করলাম। এটা ওদের খুবই ফেভারেট একটা খাবার এরপরে ওদেরকে ঘুম থেকে তুলে আমি নাস্তা খাইয়ে, আবারো মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ওদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম। তারপর রান্না-বান্না করে সাহেবের কাছে ওদের জন্য দুপুরের খাবার দিয়ে দিলাম, এরপর আরো কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম।
কিন্তু ঘুম আসছিল না প্রচন্ড মাথা ব্যথা এবং গলা ব্যথা করছিল। তাই তাড়াতাড়ি উঠে আবার মাথা ব্যাথার ঔষধ খেয়ে নিলাম। একটু পরে দেখলাম আছরের আযান দিয়ে দিয়েছে। তাই নামাজ পড়ে আবার ছেলেদেরকে নিয়ে আসার জন্য রওনা করলাম, কিন্তু আসার সময় ছেলেরা বায়না ধরেছে তারা আইসক্রিম খাবে।
আমি অনেকবার না করেছিলাম কিন্তু তারা খাবে কি আর করব একটা আইসক্রিম নিলাম এবং আসার সময় হালিম নান রুটি নিয়েছিলাম। কেননা বাসায় এসে রান্না করার মত শক্তি আমার মোটেও নেই। বাসায় আসতে সন্ধ্যা ছয়টা বেজে গেল। এরপর ওদেরকে নান রুটি এবং হালিম দিয়েছিলাম খাওয়ার জন্য। ওরা খেয়ে নিয়েছে আমিও একটু খেয়ে নিয়েছি শুধুমাত্র সাহেবের জন্য সামান্য পরিমাণে ভাত রান্না করেছিলাম। এরপর ওদের পড়াশোনা শেষ হলে ছোট ছেলেকে ঔষধ খাইয়ে দিয়েছিলাম, ওর আজকে কয়েকদিন ধরেই গলা ব্যথা করছে।
এরপর আমি ওদেরকে ঘুমিয়ে পড়তে বলেছিলাম, আমিও ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ঘুম আসছে না কি আর করব কিছুক্ষণ মোবাইল ঘাটাঘাটি করলাম, নিজের পোস্ট লিখলাম পোস্ট লেখা হয়ে গেলে পোস্ট করে দিলাম। আসলে কি লিখলাম নিজেও বুঝতে পারছি না। বাস্তবতা তুলে ধরতে গিয়ে অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। এরপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।