কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন প্রতিনিয়ত হচ্ছি। আসলে যে মানুষগুলো বলেছিল দূরে চলে যাও, আজকাল সে মানুষগুলোই আমাকে প্রশ্ন করছে কেন দূরে চলে গেলাম? এর উত্তরটা হয়তোবা আমার জানা নেই, আর জানা থাকলেও উত্তরটা দেয়ার মত সত্যি আমার কাছে নেই কোন কারণ। আমি মনে করি তারা আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে চেয়েছে, থাকুক তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। অন্তত এটা বুঝুক, আমি না থাকলে তাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে। সেগুলো তারা কিভাবে সমাধান করে।
অবশ্যই তারা সমাধান করবে। তা না হলে তো আর তারা আমাকে দূরে যেতে বলত না! যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন প্রতিনিয়ত হচ্ছি, সামনে আরো হব এটা একেবারেই নিশ্চিত। তার পরেও ভালো থাকার চেষ্টায় প্রতিটা সকাল শুরু করছি একমাত্র আল্লাহর নামে, আজকেও ঠিক তাই হয়েছে।
সকালবেলা পরিবেশটা অনেক ঠান্ডা থাকে, কেননা চারপাশের মানুষ ঘুমিয়ে থাকে আর এই পরিবেশে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালই লাগে। তবে রাস্তায় বের না হয়ে আমি সোজা চলে গিয়েছিলাম ছাদে। কেননা বাড়িওয়ালা আন্টির অনেক গুলো ফুলের গাছ রয়েছে। যার মধ্যে অনেক ফুল ফুটে আছে, তাই কিছুক্ষণ ছাদে হাঁটাহাঁটি করলাম। হাঁটাহাঁটি করার পরে দেখলাম পাশের বাসার আন্টি ও চলে এসেছে, উনার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে আমি নিচে চলে আসলাম।
এসে ছেলেদের জন্য মুড়ি মাখা তৈরি করলাম, এরপর আমি নিজেও সকালের নাস্তা হিসেবে মুড়ি মাখা খেয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম, আসলে রাতে তেমন একটা ঘুম হয় না। কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর যখন আবার তাদের বাবা আসে, তখন আবার উঠতে হয় মোটামুটি রাতে তিন-চারবার ওঠার কারণে, ঘুম একেবারেই কম হয়।
শুয়ে পড়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু ঘুম আসছিল না। হঠাৎ করেই পাশের বাসার আন্টি ডাক দিয়েছে আর বলল গ্যাস আসছে। তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম, কেননা গ্যাস আবার যদি চলে যায় তাহলে কখন আসবে তার কোন ঠিক নেই। রান্না বসিয়ে নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে ঘর মুছে নিয়েছিলাম।
ওদের বাবা ঘুম থেকে উঠেই খাবার খেয়ে কাজে বেরিয়ে গেল। আমি নিজেও ঘরের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে রান্না বান্নাটা একেবারে গুছিয়ে নিয়েছিলাম। বাকি ছিল তরকারি তাই তরকারি টা রান্না বসিয়ে দিয়ে, আমি বড় ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। তারপর ছোট ছেলেকে গোসল করিয়ে, তরকারি রান্নাটা শেষ করে নিজে গোসল করে নিয়েছিলাম।
দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে পড়েছিলাম, ঘুম আসছিল না তাই উঠে আবার বাজারে চলে গেলাম। কেননা রাতের জন্য ছেলেরা বলেছে খিচুড়ি রান্না করতে। তার জন্য মুরগি এবং চাউল ডাল নিয়ে আসতে হবে। তাই বাজারে গিয়ে একটা মুরগি নিলাম, চাল নিলাম ডাল নিলাম আরো কিছু মসলা দরকার ছিল, সেগুলো নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম। এরপর পেয়ারা মাখা তৈরি করেছিলাম খুব মজা লাগছিল।
মাগরিবের নামাজ পড়ে রান্নাঘরে গেলাম, এক এক করে রান্না শুরু করে দিলাম, গ্যাসের পরিমাণটা অনেকটাই কম কিন্তু তারপরেও রান্না শেষ করতে হবে এটাই হচ্ছে লক্ষ্য। ছেলেদেরকে পড়তে বসলাম, তারা পড়া বাদ দিয়ে বসে বসে গেমস খেলতে লাগলো। আমি রান্না শেষ করতেই আমার রাত ৯ঃ০০ টা বেজে গেল। তারপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। ওরা ঘুমিয়ে পড়ার পর আমি নিজের কিছু কাজ করে, নিজেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
একদম ঠিকই বলেছেন এখন সকাল বেলার আবহাওয়াটা বেশ সুন্দর। এই সুন্দর আবহাওয়ায় হাঁটতে বেশ ভালোই লাগে। সকালবেলায় এইরকম হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকার। আপনার পোস্টে ফুল দুটোর ছবি দেখতে অসাধারণ লাগছে অনেকদিন পর ফুলগুলোকে আবার দেখতে পেলাম। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকেও সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট পড়ার সময় এই পোস্টে ব্যবহার করা মুড়ি মাখার ছবি দেখে আমার চোখ থমকে গেছে। কারণ, মুড়ি মাখা আমার ভীষণ প্রিয় একটি খাবার।। অবসরে এই মুড়ি মাখাই আমার সঙ্গী হয় অনেক সময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার প্রতিদিনের জীবন সংগ্রাম এবং চ্যালেঞ্জগুলো বাস্তব এবং প্রাণবন্ত। মানুষের প্রশ্ন এবং আচরণ নিয়ে যে মানসিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন, তা একদিকে আপনার ধৈর্যশীলতার প্রমাণ, অন্যদিকে আপনার সাহসিকতারও প্রতিফলন। প্রতিদিনের কাজের চাপ সত্ত্বেও, আপনি যেভাবে নিজেকে এবং পরিবারের জন্য সময় দেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করছি, এবং আশা করছি আগামী দিনগুলো আপনার জন্য আরো সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ হবে। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit