কে কি বলল আর কে কি ভাবল এটা নিয়ে যদি আপনি আপনার সময়টা পার করে দেন। তাহলে আপনি কখনো ভালো থাকতে পারবেন না। জীবনে প্রতিটা মুহূর্তকে আমরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি, আর এই চেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে, মরণের আগ পর্যন্ত। তাহলে কিন্তু আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। আপনি মানুষের কথা শুনে কখনোই চুপ করে বসে থাকবেন না। কেননা ক্ষতি হবে একান্তই আপনার। আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর একটা সকালের দেখা পেয়ে, প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে।
এরপরে নিজের সংসারে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করার জন্য বাহিরে বের হলাম। আসলে হাঁটাহাঁটি না করলে আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে। এরপর আন্টির সাথে কিছুটা সময় গল্প করে ওখান থেকে দুইটা ফটোগ্রাফি তুলি চলে আসলাম। আসার সময় বাসায় আরেক ভাবির সাথে দেখা হল। ভাবি আমাকে বলল হ্যাপি নিউ ইয়ারের সময় ওনারা পিকনিক করবেন, আমি করব কিনা? এরপর আমি ওনাকে বললাম আমি আমার সাহেবের সাথে কথা বলি দেখি উনি কি বলে।
বাসায় এসে কোন কিছুই বললাম না কেননা গ্যাস নেই।আগের তরকারি এবং ভাত ছিল তাই ছেলেদের কে খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর ওদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসলাম। ওখান থেকে সোজা চলে গেলাম বাজারে সামান্য পরিমাণে বাজার করে আবার চলে আসলাম বাসায়। তারপর কাটাকাটি করে নিয়েছিলাম এবার শুধুমাত্র গ্যাস আসার অপেক্ষা। কখন যে আসবে এটা ভেবেই আবার গিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। আসলে খুব ঠান্ডা লাগছে আকাশ মেঘলা বাহিরেও তেমন রোদ নেই। যার কারণে ঠান্ডার পরিমাণটা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেও পারিনি, ঘুম ভাঙলো যোহরের আযানের সময় তাড়াতাড়ি উঠে আগে গ্যাস চেক করলাম, কিন্তু গ্যাস এখনো আসেনি কি করব বুঝতে পারছি না তারপর সাহেব দেখলাম বেরিয়ে গেল। ওকে বললাম ছেলেদেরকে হালকা কিছু খাবার কিনে দিতে, কেননা গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল তাড়াতাড়ি মাদ্রাসা ছুটি হয়ে যাবে। এরপর ওনি মাদ্রাসায় গেলেন এবং ছেলেদের কি কিছু কিনে তারপরে কাজের জন্য বেরিয়ে পড়লেন।
বিকাল তিনটার সময় দেখলাম গ্যাস আসলো এরপর রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে, আমি রান্না ঘরে গিয়ে এক এক করে রান্না করে নিলাম। তারপরে দেখলাম সাহেব ছেলেদের কে নিয়ে বাসায় চলে এসেছে। আমি তো মহা খুশি যাক আজকে আর আমাকে যেতে হবে না। এরপর ওদেরকে দুপুরের খাবার দিলাম। আমি গোসল করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম, তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিলাম।
একটু পরেই সন্ধ্যা হয়ে গেল আসলে শীতের দিন সময়টা কখন চলে যায় বোঝা যায় না। এরপর আমি যেটা করলাম একটু দোকানে গেলাম এবং ওখান থেকে বুট পেঁয়াজু আলুর চপ নিয়ে আসলাম, কেননা সন্ধ্যায় ওদেরকে মুড়ি মাখা তৈরি করে দিব। যাইহোক সন্ধ্যার পরে ওদেরকে মুড়ি মাখা তৈরি করে দিলাম। ওরা খেয়ে নিল এরপর রাতের জন্য পড়াশোনার প্রস্তুতি গ্রহণ করল। আমি সামান্য পরিমাণে ভাত বসিয়ে দিলাম এরপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমিও শুয়ে পড়লাম।
Your post has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit