Better Life With Steem || The Diary game || 07 February 2024 ||

in hive-120823 •  17 days ago 
Picsart_25-02-08_19-02-52-434.jpg

আজকাল সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা অনেক বেশি কষ্টকর। তার চাইতেও বেশি কষ্টকর হচ্ছে মানুষকে বিশ্বাস করা। যাকেই বিশ্বাস করি সেই মানুষটাই ঠকিয়ে দেয় আর বুঝিয়ে দেয়। এই পৃথিবীতে মানুষকে বিশ্বাস করতে নেই। কিন্তু তারপরেও আমি বোকার মত মানুষকে বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি কারণ আমার উপরে যিনি আছেন। তার উপরে সবকিছু পরীক্ষা চলছে, হয়তোবা কিছু সময়ের জন্য আমি কষ্ট পাচ্ছি, আবার সবকিছু আগলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। বিশ্বাস করা আমার ধর্ম এটা আমি করে যাব। যারা আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে এটা তাদের কর্ম এটা তারা করে যাবে।

তবে দিনশেষে তারা তাদের কর্মের হিসাব অবশ্যই দিতে হবে। হয়তো বা কিছুটা সময় তারা ভালো থাকবে হাসিখুশি থাকবে। তবে মৃত্যুর পরে তাদের এই হিসাব প্রতিটা অক্ষরে উপরওয়ালার কাছে দিতে হবে। কেমন আছেন সবাই অনেকদিন পর আপনাদেরকে এই কথা জিজ্ঞেস করলাম? হয়তোবা বলতেই পারেন ভালো আছি! কিন্তু ভালো থাকা আর আনন্দে থাকার মধ্যেও অনেকটা তফাৎ আছে! আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি! যেমন আছি শুকরিয়া আদায় করি, সবসময় ওই সৃষ্টিকর্তার কাছে।আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়েছি,আমাকে অনেক বেশি তাড়াতাড়ি কাজ করতে হবে।

IMG_20250207_190022_709.jpg

কেন তাড়াতাড়ি কাজ করব তারও বিশেষ কিছু কারণ আছে। কারণ গতকাল যেহেতু শুক্রবার ছিল মা'কে নিয়ে একটু ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন আছে। মায়ের পায়ের প্রচন্ড ব্যথা হাঁটতে পারে না। এই নিয়ে অনেকবার তাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে, কিন্তু সমস্যা কিছুদিন ভালো থাকে আবার আগের মত হয়ে যায়। এটা নিয়ে আমরা অনেক বেশি চিন্তিত। আমি বিশ্বাস করি বয়স হওয়ার সাথে সাথে মানুষের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এই সমস্যা গুলো সমাধান করার প্রচেষ্টা আমরা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাই।

IMG_20250207_190022_855.jpg

সকালে সবার জন্য খাবার রেডি করে, আমি তাড়াতাড়ি করে দুপুরে খাবার রান্না করে নিয়েছিলাম। মোটামুটি সাড়ে বারোটার সময় আমার রান্না শেষ হয়ে গেছে। তারপর আমি গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। আজকে যেহেতু শুক্রবার আমাদের জুম্মার দিন। আজকের দিনটা আমাদের জন্য অনেক বেশি স্পেশাল। তাই নামাজের বিছানায় কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম। তারপর ছেলেরা যখন নামাজ পড়ে আসলো, তাদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম।

IMG_20250207_190022_415.jpg
IMG_20250207_190023_157.jpg

তারপর বড় ছেলেকে ল্যাপটপ দিয়ে বসিয়ে দিলাম। ও বসে বসে গেমের ভিডিও দেখছিল, আর আমি ছোট ছেলেকে নিয়ে সোজা হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মা'কে বলেছিলাম ওখান থেকে আসার জন্য। রাস্তায় কোন রকম গাড়ি নেই, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে একটা সিএনজি পেয়ে গেলাম। তারপর আমি গাড়িতে উঠে সোজা আমাদের সদরে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে দেখলাম মা এসে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর মা'কে নিয়ে আগে ডাক্তার দেখালাম আসলে আগে থেকে সিরিয়াল দিয়ে রাখার কারণে, মোটামুটি ডাক্তার দেখাতে আমার একটা সময় লাগেনি ডাক্তার দেখিয়ে প্রথমত ঔষধ নিয়েছিলেন।

তারপরে আমি মা বাজার করবে ওনার বাজার করে দিয়েছিলাম। আমার জন্য চারটা মুরগির বাচ্চা নিয়ে ছিলাম, ফাওমি মুরগি। এই মুরগি নাকি প্রচুর পরিমাণে ডিম পাড়ে। তাই আমি ওখান থেকে চারটা মুরগি 1100 টাকা নিয়েছিলাম। তারপর একটা গাড়ি ডেকে নিয়েছিলাম। এরপরে আমি আমার দুইটা জামার কাপড় নেয়ার জন্য একটা মার্কেটে ঢুকলাম। তারপর ওখান থেকে দুইটা জামা কাপড় নিয়ে নিলাম। তারপর মা'কে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম আমি আমাদের স্টেশনে চলে আসলাম। তারপর একটা রিক্সা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাড়িতে আসতে মোটামুটি আমার আসরের নামাজের সময় শেষ হয়ে গেল। তারপর বাড়িতে এসে তাড়াতাড়ি করে নামাজ পড়ে নিলাম।

IMG_20250207_190028_785.jpg
IMG_20250207_190028_868.jpg

এরপর হাঁস মুরগির বাচ্চাগুলো খাবার দিয়েছিলাম। নতুন যে মুরগির বাচ্চা নিয়েছিলাম তাদের কেউ খাবার দিলাম। তারপর তাদেরকে তাদের ঘরে রেখে দিয়েছিলাম। তারপর অজু করে এসে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। ছেলেদেরকে পড়তে নিয়ে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হলে আমি ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি কিছু পোস্টে কমেন্ট করে নিয়েছিলাম এবং ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@rubina203 কে বিশ্বাস বজায় রাখলো আর কে রাখছে না, সবটাই একজন দেখেন।
কাজে, সেটা নিয়ে অনুতাপ করার চাইতে নিজের কাজটা মুখবুজে করে যাওয়া সমীচীন।

আপনার একজন মায়ের ভূমিকা, মেয়ের ভূমিকা এবং বৌমার ভূমিকা আপনি দায়িত্বের সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন সেটাই বড় কথা!

তবে মনে কোন অভিযোগ রেখে কিছু করবেন না, তাহলে কিন্তু সবটাই মাটি হয়ে যাবে।

আপনি যে মুরগির নাম লিখেছেন, যেগুলো বেশি ডিম পাড়ে, তাদের নাম আমি পূর্বে কখনো শুনিনি।
হয়তো এদের অন্য নাম থাকে পারে!
আপনার মায়ের স্বাস্থ্য তাড়াতাড়ি সুস্থ্ হয়ে উঠুক কামনা করি।

আর, আপনার জামার কাপড় কিনেছেন, বড় তৈরি হয়ে গেলে, নতুন জামা পড়ে একটা ছবি অবশ্যই দেবেন।
ভালো থাকুন সবসময়।

আসলে দিদি আমার বিশ্বাসকে রাখল আর না রাখলেও এখন আর তাতে কিছু যায় আসে না। আমি বিশ্বাস করতে ভালোবাসি তারা বিশ্বাস ভাঙতে ভালোবাসে। আমি কারো উপর কোন অভিযোগ করি না। যদি কখনো মন খারাপ হয় তাহলে নামাজের বিছানায় বসে কিছুক্ষণ কান্না করে নেই। এতে মনে হয় অন্ততপক্ষে মনটা কিছুটা হালকা হয়ে যায়। আমার মা বলে বোবার কোন শত্রু নেই, তাই বোবার মত থাকার চেষ্টা করি।

আমাদের এখানে এই মুরগিকে ফাওমি মুরগি বলা হয়ে থাকে, প্রচুর পরিমাণে ডিম দিয়ে থাকে। আমার অনেক পাড়া প্রতিবেশী এটা পালন করতেছে তাই আমিও নিয়ে এসেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইনশাআল্লাহ অবশ্যই নতুন জামা সেলাই করে, জামা পরিধান করে একটা ছবি দেয়ার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন।

Loading...

পৃথিবীতে আমরা যে যেরকম কাজ করি না কেন মৃত্যুর পর ঠিক সেরকম ফল আমরা পাব।। আসলে আজকাল কিছু মানুষের জন্য বিশ্বাস নামক জিনিসটা অনেকের মন থেকে উঠে গেছে।। তারমানে এই নয় পৃথিবীতে ভালো মানুষ নেই বিশ্বাস করার মত মানুষ নেই অবশ্যই আছে ।।

যাই হোক প্রতিদিনের মতোই সংসারে কাজ সময় মত করেছেন আবার নতুন মুরগি কিনেছেন আর হ্যাঁ কিছু কিছু মুরগি আছে যেগুলো অনেক ডিম দেয় যদিও সেগুলো অন্য প্রজাতির মুরগি।। পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারলাম ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে ভালো থাকবেন।।

আমি বিশ্বাস করি ভাই আমি যা করতেছি তার জন্য আমি যেমন আল্লাহ তাআলার কাছে হিসাব দিব ঠিক তেমনি অন্য মানুষ যা করতেছে তারাও তার জন্য অবশ্যই হিসাব দিতে হবে প্রতিনিয়ত মানুষকে বিশ্বাস করা এটা আমার ধর্ম আর তারা আমার বিশ্বাস ভেঙে দিচ্ছে এটা তাদের কর্ম আমি চেষ্টা করছি নিজে থেকে কিছু করার তাই একটু একটু করে মুরগি কেনা শুরু করেছি আমি জানি না এই মুরগিগুলো কতটা আমাকে লাভবান করবে তবে অনেকেই পালন করছে তাদের কাছে শুনে এই মুরগী নিয়ে এসেছিলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

সত্যিই আপু আপনি যে দৃঢ় বিশ্বাস ও দৃঢ় মনোবল জীবন যাপন করছেন,তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক । সম্পর্কের মধ্য যে বিশ্বাস ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা থাকা উচিত, আপনি তা চমৎকার ভাবে বজায় রেখেছেন।

পরিবারের প্রতি আপনার যত্ন এবং মার চিকিৎসা সংক্রান্ত সচেতনতা খুবই প্রশংসনীয়। দোয়া করি আপনার মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আপনার জীবনের সব সময় সুখ শান্তি এবং সফলতা থাকুক।

আমার বিশ্বাস আমি আমার সম্পর্ক গুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য দৃঢ় বিশ্বাস আত্ম-প্রচেষ্টা সবকিছু চালিয়ে যাব যদি আমার দিক থেকে কখনো কিঞ্চিত পরিমানে সমস্যা হয়ে থাকে আমি সেটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করব আসলে আপু মা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ আমাকে বলছে কিন্তু আমি সময় করে উঠতে পারছি না যেহেতু শুক্রবার ছিল ডাক্তার আসবে তাই ওই দিনটাকে নির্বাচন করেছিলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server

Manually curated by @ abiga554
r2cornell_curation_banner.png

Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। আপনাদের একটি সাপোর্ট আমাদেরকে সামনের দিকে কাজ করার উৎসাহ জাগিয়ে তোলে, ভালো থাকবেন।

দিন যত আছে তাতেই আমাদের সম্পর্ক গুলো যেন হালকা হয়ে যাচ্ছে। সবাই নিজের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

যতদিন আমরা আমাদের টাকা থাকবে ততদিন আমাদের সম্মান থাকবে আমাদের আদর থাকবে কিন্তু যখনই আমরা তাদেরকে কিছু দিতে পারবো না তখনই আমাদের আদরের কমে যাবে এবং আমাদের গুরুত্ব ও কমে যাবে। বর্তমান সময়ে টাকা সম্পর্কের মেইন কারণ হিসেবে ধরা হয়।
চারটি মুরগি ১১০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন মনে হয় আপনি জিতেছেন। আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি ।

সম্পর্ক এখন আর আগের মতো নেই নিঃসন্দেহে বলা যায়। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এখন শুধুমাত্র বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া যায় আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন আমাদের সম্পর্ক গুলোকে গুছিয়ে রাখার সেগুলো আর আগের মত বোঝানো হয় না।

আমি ঠিক জানিনা আমি ১১০০ টাকা দিয়ে মুরগি কিনে জিতেছি কিনা কেননা একটা মুরগির এখন একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে দেখা যাক উপরওয়ালা কি রেখেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবে।

আপনার বিশ্বাসের শক্তি সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আপনি যে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তা দেখে সত্যিই অনেক কিছু শেখার আছে আপনার পোস্ট থেকে। আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

ভাই বিশ্বাস করাটা হচ্ছে আমার ধর্ম যারা বিশ্বাস ভঙ্গ করে এটা তাদের প্রতিনিয়ত কর্ম তারা এটা করে যাবে তবে আমি আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষকে বিশ্বাস করে যাব আমাদের জীবনে চ্যালেঞ্জের অভাব নেই আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তাদের জন্য ছোটবেলা থেকেই জীবন যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় আর এই যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যদি টিকে থাকতে পারি তাহলেই আমরা সফল দোয়া করবেন মায়ের অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটু ভালো আছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।