Better Life With Steem || The Diary game || 16 January 2024 ||

in hive-120823 •  7 days ago 
Picsart_25-01-17_17-03-00-174.jpg

প্রতিটা দিনের সূচনায় আমরা চেষ্টা করি, দিনটাকে সঠিকভাবে উপভোগ করতে কারো ক্ষেত্রে হয়তো বা দিনটা সঠিকভাবেই কেটে যায়। আবার কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সমস্যা। তবে সমস্যা দেখে চুপ করে বসে থাকার চাইতে, সেই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সেই চেষ্টা করা আমি মনে করি উত্তম। কেননা আপনি যদি সমস্যা দেখে ভয় পেয়ে যান, তাহলে সমস্যা আপনাকে ঘিরে ধরবে। আপনি যদি সেই সমস্যাটাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন বা সমাধান করার চেষ্টা করেন। দেখবেন খুব দ্রুত আপনার জীবনে পরিবর্তন চলে আসবে।

IMG_20250116_170157_952.jpg
IMG_20250117_170158_570.jpg

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম, চারপাশে মোটামুটি একেবারেই নিরিবিলি। শুধুমাত্র পাখির ডাক ছাড়া আর কিছুই শুনতে পাওয়া যায় না। চোখ বন্ধ করে আকাশের দিকে মুখ করে সকালের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলাম। আসলে তখন মনে হচ্ছে আমি পৃথিবীর সবচাইতে শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ। এরপরে তাড়াতাড়ি করে ওযু করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। নামাজ পড়ে বাহিরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। একটু পরে রোদ উঠে গেছে, রোদ ওঠার কারণে পরিবেশটা আরো বেশি সুন্দর লাগছে।

IMG_20250116_170158_051.jpg
IMG_20250116_170158_205.jpg

এরপর আমি যেটা করলাম সকাল বেলার জন্য সামান্য পরিমাণে চা করেছি। যদিও চা আমি তেমন একটা পছন্দ করি না, কিন্তু গত দুইদিন যাবত প্রচুর পরিমাণে গলা ব্যথা হওয়ার কারণে, চা খাওয়াটা একেবারেই জরুরি হয়ে পড়েছে। তো আমি একার জন্য চা বানালে কেমন দেখাবে। তাই সবার জন্য চা বানালাম এরপর সবাই টোস্ট বিস্কুট দিয়ে চা খেয়ে নিল, আমিও অল্প পরিমাণে চা খেয়ে নিলাম। তারপর ছোট ছেলেকে সকালের খাবার খাইয়ে দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিলাম। আমি রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম, রান্নাবান্না শেষ করতে আমার প্রায় দুপুর একটা বেজে গেল।

IMG_20250116_170158_255.jpg

এরপরে আমি যেটা করলাম গোসল করে নামাজ পড়ে, দুপুরের খাবার আমি নিজেও খেলাম এবং ছেলেদেরকে ও খাইয়ে দিলাম। বড় ছেলে আবার স্কুলে চলে গেছে। আমি ছোট ছেলেকে নিয়ে একটু শুয়ে পড়লাম। আসলে ঘুম আসছিল না তারপর শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ কমেন্ট করলাম। কমেন্ট করা বর্তমান সময়ে একটা নেশা হয়ে গেছে। না করলে মনে হয় কি যেন রয়ে গেল সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি। এই নেশা যেন আমার প্রতিনিয়ত থাকে কেননা কমেন্ট করলেও কমেন্টের প্রতিফলন পাওয়া যায়।

IMG_20250116_170157_782.jpg

একটু পরেই আসরের আযান দিলো উঠে গিয়ে ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে, নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম।তারপর বিকেল বেলা একটু চটপটি তৈরি করেছি। চটপটি আসলে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে, আর শীতের সময় গরম গরম চটপটি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। সবাইকে চটপটি বানিয়ে দিয়ে আমিও একটু খেয়ে নিয়েছিলাম। সবার সাথে গল্প করতে করতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল।

এরপর নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। মা কল করেছিল তার সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আসলে নিজে কিছু করার ট্রাই করতেছি। তাই মা'কে বললাম কি করা যায়। মা আমাকে বলল ছোটখাটো করে কয়েকটা মুরগী পালন করলে মনে হয় ভাল হয়। আমিও তার প্রস্তাব শুনে রাজি হলাম। এখন কিছু টাকা ম্যানেজ করতে হবে। তারপরে আসলে কাজের মধ্যে হাত দিতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকক্ষণ আলোচনা করে তারপর ছেলেদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে। আমি এশার নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবে আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@tipu curate

অসংখ্য ধন্যবাদ সাপোর্ট করার জন্য ভালো থাকবেন।

সারাদিনের ব্যস্তময় দিনের গল্প পরে ভালো লাগলো, সকালে ঘুম থেকে ওঠা নামাজ পড়া, রান্নাবান্না শেষ করা ছেলেদের দিকে নজর দেওয়া,,, অনেক অনেক কাজ একটা সাংসারিক মহিলার কত যে কাজ থাকে গ্রামের বাড়িতে আরো বেশি থাকে।

এর পাশাপাশি আবার নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করার চেষ্টা করছেন, আর মায়ের সাথে সেই বিষয় নিয়ে পরামর্শ করছেন। বিষয়টা খুবই ভালো নিয়ম মত পরিচর্যা এবং সঠিক পরামর্শ নিয়ে যেকোনো কাজ করতে পারলেই তার থেকে লাভবান হওয়া যায়। নতুন কিছু করার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

আসলে প্রতিটা মানুষের জীবনে কিছু লক্ষ্য থাকা উচিত একটা মানুষ যদি লক্ষ্য ছাড়া এগিয়ে যেতে চায় তাহলে কিন্তু সে তার জীবনের কোন কিছুই সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে না আমার জীবনে ২০২১ সালে লক্ষ্য ছিল আমি অনলাইনে কাজ করবো 2025 সালে এসে আমি আবার বাস্তব জীবনে কিছু একটা করার চেষ্টা করছি বাকিটা আল্লাহতালার ইচ্ছা তিনি নিশ্চয়ই সবকিছু আগের মতো গুছিয়ে দিতে আমাকে সাহায্য করবেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো।

Loading...

আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, সমস্যার কথা শুনে যদি আমরা চুপ করে বসে থাকি তাহলে কি সমাধান হবে। মানুষের জীবনে যত সমস্যাই আসুক না কেন! তার সমাধান অবশ্যই আছে, হয়তো একটু দেরিতে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছুই উপলব্ধি করা যায় আমি দোয়া করি আপনার জন্য, আল্লাহ যেন আপনাকে
আরো ধৈর্য ধারণ করতে সাহায্য করে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে। অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আমাদের জীবনের সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ঘিরে ধরে কিন্তু আমরা যদি একটু সেগুলোকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করি তাহলে হয়তো বা আমরা একটু হলেও শান্তিতে থাকতে পারি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত সবকিছু ঠিক করে নেয়ার জন্য বাকিটা না হয় উপরে যিনি আছেন তার কাছে ছেড়ে দিলাম।

আপনার দিনটি খুব সুন্দর এবং সুশৃঙ্খলভাবে কাটিয়েছেন। প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলি উপভোগ করার মাধ্যমে জীবনটাকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়। চা বানানো, পরিবারকে খাওয়ানো, নামাজ পড়া, কাজের পরিকল্পনা করা এগুলো সবই জীবনের সঠিক পথে চলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ছোটখাটো সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজার পাশাপাশি মা'র পরামর্শ এবং নতুন কিছু শুরু করার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার দিনশেষে আল্লাহ'র কাছে প্রার্থনা আর ভালোবাসার মধ্যে সবকিছুই সুন্দরভাবে চলতে থাকে।

জীবনের প্রতিটা সুন্দর মুহূর্তগুলোকে একটু অন্যভাবেই উদযাপন করা উচিত আমাদের জীবনটা প্রতিটা সময় সুন্দরভাবে এটা আমরা কখনোই কল্পনা করতে পারি না তবে আপনি সেটাকে যদি সঠিক লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন তাহলেই কিন্তু আপনি সফল হবেন তাই জীবনে যে কোন কিছু করতে হলে যে কোন লক্ষ্য আপনাকে স্থির করতে হবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

একটা মানুষের প্রতিটা দিন একইভাবে যেতে পারে না কখনো আনন্দ কখনো কষ্ট এভাবেই দিন অতিবাহিত হয়।।

যাই হোক প্রতিদিনের মতই ঘুম থেকে উঠেছেন সংসারে কাজও করেছেন।। আর হ্যাঁ গোলা ব্যথার জন্য চা অনেক বেশি উপকারী।। শীতের মধ্যে গরম জিনিস খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে সেটা চটপটি হোক বা অন্য কিছু।।

একটা মানুষের প্রতিদিন একরকম কিভাবে যাবে আমাদের পরিস্থিতি সবকিছুই পরিবর্তন করে দেয় গলা ব্যাথার প্রচণ্ড হওয়ার কারণে একটু চা অবশ্যই প্রয়োজন তবে আমি এটা তেমন একটা খাই না প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়ে গেলে আমার আবার সমস্যা হয়ে যায় সংসারের কাজগুলো গুছিয়ে নেয়াটাই হচ্ছে একটা মেয়ের ধর্ম এবং অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।