আমরা সবাই চেষ্টা করি প্রতিটা সকাল এবং প্রতিটা দিন আমাদের জন্য সুন্দর হবে, কিন্তু আদৌ কি আমাদের প্রতিটা দিন সুন্দর হয়। সেটা আমরা জানি না তবে চেষ্টা করতে পারি আর ভরসা করতে পারি সৃষ্টিকর্তার উপর। তিনি নিশ্চয়ই সবকিছু আবারও আমাদের মনের মত করে ঠিক করে দেবেন। তবে আমাদের ধৈর্য জিনিসটা একেবারেই কম। আমরা ধৈর্য ধারণ করতে পারি না। আমরা কি করি আমরা বুঝতে চাই না ধৈর্যের পরেই কিন্তু ভালো কিছু অবশ্যই আসে। আপনি যতটুকু আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছে আশা করছেন। সেটা যদি না পান তাহলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করা উচিত, কেননা দিন শেষে অবশ্যই আপনি তার চাইতে ভাল কিছু পাবেন ভাল কিছু করতে পারবেন।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম। সৃষ্টিকর্তার কাছে এরপর ছেলেদের জন্য সকালবেলা ভাত রেখে দিয়েছিলাম। কেননা গ্যাসের প্রচুর পরিমাণে সমস্যা তবে আগামীকাল গ্যাসের সমস্যা হবে না। কেননা আগামীকাল ১৬ই ডিসেম্বর সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং গ্যাস থাকবে পরিপূর্ণ এটা আমি বিশ্বাস করি। সকালবেলায় ওদেরকে ভাত খাইয়ে দিয়ে তারপরে মাদ্রাসায় দিয়ে আসলাম। সকালে আজকে মোটামুটি তেমন কুয়াশা ছিল না রোদের দেখা খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ওদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে এসে আমি চলে গেলাম বাজারে হালকা পরিমাণে বাজার করে বাসায় এসে দেখলাম গ্যাস নেই। তাই ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম।
দেখলাম আন্টি গাছের মধ্যে পানি দিচ্ছে তার সাথে তাকে একটু সাহায্য করলাম। এরপরে দুইটা ফটোগ্রাফি তুললাম কিছুক্ষণ গল্প করলাম। তারপর পাশের বাসার ভাবি ডাক দিলো গ্যাস আসছে। তাড়াতাড়ি এসে রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। ছেলেদের জন্য চপ তৈরি করে রেখেছি কেননা সন্ধ্যায় ওরা মুড়ি মাখা তৈরি করবে।এটা মনে হয় ওদের একটা নেশা হয়ে গেছে, মুড়ি মাখা না খেলে তাদের কাছে ভালো লাগে না। আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে তাই অনেকটা আনন্দ নিয়েই তৈরি করি।
রান্নাবান্না শেষ হলে ছেলের বাবার কাছে ওদের জন্য দুপুরের খাবার দিয়ে দিলাম। আসলে আমার যেতে একেবারেই ভালো লাগছে না অনেকদিন জ্বর সর্দি থাকার কারণে শরীর একেবারেই দুর্বল হয়ে গেছে। তবে এখন আলহামদুলিল্লাহ জ্বর সর্দির চাইতে ভালো আছি, এর জন্য অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি। তিনি আমাকে ভালো রেখেছেন, তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
আসরের নামাজের আযানের শব্দ ঘুমটা ভেঙে গেল তাড়াতাড়ি করে উঠে নামাজ পড়ে চলে গেলাম, ছেলেদের কে নিয়ে আসার জন্য। তারপর ওদেরকে নিয়ে এসে আমি টুকিটাকি কাজ করতেই আমার সন্ধ্যা হয়ে গেল। এরপর ওদেরকে মুড়ি মাখা তৈরি করে দিলাম। আমি একটু খেয়ে নিলাম তারপর ওদের পড়াশুনা শেষ হলে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুমাতে বললাম।
আর আমি রাতের জন্য হালকা পরিমাণে ভাত রান্না করেছি, কেন কালকে গ্যাস থাকবে তাই এত চিন্তা নেই। ভাত রান্না করে নিজে খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম। তারপর আমিও ওদের সাথে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন অতিবাহিত করলাম। প্রতিটা দিন চলে যাচ্ছে কিন্তু কতটুকু ভালো কাজ করতে পারছি কি করছি কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি আল্লাহতালা আমাদের ক্ষমা করেন, এছাড়া আর কিছুই করার নেই সবাই ভালো থাকবেন।
amazing to know about your day routine... by the way, henna design in your hand looks fabulous..
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@rubina203 আপনার গতানুগতিক দিনলিপি পড়লাম এবং আপনার শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানলাম, কিন্তু এখানে আমার বেশ কিছু বিষয়ে আপনার প্রতি নালিশ আছে!
হয়তো মন্তব্যে তুলে ধরছি বলে আপনার খারাপ লাগতে পারে, তবে discord এ আপনাকে মেনসন দিয়েও পাওয়া যায় নি।
আচ্ছা! আমাকে একটা মানুষ এই পৃথিবীতে দেখাতে পারবেন, যার ব্যাক্তিগত জীবন সমস্যা বিহীন?
এমন কোনো মানুষ আছেন আপনার জানা, যিনি শারীরিক অথবা মানসিক অথবা আর্থিক যেকোনো একটা সমস্যায় জর্জরিত নেই?
বিষয়টা হলো, আপনার মত আমিও বিগত পাঁচদিন ধরে অসুস্থ্য এবং শুধু তাই নয়, টানা পাঁচদিন আমি antibiotic ওষুধ খেয়ে কাজ করে চলেছি।
আপনার কি মনে হয়, আমার ব্যাক্তিগত চ্যালেঞ্জ নেই?
আমাকে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় না?
নাকি আমি দৈবিক শক্তির অধিকারী তাই শারীরিক সমস্যা মুখে বলি, কিন্তু ভিতরে কষ্ট হয় না?
বিষয়টা হলো, দায়িত্ববোধ আর গুরুত্ব এই দুটো বিষয় আমাদেরকে অনেকের চাইতে পৃথক করে।
আপনি কি এই অসুস্থ্য শরীরে ঘরের কাজের দায় এড়াতে পেরেছিলেন?
ভেবে দেখবেন কেনো বললাম আপনাকে কথাগুলো। আমার কথার অভ্যন্তরে আপনাদের নিজস্ব শুভদিক লুকোনো আছে, বুদ্ধি থাকলে হয়তো বুঝবেন কোনো একদিন।
সময় বড় কঠোর শিক্ষক তার কিন্তু দয়া মায়া নেই, তাই কারোর জন্যই থেমে থাকে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit