Better Life With Steem || The Diary game || 11 January 2024

in hive-120823 •  last year 
Picsart_24-01-12_17-54-34-206.jpg

আবারো নতুন একটা ভোরের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আজকে বৃহস্পতিবার দেখতে দেখতে আমাদের জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল। আজকের সপ্তাহের ষষ্ঠ দিন। আর একটা দিন পরেই এই সপ্তাহ আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবে।

প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সাথে আমার একটা দিনের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।আসলে প্রত্যেকটা দিন আমাদেরকে নতুন কিছু শিক্ষা দিয়ে যায়। আর জীবনে অবশ্যই সেই সময় গুলো থেকে আমাদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। যে সময় গুলো আমাদের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সকাল বেলা

ঠিক ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠলাম। ওঠে নামাজ পড়ে প্রথমত কিছুক্ষণ নামাজের বিছানায় বসে জিকির করলাম। জিকির করার পর শশুর মশাই ডাক দিল, উনাকে ইনজেকশন দিতে হবে। তাড়াতাড়ি গিয়ে ইনজেকশন দেয়া শেষ করলাম।

শেষ করার পর আমাকে বলেছিল চা বানানোর জন্য। আমার শ্বশুরমশাই প্রত্যেকদিন ফজরের নামাজ পড়ে এক কাপ চা একটা বিস্কিট খেয়ে থাকেন। আমিও তাড়াতাড়ি করে এসে চা তৈরি করে নিলাম। এবং উনাকে চা দিলাম এরপর ওষুধ দিলাম খাওয়ার জন্য।

IMG_20240111_175335_747.jpg
IMG_20240111_175336_259.jpg

এরপর আমি এসে ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করলাম। ঘরে কাজগুলো করতে করতে প্রায় সাতটা বেজে গেল। তাড়াতাড়ি করে ছেলেকে নাস্তা খাইয়ে প্রাইভেটে পাঠিয়ে দিলাম। ও চলে যাওয়ার পর, ঘরের আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো আমি সম্পূর্ণ করলাম।

এরপর সবজি বাগানে গেলাম আজকে মরিচের চারা রোপন করতে হবে। আজকেও প্রচুর পরিমাণে মেহমান আছে। কিন্তু শাশুড়ি আমাকে বলল আগে মরিচের চারা এবং লালশাক তুলে আনার জন্য। তাই আমি এবং আমার ভাগিনা মরিচের চারা এবং লাল শাক তুলতে, চলে গেলাম সবজি বাগানে।

যাক আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে মরিচের চারা এবং লালশাক তুলে আমরা বাড়ি ফিরে এলাম। বাড়ি ফিরে এসে সকালবেলার নাস্তা হিসেবে রুটি এবং আলু ভাজা খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর আমার শাশুড়ি বলল আমাদের বড় আম্মাকে একবার দেখে আসতে। উনি কি করছে। কারণ আমার জ্যাঠা শ্বশুর মশাই মারা গেছে, সেজন্য উনি অনেক বেশি ভয় পেয়ে গেছে।

IMG_20240111_175341_820.jpg

ওখান থেকে ফিরে এসে আমি রান্নাবান্নার কাজ শুরু করলাম। তখন সকাল দশটা, আজকেও যেহেতু আমরা উনাদেরকে খাবার খাওয়াবো। তাই সবকিছু রেডি করে রান্না করতে করতে আমার অনেক বেশি দেরি হয়ে গেল।

Picsart_24-01-12_18-04-40-105.jpg

দুপুর বেলা

দুপুরবেলা ওনাদের বাড়িতে গাড়ি করে খাবার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার মেজো ননদ খাবার নিয়ে গিয়েছে। আমি গোসল করে তারপর নামাজ পড়ে ছেলে আসার পর তাকে ভাত খাইয়ে দিয়েছি।

IMG_20240111_143357.jpg

ওকে আবার মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজে দুপুরের খাবার খেয়ে, ভেবেছিলাম কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়বো। কিন্তু ঘুমাতে পারিনি কেননা আজকে মরিচের চারা লাগাতে হবে জমিনের মধ্যে। তাই দেরি না করে আমি এবং আমার ভাগিনা গিয়ে মরিচের চারা লাগানোর কাজ শুরু করলাম। বিকেল চারটা নাগাদ আমাদের কাজ মোটামুটি শেষ হয়ে এসেছে।

IMG_20240111_073203.jpg

কিন্তু আমাদেরকে আরো অনেক কাজ করতে হবে। সেজন্য আমার ভাগিনা বলল যে আন্টি আজকের মত এখানেই শেষ কর। কালকে আমরা আবারও শুরু করব। তাই ওখানে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে আসলাম।

রাত্রি বেলা

সন্ধ্যার পরে সবাইকে নারিকেল চিড়া মুড়ি বানিয়ে দিয়েছি। যে জার মত করে খেয়ে নিয়েছে। এবং বসে বসে গল্প করতে লাগলো, আর আমার শাশুড়ি নিজেও কান্না করছে, কেননা ওনার চাচা মারা গেছে। যেদিন আমার জ্যাঠা শ্বশুর মশাই মারা গিয়েছিল, কিন্তু এখনো পর্যন্ত উনি দেখতে যেতে পারেনি।

IMG_20240111_175336_439.jpg

এরপর আমি ওনাকে কিছুক্ষণ সান্ত্বনা দিয়েছিলাম। এবং বলেছিলাম আপনি চাইলে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার বাবার বাড়িতে যেতে পারেন। কেননা উনার ছোট কাকিমা অনেক বেশি কান্নাকাটি করছে।

IMG_20240111_175335_721.jpg

এরপর এশার নামাজ পড়ে সবাইকে রাতের খাবার খাওয়াতে খাওয়াতে প্রায় রাত দশটা বেজে গেল। সবকিছু গুছিয়ে রেখে দিয়েছি, এবং ভেবেছিলাম যে কিছু পোস্টে কমেন্ট করব। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত ছিল। কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতেই পারিনি। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন পার হয়ে গেল।

উপসংহার

দিন যত ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যাক না কেন সংসারের কাজগুলো সঠিকভাবে করে নিতেই হয়। কারণ আমি একটা মেয়ে। আজকের দিনটা থেকে আমি বুঝতে পেরেছি। ব্যস্ততা অজুহাত মাত্র আমরা চাইলেই কিন্তু অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারি।

আমার মনে হয় অজুহাত না দেখিয়ে আমাদেরকে প্রত্যেকটা কাজ সঠিকভাবে পালন করা উচিত। কেননা আমরা যদি আমাদের সময়টাকে ফাঁকি দেয়া শুরু করি। সময়টাও একদিন আমাদের কে ফাঁকি দেয়া শুরু করবে। তখন আমরা নিজেদের সময়ের গুরুত্ব বুঝতে পারলেও, সময় আমাদের গুরুত্ব একেবারেই বুঝতে পারবে না। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Hope you have a great day, great to attend namaz.Looking a fantastic and tasty foods.

একদম ঠিক দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে গিয়েছে। আর খাবার গুলো অনেক বেশি টেস্টি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

TEAM 1

Congratulations! This comment has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.

Curated by : @pelon53

সকালের নাস্তায় আলু ভাজার সাথে গরম গরম হাতে গড়া রুটি খেতে খুব ভালো লাগে। একটা সময় মাঝেমধ্যেই খেতাম। কিন্তু মা শয্যাশায়ী হবার পর থেকে এই সব আমার আর কপালে জোটে না। সারাদিন আপনাকে এত কাজ করতে হয়েছে, এই জন্য আপনি রাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।

আসলে মা আমাদের জন্য এমন একটা জিনিস। আমাদের নিজেদের পছন্দের খাবারগুলো মায়ের হাতেই বেশ ভালো লাগে। আমি যে খাবারগুলো তৈরি করি তার চাইতে আমার মাঝে খাবারগুলো তৈরি করে, সেগুলো আমার কাছে অনেক বেশি মজা লাগে। আসলে সারাদিন অনেক বেশি ক্লান্তির কাজ করতে হয়েছে। তাই অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

সজালে ঘুম থেকে উঠেই বেশ ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটিয়েছেন। নারকেল চিড়া, মুড়ি সাথে গুড় অনেকেই পছন্দ করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার শশুরকে ইনজেকশন দিয়েছিলেন, সত্যি বলতে তাদের সেবা করা আপনার দায়িত্ব। ভালো থাকবেন সবাইকে সাথে নিয়ে।

চিড়া মুড়ি গুড় আমি নিজে অনেক বেশি পছন্দ করি। তাই নিজের পছন্দের খাবারটা সবাইকে দিয়েছিলাম। আর সন্ধ্যা বেলা চা করতে অনেক বেশি ঝামেলা। তাই আমার শাশুড়ি বলল এটা দিয়ে কাজ চালিয়ে দেয়ার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...

খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন বাসায় অনেক মেহমান-তব্য শাশুড়ির কথা অনুযায়ী মরিচ গাছ এবং লালশাকে পানি দিতে গেলেন,, এরপরে আপনার বড় আম্মাকে দেখতে গেলেন যেহেতু তার হাজবেন্ড মারা গিয়েছে তাই তিনি অনেক ভেঙ্গে পড়েছে।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে গিয়েছে। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ব্যস্ত ছিলাম। আসলে এত পরিমাণে কাজ আমি কখনোই একদিনে করিনি। তবে এই দিনগুলো আমাকে খুব মনে করিয়ে দিয়েছে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেও নিজেকে ভালো রাখতে হবে, এবং পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অনেক ব্যস্ততার ভিতরে পার করেছেন। আপনার শ্বশুর মশাইকে সকালে চা বিস্কুট খেতে দিলেন তারপর ইনজেকশন করিয়ে দিলেন। দুপুরবেলা তাড়াতাড়ি রান্না করে আপনার মেজো ননদকে গাড়ি নিয়ে রান্না উনাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন। সন্ধ্যাবেলা নারিকেল মুড়ি চিড়া মেখে খেলেন।
থ্যাংক ইউ দিদি আপনার সারাদিনের ব্যস্ততার দিনগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে উপস্থাপনা করলেন।

শীতের সকালে এত বেশি কাজ করতে গিয়ে নিজের অবস্থা একেবারেই খারাপ। কি আর বলবো সারাদিনের ব্যস্ততার কারণে নিজের দিকে একটু খেয়াল রাখতে পারি নাই। এরপরেও সব কিছু ঠিকঠাক মত সম্পূর্ণ হয়েছে এটাই সবচাইতে বড় কথা। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করে কিছু সময় নামাজের বিছানায় বসে ছিলেন জিকির করার জন্য তার কিছু সময় পরে আপনার শ্বশুর মশাই আপনাকে ডাক দিয়েছিল তার ইনজেকশন দিতে হবে বলে এবং ইনজেকশন আপনি দিয়ে দিলেন এবং আপনার শ্বশুর মশাই প্রতিদিন সকালে চা এবং বিস্কিট খাওয়ার অভ্যাস আছে তাই আপনি চা তৈরি করার জন্য চলে গেলেন এবং আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে আমরা মানুষ একেকজনের অভ্যাস একরকম। আমার শ্বশুরমশাই আমার বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখতেছি। ওনার সকাল বেলা উঠেই চা খাওয়ার অভ্যাস আছে। যখন উনি নিজে করতে পারতেন তখন নিজের যা তৈরি করে খেতে, কিন্তু বর্তমানে উনি অনেক অসুস্থ তাই আমরাই ওনাকে তৈরি করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

একই দিনে ২ জন আত্মীয়র দেহত্যাগ অবশ্যই অনেক বড় ধাক্কা আপনার পরিবারের জন্য। শশুর কে সান্তনা দিতে না দিতেই এদিকে আরেকজনের দেহত্যাগ। মরণ আসলে এমনেই। অনিশ্চিত, যার উপর কারও কোন হাত নেই। আল্লাহ উনাদের জান্নাত নসীব করুক।

মৃত্যু নামক মেহমান যখন একবার ঘরের দরজা এসে দাঁড়িয়ে যায়। তাকে ফিরিয়ে দেয়ার মত সাধ্য আমাদের কারণ নেই। আসলে ওই দিন আমার ওপর কত বড় একটা ঝড় গিয়েছে। সেটা আমি নিজেও জানিনা। আমি কি আমার শ্বশুর মশাই কে সান্তনা দেব নাকি শাশুড়ি কে সান্তনা দেব। এটা ভেবে কূল পাচ্ছিলাম না। তারপরেও দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে গেছে। এই জন্যই শুকরিয়া আদায় করি সৃষ্টিকর্তার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

  • আমার মনে হয় এখন প্রায় সবাই চা নাস্তা দিয়েই সকালের নাস্তাটা খেয়ে নেই। এত সকালে অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। সন্ধ্যায় দেখলাম নারিকেল মুড়ি খেলেন এটি আমার খুব পছন্দের। আমি নারিকেল দিয়ে চিনি শুধু শুধু খাই। নারিকেল চিনে দিয়ে খেতে আমার খুব ভালো লাগে সাথে একটু গুড়া দুধ ও মুড়ি দিলে
    আরো টেস্টি হয়। আপনাদের দিন লিপি টি পড়ে ভালই লাগলো মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবে কেটেছে আপনার দিন টি।

আমি চা আমার একটা পছন্দ করি না। কিন্তু এত পরিমাণে ঠান্ডার কারণে চা বানাতে হল। আসলে নারিকেল দিয়ে গুড় এবং মুড়ি খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। তার সাথে যদি সামান্য পরিমাণ দুধের গুড়া দেয়া হয়। তাহলে আরো মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

  • এত শীত চা না খেয়ে উপায় কি । আপনার চা পছন্দ করেন না কিন্তু শীতের জন্য খাচ্ছেন কিছু করার নেই। হ্যাঁ নারিকেল মুড়ি অনেক ভালো লাগে খুব মজার খাবার।