![]() |
---|
নিজেকে ছোট করেছি নিজের পরিবারের কাছে বহুবার।
নিজের অজান্তেই......
বহুবার অন্যের চোখে, নিজের মূল্য কমিয়েছিলাম।
বিশ্বাসের দেয়ালে ফাটল ধরেছে বহুবার
আমারই দেয়া সুযোগের কারণেই।
আমাকে ভাঙার সাহস আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি,
যতক্ষণ না আমি নিজে থেকে নিজেকে ভেঙেছি।
নিজের আত্মা ছুঁতে দিয়েছিলাম অযোগ্য মানুষের হাতে,
তবু অভিযোগ সবার? দোষটা শুধু নিজের।
ভুলটা আমারই ছিল!
তাই শাস্তিটাও আমারই প্রাপ্য।
সবাই শুধু অভিযোগ করে।
অভিমান ভাঙ্গানোর দায়িত্বটাও শুধু আমার।
এইটুকু বয়সে যতটুকু দেখেছি, সবকিছু আঁকড়ে ধরে থাকা মানুষ গুলো কখনোই ভালো থাকতে পারে না। কিছু পরিস্থিতি তাদেরকে কখনোই ভালো থাকতে দেয় না। হাজার চেষ্টা করেও তারা নিজেদের মনে শান্তি নিয়ে আসতে পারে না। তার পরেও চেষ্টা করে ফ্যামিলিটা যদি ভালো থাকে, তাহলে কতই না ভালো হয়। এই চেষ্টার মাধ্যমে তাদের হাজারো স্বপ্ন মাটি চাপা দিতে হয়। হাজারো শখের জিনিস বিলীন করে দিতে হয়, শুধুমাত্র পরিবারের পেছনে নিজের সময় টাকে দেয়ার জন্য ষ।তারপরেও দিনশেষে কিছু মানুষকে শুনতে হয়। কি করো সারাদিন এইতো অল্প কিছু কাজ এটা করতেও এত সময়।
![]() |
---|
![]() |
---|
সবকিছু গুছিয়ে দেয়ার মালিক তো একমাত্র আল্লাহ। আমি আর আপনি শুধুমাত্র উসিলা, আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে কিছুটা সময় বাহিরে হাঁটাহাঁটি না করলে, আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না, বললেই চলে। তাই বাহিরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এরপরে ছাদে গিয়ে কিছুটা সময় কাটালাম, তারপর দুই তিনটা ফটোগ্রাফি করে আবার চলে আসলাম নিচে।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
এরপর শুরু হয়েছে আমার গতকালকের কার্যক্রম। মোটামুটি প্রতিটা দিন একই রকম থাকে, সকালে সবার জন্য খাবার রেডি করা সবার খাবার খাওয়া শেষ হলে সবকিছু পরিষ্কার করে, আগের জায়গায় রেখে দিয়ে, আবার দুপুরে রান্না বান্নার জন্য সব কিছু রেডি করা। দুপুরে রান্না বান্নাটা করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। রান্নাবান্না করে যোহরের নামাজ পড়ার জন্য, গোসল করে রেডি হতে হয়ে, তারপর নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর আমি নিজেও হালকা পরিমাণে খেয়ে, ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। আসলে কুয়াশা আর ঠান্ডা থাকার কারণে জ্বর এসে গেছে।
![]() |
---|
ঔষধ খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল। মনে হয় অনেকদিন ঘুমাইনি কখন ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানিনা। আসরের নামাজের আযানের শব্দ ঘুম ভেঙে গেল। তাড়াতাড়ি উঠে নামাজ পড়ার জন্য অজু করে নিয়েছিলাম। তারপর ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে, প্রথমত হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়েছিলাম। এরপর ওদেরকে কিছুক্ষণ ছেড়ে দিয়েছিলাম ঘোরাঘুরি করার জন্য। আমিও ওদের সাথে বেশ অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম, ঘোরাঘুরি করেছিলাম বেশ ভালই লাগছিল।
![]() |
---|
তারপর ওদেরকে ওদের ঘরে রেখে দিয়েছি। রাতের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দিয়ে, আমি অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য চলে আসলাম। তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হলো তারপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি নামাজ পড়ে এসে শুয়ে পড়লাম।এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। চেষ্টা করছি সব কিছু সামলে নেয়ার, জানিনা সবকিছু সামলে নিতে পারব কিনা? তবে চেষ্টা চালিয়ে যাব যতদিন এই পৃথিবীতে থাকবো! ভালো থাকবেন সবাই।
মাঝে মাঝে আমাদের শরীরগুলো অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। আশা করি আপনে এখন সুস্থ আছেন। আসলে কেউ যখন নিজে ভেঙে পরে তখন সবাই সেই সুযোগটা নিতে চায়। দোয়া করি যাতে আপনে আপনার জীবনের সব সমস্যাগুলো কাটিয়ে আবার চলার পথটা সুন্দর করে নিবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা চাইলেও নিজেদেরকে শক্ত করে ধরে রাখতে পারি না হাজারো প্রচেষ্টার পরেও নিজেরা ভেঙ্গে পড়ে ভেতর থেকে তারপরেও চেষ্টা করে উঠে দাঁড়ানোর আপনি ঠিকই বলেছেন যখন মানুষ ভেতর থেকে ভেঙে পড়ে তখনই সবাই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে তারপরেও বলি তারা ভালো থাকুক কারণ তারা ভালো থাকলেই দিন শেষে আমি ভালো থাকবো অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার প্রতিটি কথায় যেন জীবন সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। পরিবারের জন্য আক্রান্ত পরিশ্রম ত্যাগ আর মনের আবেগ সব মিলিয়ে সত্যি হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মত লেখা। নিজের কষ্টগুলো গোপন রেখে হাসিমুখে চলা যে অদম্য শক্তি আপনার মধ্যে আছে তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
আপনার চেষ্টা কখনো বৃথা যাবে না ইনশাল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে শক্তি দিন সুস্থ রাখুন এবং জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় সফল করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নিজের কষ্টের কথা কখনো কারো কাছে প্রকাশ করতে নেই হয়তোবা কেউ সেটা নিয়ে উপহাস করবে আর নয়তোবা কেউ সেটা নিয়ে অবজ্ঞা করবে তাই নিজের কষ্ট নিজের কাছে রাখাটাই উত্তম কে কি বলল সবকিছু মনে রাখতে গেলে জীবনে চলা যায় না আমি যেখানে আছি তার থেকে সামনে দুই কদম এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যদি আমি সেই চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পড়ি আবার উঠে দাঁড়াতে হবে কারণ আমাকে কেউ ঠেলে উপরে উঠিয়ে দিবে না নিজের চেষ্টায় নিজেকে উপরে উঠতে হবে এবং অদম্য পরিশ্রম করতে হবে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতিদিনের সংগ্রাম এবং কষ্টের মাঝে সত্যিই জীবনের সুন্দরত্ব লুকানো থাকে। আপনি যেমন সুন্দরভাবে আপনার দিন শুরু ও শেষের কাজগুলি বর্ণনা করেছেন, তা থেকে আমরা শিখতে পারি কিভাবে প্রতিটি মুহূর্তকে মূল্য দিতে হয়, আর চেষ্টা করে যেতে হয়। আপনার সাহসিকতা এবং পরিশ্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবন সংগ্রামের মাধ্যমে কিন্তু সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে আপনি যদি জীবনটাকে শুধু মাত্র ঘুমিয়ে আরাম আয়েশার মধ্যে উপভোগ করতে চান তাহলে আপনি জীবনের আসল মানে খুঁজে পাবেন না তাই আমি মনে করি যতটুকু পারেন জীবনটাকে সংগ্রামের মাধ্যমে উপভোগ করার চেষ্টা করেন আপনি যেমন আপনার জীবনের আসল মানে খুঁজে পাবেন ঠিক তেমনি সফলতাটা খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমের লাইনগুলো খুবই চমৎকার ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।। আমাদের ইসলাম ধর্মের উল্লেখ আছে যে আপনি নিজের জিনিস জেনেও অন্যকে দিয়ে দিচ্ছেন এটাই একজন ভালো মানুষের পরিচয়।। আপনার কথা অনুযায়ী আপনার এই বয়সে অনেক কিছু দেখেছেন অনেক কিছু সহ্য করেছেন।।
আসলে সৃষ্টিকর্তা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদেরকে একটু ধৈর্য বেশি দিয়েছে তারা এই ধৈর্য কে কাজে লাগে অনেক কিছু করতে পারেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মেয়েদেরকে অনেক কিছুই দেখতে হয় অনেক কিছু সহ্য করতে হয় কিন্তু এত সময় যখন তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় তখন মেয়েরা চাইলেও সেটাকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে পারে না কিন্তু আমি আমার ইচ্ছা গুলোকে ধরে রেখেছি স্বপ্নগুলোকে পূরণ করার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি জানিনা কবে সবকিছু ঠিক হবে তবে ইনশাল্লাহ চেষ্টা চালিয়ে যাব যতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit