বেশ কিছুদিন ধরেই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনেক বেশি ঝামেলা হয়ে গেছে। সকালবেলা ঠান্ডা অনুভব করি কিন্তু দুপুরের পর থেকে প্রচন্ড পরিমাণে অতিরিক্ত গরম যার কারণে অতিরিক্ত ঘাম শরীরের মধ্যে। শরীরে একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এত পরিমাণে ঘামানোর কারণে শরীর আরো দুর্বল হয়ে যায়। কি করব বুঝতে পারছি না। কালকে একবার ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তার বলল অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। আমাকে প্রয়োজন অনুযায়ী স্যালাইন খেতে হবে।
অতিরিক্ত পানি খেলেও আবার সমস্যা কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। যাইহোক সবকিছু সামলে নিয়েই চলতে হবে। এটাই আমাদের জীবন। সুন্দর একটা সকালের দেখা পেয়ে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। আজকে ছোট ছেলে মাদ্রাসায় যাবে না ওর নাকি ভালো লাগেনা। তাই কিছু না বলেই বড় ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম, সকালে খাবার খাইয়ে সকালের জন্য নুডুলস রান্না করেছিলাম।
ওকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসার সময় নদীর পাড়ে কিছুটা সময় পার করলাম। আসলে কুয়াশা ঘেরা নদীর পাড় দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। ছোট ছোট নৌকা নিয়ে মাঝিরা মাছ ধরছে। ভেবেছিলাম ছোট মাছ নিয়ে আসবো কিন্তু মাছ আনতে গেলে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে। তাই মাছ না নিয়ে সোজা বাজারে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে বাজার করে আবার বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে রান্নার জন্য সমস্ত কিছু রেডি করে নিলাম। গ্যাস আসলে সুন্দর মত রান্না করে নিয়েছিলাম। ছোট ছেলে বাসায় থাকার কারণে সবকিছু একেবারেই এলোমেলো করে রেখেছে। সবকিছু গুছিয়ে রাখতে আমার আবার অনেকটা সময় লাগলো। এরপরে দেখলাম ছেলেদের বাবা উঠে গেছে। ও উঠে প্রথমে ঘর মুছে নিল তারপরে গোসল করে নামাজ পড়ে খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেল। আমি ছেলের জন্য খাবার নিয়ে চলে গেলাম।
মাদ্রাসা থেকে এসে প্রথমত নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর আমি আর ছোট ছেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খেয়ে আমি একটু শুয়ে পড়েছিলাম। কাশির ঔষধ খাওয়ার কারণে অনেক বেশি ঘুম পাচ্ছিল, আর ছোট ছেলেকে বলেছিলাম আসরের আযান দিলে আমাকে উঠিয়ে দিতে।
এত পরিমানে ঘুম ধরেছিল কি বলবো। ছোট ছেলে মোবাইলে গেমস খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কখন আযান দিয়েছে আমি নিজেও শুনতে পাইনি। তাড়াতাড়ি উঠে দেখি ৫ টার কাছাকাছি ঘড়িতে সময়। তাই তাড়াতাড়ি করে বোরকা পরে প্রথমত মাদ্রাসায় চলে গেলাম ছেলেকে নিয়ে আসার জন্য।
এরপর এসে দেখি আসরের নামাজের সময় নেই। আজকে বেশ কয়েকদিন ধরেই পাশের বাসার আন্টির নাতনি অনেক বেশি অসুস্থ। জ্বর হওয়ার কারণ ওর শরীরটা কেমন একটা ভেঙে গেছে। ওর সাথে কিছুটা সময় পার করলাম। তারপর কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে, তাদেরকে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়তে বসলাম।
ওদের পড়া শেষ হলে আমি এসব নামাজ পড়ে রাতের জন্য শুধুমাত্র ভাত রান্না করে রেখে দিলাম। তারপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি নিজেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আর একটা দিন অতিবাহিত করলাম।
লেখা পড়ে যেটা বুঝলাম সারাটা দিন অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই পার করছেন সংসারের কাজ সেই সাথে ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা অনেকটাই সুপার হিরো মতো।
শরীর অতিরিক্ত ঘামলে সবারই ক্লান্তি লাগে তবে আমি মনে করি এর সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বিশেষ করে যখন অতিরিক্ত ঘাম ঝরে তখন পানি খেলে আরও বেশি গা ঘামে তাই মানুষ পানি খেতে চায় না। তবে আমি পরামর্শ দিব এমন তাহলে শুধু পানিখালী হবে না পানির সাথে হালকা লবণ ও লেবু মিশাতে হবে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে ঠান্ডা ও গরম দুটো এক সাথে হলে মানুষের শরীর অনেক বেশি খারাপ হয়। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম অতিরিক্ত গরমের জন্য শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে আমাদেরও মাঝে মধ্যেও শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে কারণ আমাদেরও গরমের জন্য ঘাম অনেক বেশি বেরিয়ে আসে শরীরের মধ্যে থেকে। বেশি বেশি স্যালাইনের পানি খেতে থাকুন দেখুন ঠিক হয়ে যাবে সৃষ্টি কর্তার উপরে বিশ্বাস রাখুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে সকলের শরীর কম বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বর্তমানে শীত গরম সবই একসাথে অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলায় গরম আর রাতে ঠান্ডা, এতে করে আমাদের শরীর ঠিকভাবে মানিয়ে নিতে পারছে না। শরীর সুস্থ রাখতে গেলে তো পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতেই হবে। মাছ ধরা দেখতে খুব ভালো লাগে, আজ আপনি আমার প্রিয় একটা খাবার তৈরি করেছেন সেটা হলো নুডুলস। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শহরের দিকে কি বলবো ভাই কখনো বৃষ্টি হচ্ছে আবার কখনো প্রচন্ড ঠান্ডা । বৃষ্টি হলে মনে হয় শরীর একেবারে কাপা শুরু হয়ে যায় কিন্তু রোদ উঠলে শরীর দিয়ে ঘাম বের হয়। যার কারণে বর্তমান সময়ে কম বেশি অনেক মানুষ অসুস্থ আমি নিজেও অনেকদিন যাবত অসুস্থ আমার ছেলে অসুস্থ, ইনশাল্লাহ অবশ্যই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit