Better Life With Steem || The Diary game || 15 January 2024 ||

in hive-120823 •  18 days ago 
Picsart_25-01-16_18-10-07-383.jpg

আমার এই জীবনে যতটুকু দেখেছি পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন? সংসারের কাজ কখনোই আপনি বন্ধ করতে পারবেন না! আমরা যে কোন জায়গায় কাজ করলে হয়তো বা বলতে পারি! আজকে এই সমস্যা কাজে যেতে পারবো না! কিন্তু সংসারের কাজগুলো এতটাই গভীর, যার সাথে মনে হয় আমাদের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে! হাজার চেষ্টা করেও সেই কাজগুলোর কাছ থেকে আমরা একটু সহানুভূতি পাই না! আজকে সকালটা মোটেও ভালো ছিল না! আসলে গতকাল রাতে হঠাৎ করেই আমার মোবাইলে চার্জার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

অনেকবার ট্রাই করে ও মোবাইলে চার্জার আমি আসলে ঠিক ভাবে লাগাতে পারছিলাম না! কি হয়েছে নিজেও বুঝতে পারছিলাম না! উঠে গিয়ে প্রথমত ননদের মোবাইলের চার্জার দিয়ে ট্রাই করলাম সেখানেও হচ্ছে না! এরপরে শাশুড়ির মোবাইলের চার্জার দিয়ে ট্রাই করলাম তাও হচ্ছে না! আমি ভেবেই নিয়েছিলাম হয়তোবা মোবাইলের চার্জারের যে ফিন রয়েছে, সেটার মধ্যে নিশ্চয়ই কোন সমস্যা হয়েছে! মোবাইলে চার্জ ও নেই হঠাৎ করে মোবাইলের মধ্যে মাত্র ১৬% চার্জ ছিল।

IMG_20250115_180855_937.jpg
IMG_20250116_180855_715.jpg

কমেন্ট করতে গিয়েছিলাম কিন্তু সেটাও আর হলো না! রাতে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার আসলে টেনশন ছিল আমি কখন মোবাইল নিয়ে মেকানিক এর কাছে যাব। কারণ মোবাইলে যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমার কাজ করা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর সকাল বেলার কাজ শেষ করে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তোবা রান্না বান্নাটা অন্য কেউ করে নেবে। কিন্তু ওই যে আগেই বলেছিলাম, সংসারের দায়িত্বটা আগে পালন করতে হবে তারপরে আপনার বাকি সব কিছু।

IMG_20250115_180855_734.jpg

সকালে সবাইকে খাবার দিয়েছিলাম নিজে অল্প পরিমাণে খেয়ে নিয়েছিলাম। আসলে টেনশনের কারণে কোন কিছুই ভালো লাগছে না। এরপরে আবার দুপুরের জন্য এবং রাতের জন্য রান্না করতে বসেছিলাম। রান্না করতেই আমার দুপুর একটা বেজে গেল। নিজের উপর এত পরিমানে রাগ হচ্ছিল কি আর বলব। যাই হোক কাউকে কিছু বলিনি নিজের মতো করে সবকিছু ঘরে নিয়ে গোসল করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে, আমি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম চার্জার বা বাকি যে বিষয়গুলো সেগুলো নিয়ে।

IMG_20250115_180855_521.jpg
IMG_20250115_180855_879.jpg

দোকানে যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম। আসলে আমার চার্জারের যে কট রয়েছে সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। তারপর তারা নতুন একটা কট দিয়ে ট্রাই করল দেখলে মোটামুটি চার্জ হচ্ছে। এরপর আমি আরো কিছু কাজ ছিল বাজার করলাম এবং নিজের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলাম। কিনে তারপরে বাসায় আসলাম বাসায় আসতে আসতে আসরের নামাজের আজান দিয়ে দিল। তাড়াতাড়ি করে বাসায় এসে নামাজ পড়ে নিলাম তারপরে বাহিরে কিছুক্ষণ আগে করলাম।

IMG_20250115_180855_927.jpg

এরপরে ঘরে এসে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম, মাথাটা প্রচন্ড ব্যথা করতেছে। আসলে টেনশন হলে ঘুম হয় না ঘুম না হলে আরো বেশি ঝামেলা হয়। এরপর ভেবেছিলাম ঘুমিয়ে পড়বো কিন্তু একটু পরেই মাগরিবের আজান দিল। দ্রুত নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম তারপর ছেলেদের পড়াশোনার জন্য বসে পড়েছিলাম। এটা আমার রোজগার কাজ ওদের পড়াশুনা শেষ হলে, আমি নামাজ পড়ে তারপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম এবং একটু পরেই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। প্রতিটা দিন চেষ্টা করি টেনশন মুক্ত থাকবো। তবে সেটা আর হয়ে ওঠে না। মাঝে মাঝে চিন্তা করি এই টেনশন মনে হয় মরনের আগ পর্যন্ত থেকে যাবে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@rubina203 আপনার মাথা কাজ করছে না সেটা আপনার লেখা সহ ছবি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।

ছবিতে টেনশনে গায়ে মাখার সাবান উল্টো করে ধরেছেন!😆
আপনাকে দুদিন না খেতে দিলে থাকতে পারবেন, কিন্তু মোবাইল ছেড়ে থাকা অসম্ভব!
তাই, কি খেয়েছেন তার নাম মনে নেই বোধহয়, সেগুলোর নাম লিখতেও ভুলে গেছেন!

বলছি, এই যে শাশুড়ি আর ননদের চার্জের দিয়ে নিজের মোবাইল চার্জের চেষ্টা করছিলেন, সেটা যেনো মোবাইলের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে!

মানে আপনি যেভাবে জবা গাছে রজনীগন্ধা ফোটাতে চাইছেন, তাই বললাম। আমার খুব হাসি পেয়েছে, মানুষের দুঃশ্চিন্তার এখন মূল কারণ মোবাইল, হায়রে হায়! এই না হলে অনলাইন এর মহিমা!😆

বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমি যে অবস্থানে আছি। সেই অবস্থানের মধ্যে আমার মোবাইল হচ্ছে নিত্যদিনের একজন সঙ্গী বলতে পারেন। মোবাইল কে খুব কাছের একজন মানুষ হিসেবে আমি বিবেচনা করি।

আমার সুখ দুঃখ সব কিছু আমি তার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পছন্দ করি। কারন আমি মনে করি আমার মন খারাপের কারণগুলো যদি আমি অন্য কারো কাছে প্রকাশ করি। সেটা নিয়ে তারা হাসাহাসি করবে। তাই নিজের মোবাইলের সাথেই সময় কাটাতে পছন্দ করি।

আর অনলাইনে যেহেতু টুকটাক কাজ করে থাকি। তাই এটা আমার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। আপনার মন্তব্য পড়লাম আর নিজে নিজে হাসলাম মনটা ভালো হয়ে গেল ধন্যবাদ।

Avengers_Allies_Team._2.png

Loading...

প্রথমেই আপনাকে বলব এত টেনশন কেন করেন। যা আপনার ভাগ্যে রয়েছে তাই হবে। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম মোবাইল ফোনের চার্জার পোর্ট নষ্ট হয়ে গেছে। এটা খুবই মন খারাপের একটা বিষয়, কেননা প্রযুক্তি ছাড়া এখন আমরা ঠিক মতন চলাফেরাও করতে পারি না। প্রযুক্তি আমাদেরকে চারদিক ভাবে ঘিরে রেখেছে। মোবাইল ফোন ছাড়াতো মানুষের এখন বেশিরভাগ কাজই হয় না।
আপনার নিত্যদিনের কাজকর্ম নিয়ে !আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আসলে নিজের অবস্থান আপনাকে বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব না আর কেন টেনশন করি সেটাও আমি বোঝাতে পারবো না একটা ফ্যামিলি চালানো কতটুকু কষ্টকর সেটা একবার আপনার মায়ের কাছ থেকে বুঝে নেবেন তাহলে হয়তো বা আপনার বুঝতে সুবিধা হবে কিংবা নিজে যখন বিয়ে করবেন তখন আপনার স্ত্রীর কাছে বিষয়টা জানার চেষ্টা করবেন।

এটা একেবারেই ঠিক আমরা প্রযুক্তি ছাড়া একেবারেই চলতে পারি না সেটা এক ঘন্টা হোক কিংবা একদিন মনে হয় আমাদের জীবন থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারিয়ে গেছে আমি মন খারাপ করি না কারন আমি জানি আমার আল্লাহ আমার ভাগ্যে যা রেখেছেন সেটা আমার সাথে ঘটবেই অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

Hello, dear Rubina Akther. We've known each other for a long time from Serey, and today I saw you here on Steemit for the first time. I decided to subscribe, as it's always good to maintain old connections.

Hello my dear friend, I hope you are well. Actually, I have been working here for a long time and trying to grow my account. It is really nice to see you here.God willing, you will be healthy, we will work together, we will go far, you will be fine.

আপনার দিনটির চিত্রনাট্য খুবই বাস্তব ও হৃদয়গ্রাহী। সংসারের কাজ, ছোটখাটো সমস্যাগুলো, টেনশন, এবং সবশেষে সেগুলো মেনে নিয়ে এগিয়ে চলা এটা অনেকের জীবনের প্রতিদিনের চিত্র। তবে যে ধৈর্য ও নিষ্ঠা দিয়ে আপনি প্রতিটি কাজ করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সংসারের কাজগুলো একদিকে যেমন চাপের হতে পারে, অন্যদিকে সেগুলোই আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছেন, তা সত্যিই অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন এবং সব কিছুতে সফলতা দিন।

সংসারের কাজগুলো হচ্ছে আমাদের প্রতিনিয়ত নিত্যদিনের সঙ্গী আমরা যদি এখান থেকে একদিন ছুটি পাই তখন আমাদের মনে হয় জীবন থেকে অনেক মূল্যবান কিছু হারিয়ে গেছে আর সবকিছু সামলে নিতে হয় কারণ আমি মেয়ে আমি মানিয়ে নিতে পারলেই আমার জীবন সুন্দর মেনে নিতে পারলেই আমি সবার কাছে ভালো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

Avengers_Allies_Team._2.png

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।