Better Life With Steem || The Diary game || 10 February 2025 ||

in hive-120823 •  12 days ago 
Picsart_25-02-11_07-53-19-393.jpg

মানুষকে দূর থেকে দেখলে কতই না নিখুঁত মনে হয় তাই না!
কাছে গেলেই ধরা পড়ে তার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য অপূর্ণতা।

যতই প্রিয় হোক আর যতই হোক আপন জন,একদিন না একদিন....
হঠাৎ আমরা তার ভিন্ন রূপ দেখে অবাক হই।
কিছু বদলে যায়,কিছুটা প্রকাশ পায়—
আর আমরা মনে মনে ভাবি, “এ কি সেই মানুষ?”

আসলে কেউই নিখুঁত হয় না,
আমরাই তাদের ভাবনার রঙে আঁকতে পছন্দ করি।
যেদিন এই সত্য কথা গুলো মেনে নেবো,
সেদিন সম্পর্ক গুলো কম ভাঙতে শুরু করবে।

IMG_20250210_075139_545.jpg

দূর থেকে যত জিনিস আমাদের কাছে নিখুঁত মনে হয়। সবকিছু কখনো নিখুঁত হয়ে আমাদের সামনে ধরা দেয় না, এটাই বাস্তব আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত। প্রথম অবস্থায় সকালে বাহিরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। আজকে কুয়াশার পরিমাণটা মোটেও নেই, যার কারণে রোদের পরিমাণটা খুব তাড়াতাড়ি দেখা দিয়েছে। বাইরের পরিবেশটা মোটামুটি ভালই লাগছে তবে ঠান্ডার পরিমাণটা অনেক বেড়ে গেছে।

IMG_20250210_075202_562.jpg
IMG_20250210_075200_116.jpg

জ্বরের কারণে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে আর ঠান্ডার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে মনে হচ্ছে মাথা ফেটে যাবে। কিন্তু কিছুই করার নেই কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর একটু মাঠে গিয়েছিলাম, কিছু তরকারি নিয়ে আসার জন্য। এরপরে সবজি বাগান থেকে কিছু তরকারি নিয়ে এসে সকালের রান্না সেরে নিয়েছিলাম। প্রচন্ড গলা ব্যথা কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তারপর এক গ্লাস গরম পানি করে লবণ দিয়ে খেয়ে নিয়েছিলাম।

IMG_20250210_075151_518.jpg

এই ঠান্ডার মধ্যে আসলে গলা ব্যথা জ্বর অনেক বেশি কষ্টকর একটা অবস্থা। তার উপরে সংসারের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পূর্ণ না করতে পারলে আবার প্রিয়জনের কাছ থেকে শুনতে হয় নানা ধরনের কথা। সবকিছু চিন্তা করেই দুপুরের রান্নাবান্নার জন্য রেডি করে নিয়েছিলাম। তারপর মোটামুটি রান্না করে নিয়েছিলাম। রান্না করে মাথার পানি দিয়েছিলাম, প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল। তাই আর গোসল করলাম না শরীর মুছে নিয়ে তারপর নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম।

IMG_20250210_075207_264.jpg

মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ ছোট ছেলের জ্বরের পরিমাণটা অনেকটাই কমে গেছে। আসলে ওদের অসুস্থতা আমাকে আরো বেশি অসুস্থ করে তোলে। ওরা ভালো থাকলে আমার মনে হয় আমি যতই অসুস্থ থাকি না কেন? আমি মোটামুটি ভালো থাকি! তারপর ওকে অল্প পরিমাণে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম! আমিও অল্প পরিমাণে খেয়ে তারপর ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর একটু শুয়ে পড়েছিলাম ঘুম আসছিল না কি করব বুঝতে পারছিলাম না! তারপর কয়েকটা পোস্টে কমেন্ট করে নিয়েছিলাম।

IMG_20250210_075157_419.jpg
IMG_20250210_075154_507.jpg

এরপরে উঠে আসরের নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম! হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়ে তাদের পেছনে কিছুটা সময় দিয়েছিলাম! আসলে একটা জিনিস পালন করলে হয় না এদেরকে অবশ্যই যত্ন করতে হয়। যত্ন না করলে এখান থেকে আমি কেন কিছুই আশা করতে পারবো না! প্রতিটা জিনিসের প্রতি আপনার যত্ন ভালোবাসা যতটুকু থাকবে সেই জিনিস আপনাকে ততটাই সুফল দেবে। সে ক্ষেত্রে আমি বলব এই প্লাটফর্মে যারা কাজ করতেছেন অবশ্যই নিজেদের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করবেন। এতে করে আপনি এই প্লাটফর্মা এর প্রতি যেমন আপনার কাজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ঠিক তেমনি সবার প্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন।

IMG_20250210_075205_175.jpg

যাইহোক এরপরে মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। এরপর ওদের জন্য আবার চটপটি তৈরি করেছিলাম। যেটা ওদেরকে দিলাম এবং ওদের ফুফুদের কে দিলাম, উনারা খেয়ে নিয়েছিল। এরপর ওদের পড়া শেষ হলে আমি রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। আমি হালকা পরিমাণে মুড়ি খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছিল, কখন ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেও জানিনা। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যিই আপু আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর এবং হৃদয় ছুঁয়ে দেওয়ার মত। জীবনের অস্থিরতা ও অসুস্থতার মধ্যেও আপনি যেভাবে নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করছেন পরিবারের যত্ন নিচ্ছেন তা সত্যিই অনেক বড় প্রশংসনীয় একটি কাজ। আপনার কথাগুলো আমাদের জীবনের সত্যি কথা তুলে ধরে যে কোন কিছুই নিখুঁত নয় কিন্তু আমাদের যত্ন এবং ভালোবাসায় তাকে বিশেষ করে তোলে। আল্লাহ আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করুক এবং আপনার পরিবারকে সুখী এবং সুস্থ রাখুন। আশা করি শীঘ্রই আপনি ভাল অনুভব করবেন। ভালো থাকবেন।

আপনি যতই অসুস্থ থাকেন না কেন আপনার মধ্যে যতই নিরাশা কিংবা হতাশা আসুক না কেন? আপনাকে অবশ্যই প্রতিনিয়ত কাজ করতে হবে। আপনি যদি কাজের প্রতি একটু অবহেলা করেন তাহলে এই সমস্যা সৃষ্টি হবে, দেখা দেবে পরিবারের মধ্যে অশান্তি। তাই আমি মনে করি যত কষ্টই হোক সময়ের কাজ সময় করে ফেলাটা অনেক বেশি করাটা অনেক বেশি উত্তম।

Loading...

আপনার জীবনযাত্রা খুবই প্রেরণাদায়ক! আপনি যেভাবে অসুস্থতার মাঝেও নিজের পরিবার এবং দায়িত্বগুলো পালন করছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জীবনের অস্থিরতা সত্ত্বেও আপনি যা করছেন, তা আমাদেরও অনুপ্রাণিত করে। আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থ করুন।

মেয়েদের জীবনটাই এমন যত ব্যস্ত থাকুক না কেন তাদের সংসারের প্রতি নিজের সন্তানের প্রতি প্রতিটা জায়গার প্রতি তাদের অনেক বেশি নজর রাখতে হয় আপনি অসুস্থ রয়েছেন তাতে কি হয়েছে আপনার ফ্যামিলিতে অনেক মানুষ আছে তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রতিটা কাজ নিখুঁত করে করতে পারলেই আপনি সবার কাছে ভালো যদি একটু এদিক ওদিক হয় তাহলেই দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

এটা একদম সঠিক বলেছেন দূর থেকে যত জিনিস নিখুঁত মনে হয় কাজ থেকে সেটা তো নিখুঁত মনে হয় না।।। শুনে খারাপ লাগলো আপনি অনেক অসুস্থ আর এই অসুস্থ শরীর নিয়েও সংসারের কাজ করতে হচ্ছে।। মেয়েদের জীবন এমনই যত সুস্থ থাক না কেন কাজ তাদের করতে হয়।।

আমাদের জীবনে কোন কিছুই নিখুঁত না আমরা যত জিনিসকেই নিখুঁত মনে করি সেটা আসলে আমাদের চোখের ভোলা কেননা আপনি যখন সামনে যাবেন তখন সেই মানুষের মধ্যে কি কি সমস্যা আছে সেটা আপনি খুব ভালোভাবে টের পাবেন তাই আমি মনে করি কালকে নিখুঁত মনে না করে তাতে সহজ ভাবে গ্রহন করার চেষ্টা করুন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।